স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
কোভিড-১৯ এ সংক্রমিতদের মৃত্যু হার হ্রাস করতে রাজ্যগুলিকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিল কেন্দ্র; যেসব রাজ্যে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেশি, সেখানে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি প্রয়োজন
Posted On:
08 AUG 2020 3:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৮ অগাস্ট, ২০২০
কেন্দ্রের কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সমন্বিত ও পর্যায়ক্রমে সক্রিয় ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে কোভিড সংক্রমিতদের মৃত্যু হার হ্রাস পাচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কেন্দ্রের উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে এই হার ২.০৪ শতাংশ। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ৭ ও ৮ই অগাস্ট দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজীব ভূষণের পৌরহিত্যে এই বৈঠকে অনলাইনের মাধ্যমে রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা যোগ দেন। যেসব রাজ্যে কোভিড সংক্রমিতদের মৃত্যু হার জাতীয় হারের থেকে বেশি, সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আজকের বৈঠকে ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৩টি জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এগুলি হ’ল – আসামের কামরূপ (নগর), বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের রাঁচি, কেরলের আলাপুঝা এবং তিরুবনন্তপুরম, ওডিশার গঞ্জাম, উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলী, হাওড়া, কলকাতা ও মালদা এবং দিল্লি। দেশে মোট সংক্রমিতদের ৯ শতাংশ এবং কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর ১৪ শতাংশ এই জেলাগুলিতে হচ্ছে। এখানে প্রতি ১০ লক্ষের হিসাবে নমুনা পরীক্ষার হার কম এবং সংক্রমিতের হার বেশি। আসামের কামরূপ (নগর), উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ এবং কেরলের তিরুবনন্তপুরম এবং আলাপুঝা জেলায় দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈঠকে ঐ ৮টি রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য সচিব এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টররা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে পরীক্ষাগারে যতগুলি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব দৈনিক সেই পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করে। এছাড়াও, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়া এবং যে সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সংক্রমণ হয়েছে, তাঁদের দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জেলায় সংক্রমিতরা হাসপাতালে ভর্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। সেইসব জেলাগুলিকে সঠিক সময়ে সংক্রমিতদের হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও অ্যাম্বুলেন্স যাতে সংক্রমিতদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা না করে, রাজ্যগুলিকে সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। যাঁরা হোম আইসোলেশনে আছেন, তাঁদের টেলিফোনের মাধ্যমে অথবা বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসকদের খোঁজ-খবর দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইসিইউ বেড, অক্সিজেন সরবরাহ সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর উন্নতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
নতুন দিল্লির এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মঙ্গলবার এবং শুক্রবার – সপ্তাহে এই দু’দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসারত কোভিড সংক্রমিতদের বিষয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর ফলে, সংক্রমিতদের মৃত্যু হার হ্রাস পাচ্ছে। রাজ্যগুলিকে এই ভিডিও কনফারেন্সে হাসপাতালের চিকিৎসকদের যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাফার জোন এবং কন্টেনমেন্ট এলাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমস্ত নির্দেশিকা যাতে যথাযথভাবে মেনে চলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, যাঁরা কোনও জটিল অসুখে ভুগছেন, গর্ভবতী মহিলা, প্রবীণ নাগরিক এবং শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রকৃত ও সর্বশেষ তথ্য সংক্রান্ত টেকনিক্যাল বিষয়, নীতি-নির্দেশিকা এবং পরামর্শের জন্য নিয়মিত https://www.mohfw.gov.in/ এবং @MoHFW_INDIA –এই ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।
টেকনিক্যাল বিষয়ে জানার জন্য technicalquery.covid19[at]gov[dot]in, ncov2019[at]gov[dot]in এবং @CovidIndiaSeva - এখানে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে জানার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হেল্পলাইন নম্বর : +91-11-23978046 or 1075 (টোল ফ্রি) – এ যোগাযোগ করুন। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির হেল্পলাইন নম্বরের তালিকা নীচের লিঙ্কে দেওয়া রয়েছে - https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf
CG/CB/SB
(Release ID: 1644480)
Visitor Counter : 234