পর্যটনমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের উদ্যোগে দেখো আপনা দেশ ওয়েবিনার সিরিজের আওতায় আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে “সেলুলার জেল : চিঠি, স্মৃতিচারণ ও স্মৃতি কথা” শীর্ষক দ্বিতীয় ওয়েব ভিত্তিক আলোচনা সভা

Posted On: 12 AUG 2020 1:26PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১২ আগষ্ট, ২০২০

 

 


দেশে ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। এরই অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক আজ দেখো আপনা দেশ ওয়েবিনার সিরিজের আওতায় “সেলুলার জেল : চিঠি, স্মৃতিচারণ ও স্মৃতি কথা” শীর্ষক দ্বিতীয় ওয়েব ভিত্তিক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দেখো আপনা দেশ-এর ৪৭ তম এই ওয়েবিনার সিরিজটি উপস্থাপন করেন ইন্ডিয়া সিটি ওয়াকস্ অ্যান্ড ইন্ডিয়া উইথ লোকালস্-এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা শ্রীমতী নিধি বনসল, ইন্ডিয়া উইথ লোকালস্ অ্যান্ড ইন্ডিয়া হেরিটেজ ওয়াকস্-এর পরিচালন প্রধান ডঃ সৌমী রায়। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত কর্মসূচীর আওতায় ভারতের সমৃদ্ধশালী বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে এই ওয়েবিনার সিরিজের আয়োজন করা হয়েছিল।


এই ওয়েবিনার সিরিজে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যময় অধ্যায় ও সেলুলার জেলের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। বীর সভারকর, বটুকেশ্বর  দত্ত, ফজল-ঈ-হকখাইরাবাদি, বারীন্দ্র কুমার ঘোষ, সুশীল দাশগুপ্তের মতো বিখ্যাত কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বন্দী জীবন এবং গল্প কথা উপস্থাপন করা হয় এখানে। আন্দামানে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তাও তুলে ধরা হয় এই ওয়েবিনারের মাধ্যমে।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পোর্ট ব্লেয়ারের সেলুলার জেল এমন একটি কারাগার ছিল, যেখানে ব্রিটিশরা ভারতীয় স্বাধীতা সংগ্রামীদের নির্বাসনে পাঠাতো। সেখানে অত্যন্ত অমানবিক পরিস্থিতিতে বন্দীদের রাখা হতো। আজ এই সেলুলার জেল একটি জাতীয় স্মৃতি সৌধ। এই সেলুলার জেল ছিল নির্জন কারাবাস। এখানে পৃথক পৃথক কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেলুলার জেলের বিভিন্ন  তলেই ছিল কড়া পাহারার ব্যবস্থা। একেকটি কক্ষের দৈর্ঘ্য ছিল ৯ ফুট বাই ১৫ ফুট। ছিলো একটি করে ৯ ফুটের জানালা। এই কক্ষগুলি এমনভাবে নির্মিত হয়েছিল যাতে বন্দীদশা অবস্থায় কোনো স্বাধীনতা সংগ্রামী একে অপরের সঙ্গে কোনোভাবেই আলাপচারিতা বা কথাবার্তা না চালাতে পারে।


এই ওয়েবিনারে উপস্থাপকরা স্মরণ করিয়ে দেন কিভাবে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তারলাভ করেছিল এবং ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময় ইংরেজ সাম্রাজ্য দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক পরিবেশে সাক্ষী ছিল গান্ধীজীর অহিংসার নীতি, গণ আন্দোলন এবং স্বাধীনতার জন্য  সংগ্রাম। ১৮৯৬ সালে এই সেলুলার জেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১৯১০ সালে এর কাজ শেষ হয়। সম্পূর্ণ ইঁটের তৈরি এই জেলে স্থাপত্যের একটি সুন্দর নিদর্শনও রয়েছে। জেলের উপরিভাগে বন্দীদের নজরদারির জন্য পাহারার ব্যবস্থাও ছিলো।


সেলুলার জেল ব্রিটিশরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কারাবাসে পাঠাতো এবং সেখানে চলতো চরম নির্যাতন। এই সেলুলার জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সাভারকরকে ১৯১১ সালে ৫০ বছরের জন্য কারাবাসে নির্বাসিত করা হয়। বটুকেশ্বর দত্ত, ফজল-ঈ-হকখাইরাবাদি, বারীন্দ্র কুমার ঘোষ, সুশীল দাশগুপ্তের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নির্বাসনের বিভিন্ন কাহিনী তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অধিকর্তা শ্রী রাজেশ কুমার সাহু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী  আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল্ সংযোগ-এর সূচনা করেছেন সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। এই সংযোগ ব্যবস্থাপনা দ্বীপপুঞ্জের কাছে অফুরন্ত সুযোগ সুবিধে এনে দিয়েছে। এর ফলে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে খুব সস্তায় এবং ভালো মোবাইল  যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুযোগ সুবিধা মিলছে বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে আগামী দিনে  অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা, টেলিমেডিসিন, ব্যাঙ্কিং
ব্যবস্থাপনা এবং অনলাইন বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে গতি আসবে বলেও তিনি জানান।


এখন ওয়েবিনার সিরিজগুলি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ইউটিউব-এও দেখা যাবে। এর লিঙ্কটি হল -  https://www.youtube.com/channel/UCbzIbBmMvtvH7d6Zo_ZEHDA/featured



আগামী ১৪ আগস্ট সকাল ১১টা পরবর্তী ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এই ওয়েবিনারের বিষয় ভাবনা হলো “জালিয়ানওয়ালাবাগ : স্বাধীনতা সংগ্রামের এক মোড়”। ওয়েবিনারে নাম নথিভুক্ত করার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্ক-এ ক্লিক করুন - https://bit.ly/JallianwalaBaghDAD   
 

 


CG/SS/SKD



(Release ID: 1645408) Visitor Counter : 144