ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক

গ্রামাঞ্চলে অতিক্ষুদ্র-শিল্পায়ন প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবনে অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের প্রয়াস

Posted On: 17 SEP 2020 1:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


দিন কয়েক আগেই অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক ধূপকাঠি বানাতে আগ্রহী শিল্পীদের সহায়তার জন্য প্রদেয় সুযোগ-সুবিধা দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেছিল। ধূপকাঠি বানানোর সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রয়াসগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, মন্ত্রক আরও দুটি কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য নতুন নীতি-নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এই কর্মসূচি দুটি হল – মৃৎশিল্প এবং মৌ-প্রতিপালন।

মন্ত্রকের এই দুটি উদ্যোগ সুফলভোগী-কেন্দ্রিক স্বনিযুক্তির মাধ্যমে উপার্জনের এক উপায়। এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্য হল আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে অবদান রাখতে তৃণমূল স্তরের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটানো।

মৃৎশিল্প ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। এই লক্ষ্যে সরকার মৃৎ-শিল্পসামগ্রী তৈরির যন্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ, পরম্পরাগত মৃৎশিল্পীদের প্রযুক্তিগত দিকগুলি সম্পর্কে সচেতন করা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে মৃৎশিল্প বহির্ভূত শিল্পীদের মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদনে উৎসাহদান।

মৃৎশিল্পীদের উপার্জন বাড়াতে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তুলে নতুন নতুন সামগ্রী তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া এবং তাঁদের উৎপাদন খরচ কমানো ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মৃৎশিল্পীদের আধুনিক / স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম সম্পর্কে জানানো। নতুন ধরনের মৃৎ-সামগ্রী উদ্ভাবনে এবং কাঁচামালের আরও সৃজনশীল প্রয়োগ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক সামগ্রী উৎপাদন করা। মৃৎশিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় একাধিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে - টব, জল ভরে রাখার কলসি, জলের বোতল, সুসজ্জিত মৃৎ-সামগ্রী প্রভৃতি।

এই কর্মসূচির ফলে ৬,০৭৫ জনের বেশি পরম্পরাগত ও প্রথা-বহির্ভূত মৃৎশিল্পী, গ্রামের বেকার যুবক / প্রবাসী শ্রমিকরা লাভবান হবেন। এই কর্মসূচি খাতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। এছাড়াও, টেরাকোটা, রেড ক্লে পটারি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ক্লাস্টার স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে।

মৌ-প্রতিপালন কর্মসূচির আওতায় সরকার মৌমাছি ভর্তি বাক্স ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করবে। এছাড়াও, মৌ-প্রতিপালকদের মৌমাছি বাক্স দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযান যে জেলাগুলিতে রূপায়িত হচ্ছে, সেখানকার প্রবাসী শ্রমিকরাও এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। মৌ-প্রতিপালনের জন্য পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে সুফলভোগীরা মৌ-প্রতিপালনের আধুনিক পন্থা-পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন।

নতুন এই কর্মসূচি দুটি প্রসঙ্গে মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের উৎস সন্ধানে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলাই এর মূল্য উদ্দেশ্য।

২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই কর্মসূচির আওতায় মোট ২,০৫০ জন মৌ-প্রতিপালক, ছোট শিল্পোদ্যোগী, কৃষক ও বেকার যুবক তথা আদিবাসীরা লাভবান হবেন। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচির রূপায়ণের জন্য ১৩ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়াও, মৌ-প্রতিপালকদের জন্য মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ক্লাস্টার গড়ে তুলতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে।

মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এই কর্মসূচি দুটির নীতি-নির্দেশিকা সম্বলিত বিস্তারিত বিবরণ ইংরেজি ও হিন্দিতে দেওয়া রয়েছে। একইসঙ্গে, সামাজিক গণ-মাধ্যমগুলিতেও প্রকল্প দুটি সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।

 

 


CG/BD/DM



(Release ID: 1655653) Visitor Counter : 263