স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ভারতে কোভিড প্রতিষেধক বিকাশের অবস্থা

Posted On: 15 SEP 2020 2:58PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলি যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ ও কার্যকরী কোভিড-১৯ প্রতিষেধক নিয়ে আসার জন্য  যথাসাধ্য চেষ্টা করছে । প্রতিষেধক তৈরির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন জটিল পন্থাপদ্ধতির ওপর লক্ষ্য রেখে ঠিক কোন সময় এই প্রতিষেধক পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে মন্তব্য করা অত্যন্ত কঠিন কাজ ।

সরকার কোভিড-১৯ প্রতিষেধক পরিচালনে একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠন করেছে । এই গোষ্ঠীর পৌরহিত্য করছেন নীতি আয়োগের সদস্য এবং সহযোগিতা করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব । এই গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব, বায়োটেকনলোজি দফতরের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের মহানির্দেশক, স্বাস্থ্য গবেষণা দফতরের সচিব, অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের অধিকর্তা, ই.সি.ডি.-র প্রধান, জওহরলাল ইন্সটিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধিকর্তা এবং বিভিন্ন রাজ্যের ব্যয় বিভাগের প্রতিনিধিরা । এই কমিটি প্রতিষেধক বিতরণ, উপযুক্ত প্রতিষেধক নির্বাচন, সংগ্রহ, পরিবহণ, আর্থিক ও জাতীয় / আন্তর্জাতিক ইক্যুইটি ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে ।


সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ভারতের নিম্নলিখিত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক তৈরি, পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণ করার অনুমতি দিয়েছে । সেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি হল –


১) পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া প্রাইভেড লিমিটেড
২) আমেদাবাদের ক্যাডিলা হেল্থ কেয়ার লিমিটেড
৩) হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড
৪) হায়দ্রাবাদের বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড
৫) মুম্বাইয়ের রিলায়েন্স লাইফসায়েন্স প্রাইভেড লিমিটেড
৬) হায়দ্রাবাদের অরবিন্দ ফার্মা লিমিটেড
৭) পুনের জিনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আই.সি.এম.আর.) ভারত সরকারের স্বাস্থ্য গবেষণা দফতরের অন্তর্গত স্বশাসিত সংস্থা জানিয়েছে যে, এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ভারতে কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে ।

i)    বি.বি.আই.এল.-এর অর্থ হল ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড । এই সংস্থাটি সার্স-কোভ-টু-এর জীবাণু সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করতে একটি প্রতিষেধক তৈরি করেছে । পুনের আই.সি.এম.আর-এর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে এই প্রতিষেধক ব্যবহার করা হয়েছে । এই প্রতিষেধক প্রাথমিক ভাবে ইঁদুর এবং খরগোশের মত ছোট প্রাণীর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের সুরক্ষা ও সহনশীলতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য । প্রথম পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সঙ্গে বড় প্রাণীর দেহে প্রতিষেধক প্রয়োগ করে গবেষণার কাজ চলছে । ইমিউনোজিনিটি পরীক্ষার কাজ চলছে ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজ চলছে ।

ii)    ক্যাডিলা হেল্থকেয়ার লিমিটেড একটি ডি.এন.এ. প্রতিষেধক তৈরি করেছে । প্রাক ক্লিনিক পর্যায়ে তারা ইঁদুর, খরগোশের মত ছোট প্রাণীর দেহে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করেছে । এই প্রতিষেধকটি যথেষ্ট নিরাপদ হিসেবে দেখা গেছে এবং ইমিউনোজেনিক হিসেবে পাওয়া গেছে । সমান্তরাল ভাবে প্রাক ক্লিনিক পর্যায়ে বড় প্রাণীর দেহে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে গবেষণার কাজ চলছে । প্রথম পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজ সম্পন্ন হয়েছে । দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজ চলছে এখনও ।

iii)    সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং আই.সি.এম.আর. দুটি বাইরের দেশের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার কাজ চালাচ্ছে । অক্সফোর্ট/অ্যাস্ট্রোজেনেকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা ভাইরাল ভেক্টর প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছে তারা । এই প্রতিষেধকটি ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার কাজ চলছে । আই.সি.এম.আর. সম্মিলিত ভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণার কাজ শুরু করেছে তার ১৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কেন্দ্রে । আই.সি.এম.আর. এবং চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ ইন টিউবারকিউলেসিস যৌথভাবে এই গবেষণার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে । আই.সি.এম.আর. এবং এস.আই.আই. মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্সের তৈরি গ্লাইকোপ্রোটিন সাবুনিট ন্যানোপার্টিক্যাল অ্যাডজভান্টেড প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অংশিদার হয়েছে । এস.আই.আই. সংস্থার প্রতিষেধক তৈরি করার পর অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ট্রায়ালের কাজ শুরু করবে । এক্ষেত্রে আই.সি.এম.আর. এবং পুনের ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইন্সটিটিউট এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের বায়োটেকনলোজি দফতরের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী ৩০টিরও বেশি প্রতিষেধক তৈরির কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ।


আই.সি.এম.আর. প্রতিষেধক উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা ও অন্যান্য কাজের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন স্বশাসিত সংস্থা বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণা পর্ষদ কোভিড-১৯ প্রতিষেধক গবেষণার ক্ষেত্রে তিনটি প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে । এর জন্য ২২ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৭৯ টাকা ব্যয় বরাদ্দ করেছে । এমনকি, ৩,২০,৭৮,১৬১ টাকা ব্যয় বরাদ্দে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ।


বায়োটেকনলোজি দফতর মানব শরীরে প্রতিষেধক তৈরিতে এবং সে সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বিভিন্ন সংস্থার আটটি প্রস্তাবে সাহায্যের জন্য মোট ৭৫ কোটি টাকা সাহায্য দিচ্ছে ।

রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে । 

 

 


CG/SS/AS



(Release ID: 1654785) Visitor Counter : 194