স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের প্রথম লক্ষণগুলি

Posted On: 15 SEP 2020 2:59PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


চীনের উহান শহরে অজানা এক নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছিল, এর পর ৬ই জানুয়ারী থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক চীনের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে শুরু করে। স্বাস্থ্য পরিষেবার মহা নির্দেশকের যৌথ নজরদারি গোষ্ঠী চীনের পরিস্থিতির পরযালোচনা করার জন্য ৮ই জানুয়ারী বৈঠক করে। বৈঠকে জন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রস্তুতি এবং কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।


লকডাউনের আগেই পরিস্থিতি অনুসারে সক্রিয়, সর্বাত্মক নানা ব্যবস্থা পর্যায় ক্রমে নেওয়া শুরু হয়। 

ভারতে ব্যাধিকে প্রতিহত করতে বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরে ১৮ই জানুয়ারী থেকে প্রতিটি যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয় । সংক্রমিত দেশগুলি থেকে আসা লক্ষণযুক্ত পর্যটকদের শনাক্ত করা হয় । পরবর্তীতে সমস্ত যাত্রীকেই শারীরিক পরীক্ষা করা শুরু হয় । ভ্রমণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এলাকাগত ভাবে নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হয় । একটি সুসংহত ব্যাধি নজরদারির ব্যবস্থাপনার সাহায্যে সংক্রমিতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় । প্রতিটি রাজ্য এবং জেলাস্তরে রোগ প্রতিহতকরণের কৌশল অবলম্বন করা হয়, যাতে বড়সড় সংক্রমণকে আটকানো যায় । ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা, নজরদারির ক্ষেত্রে পরামর্শ, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা আসবেন তাদের চিহ্নিত করা, নমুনা সংগ্রহ এবং সেগুলিকে পরীক্ষাগারে পাঠানো ও হোম কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । ভারতে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করা, নজরদারি এবং তাদের সংস্পর্শে যারা যারা এসেছেন, তাদের খুঁজে বের করার মত উদ্যোগ ১৮ই জানুয়ারী থেকে শুরু হয় । মূলত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রেই এই নিয়মগুলো প্রযোজ্য ছিল । বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের দেশে আসার ব্যাপারে বিভিন্ন বাধা-নিষেধ সংক্রান্ত পরামর্শ জারি  করা হয়েছে ।


কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রচুর মাত্রায় হয়েছে, এরকম  দেশগুলি থেকে যে সব যাত্রীরা এসেছেন, তাদের দেশে ঢোকার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে । পরবর্তীকালে বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীদেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হত । লকডাউনের আগে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৫৪টি উড়ানের ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৬৬ জন যাত্রীর বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় । এছাড়াও দেশের ১২টি বড় এবং ৬৫টি ছোট বন্দর ও স্থলবন্দরগুলিকেও পরীক্ষা করা হয়েছে । বিমানবন্দরের পাশাপাশি ১৬ লক্ষ ৩১ হাজার যাত্রীকে স্থলবন্দরে এবং ১২টি বড় ও ৬৫টি ছোট বন্দরে মোট ৮৬ হাজার ৩৭৯ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে । বিমানবন্দরগুলিতে কেন্দ্রীয় দল  মোতায়েন করা হয়েছিল, যারা যাত্রীদের যথাযথ ভাবে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি করেছিল ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে আজ রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন ।

 


CG/CB/AS



(Release ID: 1654786) Visitor Counter : 158