সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক

কৃষি ভিত্তিক ভারত কৃষক কল্যাণ কেন্দ্রিক পথে অগ্রসর হচ্ছে যেখানে কৃষক তার কঠোর পরিশ্রমের সম্মান এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন : মুক্তার আব্বাস নাকভি

Posted On: 05 OCT 2020 3:15PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৫ অক্টোবর, ২০২০

 

 

        কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি আজ বলেছেন কৃষি ভিত্তিক ভারত,  কৃষক কল্যাণ কেন্দ্রিক রাষ্ট্রের পথে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে কৃষক তার কঠোর পরিশ্রমের সম্মান এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন। উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদের লোধিপুরে ‘কিষাণ চৌপল’এ তিনি কৃষকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছিলেন। শ্রী নাকভি বলেছেন, কৃষকের আয় দ্বিগুন করার সরকারের অঙ্গীকার মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে চার গুন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

        মন্ত্রী বলেছেন, সরকার কৃষক সংস্কার আইনগুলির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি কৃষকের সমৃদ্ধিময় জীবন নিশ্চিত করেছে। এই আইনগুলি কৃষকের আর্থিক ক্ষমতায়ণের সঙ্গে তাদের মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কবল থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে।

        শ্রী নাকভি বলেছেন, দেশের কৃষকের সমৃদ্ধি এবং ক্ষমতায়ণ নিশ্চিত করার জন্য কৃষি সংস্কার আইনগুলি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কৃষি পণ্য, ব্যবসা বাণিজ্য (উৎসাহদান) আইন ও কৃষক (ক্ষমতায়ণ ও রক্ষা) মূল্য নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি পরিষেবা আইন বলবৎ হওয়ার ফলে কৃষকরা তাদের উপাদিত ফসল বিক্রি করার নতুন সুযোগ পেয়েছেন, যাতে তাদের লভ্যাংশ বাড়বে। এর ফলে কৃষি ক্ষেত্র আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও সরকারি পর্যায়ে ফসল সংগ্রহ জারি থাকবে।  

        এই আইনগুলি কৃষকদের তাদের ফসল জমা রাখা এবং বিক্রির ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছে। কৃষকরা বিভিন্ন আইনী জটিলতা থেকেও মুক্ত হয়েছেন। কৃষকরা তাদের ফসল কৃষি বাজারের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করতে বাধ্য হবেন না এমনকি সরকার নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজারে কর দেওয়ার থেকেও তারা স্বাধীনতা পাবেন। কৃষকরা তাদের ফসলের দাম ৩ দিনের মধ্যে পাবেন। এইভাবে এক দেশ এক বাজার ব্যবস্থার স্বপ্ন পূরণ হবে।  

        শ্রী নাকভি বলেছেন, গ্রামের এবং কৃষকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার কৃষকদের অধিকার যে কোন মূল্যে রক্ষা করবে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের এ পর্যন্ত ৯২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

        শ্রী নাকভি আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন আগের মতোই দেশজুড়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ব্যবস্থা বজায় থাকবে। এর কোনও পরিবর্তন হবেনা। এমনকি অনেক ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও বাড়ানো হয়েছে। গমের ক্ষেত্রে কুইন্টাল প্রতি ১৯৭৫ টাকা, বার্লির ১ হাজার ৬০০ টাকা, ছোলার ৫ হাজার ১০০ টাকা, মুসুড় ডালের ৫ হাজার ১০০ টাকা, রেপ্সিড এবং সর্ষের ৪ হাজার ৬৫০ টাকা, কুসুমের ৫ হাজার ৩২৭ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধার্য করা হয়েছে।   

        মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৯-১০ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। ২২ কোটির বেশি কৃষককে সয়েল হেল্থ কার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮ কোটি কৃষক ফসল বিমা যোজনার সুবিধা পেয়েছেন। সরকার ১০ হাজারটি নতুন কৃষি পণ্য উৎপাদন সংস্থার জন্য ৬,৮৫০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। আত্মনির্ভর প্যাকেজের আওতায় কৃষি ক্ষেত্রে ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগে যেখানে কৃষি ঋণ ৮ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হত,  বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। ৬০ বছর বয়স পেরোলে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মান ধন যোজনায় সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা প্রতি মাসে পেনশন পাবেন। গত ৬ বছরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ৭ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, ইউপিএ সরকারের থেকে যার পরিমান দ্বিগুন।  

        চুক্তি ভিত্তিক চাষ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রী নাকভি বলেছেন, কৃষকদের ফসলের দাম নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকছে। কৃষক যদি চুক্তিতে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি চুক্তি বাতিল করতে পারেন। সংস্কারমুখী কৃষি আইনগুলি কৃষকদের স্বার্থ ১০০ শতাংশ রক্ষা করবে।

 

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1661788) Visitor Counter : 189