অর্থ কমিশন

শহরাঞ্চলের স্বশাসিত সংস্থাগুলির সম্পত্তি কর নির্ধারণের বিষয়ে আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে অর্থ কমিশনের বৈঠক

Posted On: 17 JUL 2020 5:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ জুলাই, ২০২০

 

 

 

পঞ্চদশ অর্থ কমিশন আজ কেন্দ্রীয় আবাসন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী সহ মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে শহরাঞ্চলের স্বশাসিত সংস্থাগুলির দ্বারা নির্ধারিত সম্পত্তি কর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন ২০২০-২১ সালে সম্পত্তি কর ধার্য করার বিষয়ে রাজ্যগুলিকে যে নির্দেশ দিয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করেই আজকের এই বৈঠক। ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, রাজ্যের নিজস্ব মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে  সম্পত্তি করের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

 

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে কমিশন রাজ্য শহরাঞ্চলের স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে সম্পত্তি কর আদায়ের বিষয়ে দক্ষভাবে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সম্পত্তি কর নির্ধারণের সময় দেখা যায়, প্রকৃত মূল্যের পরিবর্তে কম মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়াও  তথ্যের ঘাটতি এবং সম্পত্তি নিবন্ধীকরণের কাজ শেষ না হওয়ার মতো সমস্যাগুলির কারণে কর কম আদায় হয়। এর সঙ্গে প্রশাসনিক দক্ষতা নীতির স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।

 

আজকের আলোচনায় শহরাঞ্চলের স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে সম্পত্তি কর নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রশাসনের মূল দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে, দায়িত্ব বন্টনে স্বচ্ছতা আসবে। এই সংস্থাগুলি প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলি মূল্যায়নের মাধ্যমে করের হার নির্ধারণ করবে এবং ওই নির্ধারিত কর আদায় করবে।

 

মন্ত্রকের সচিব শ্রী দুর্গাশঙ্কর মিশ্র পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপিত করেন। আবাসন নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি কমিশনকে দেওয়া হয় যেখানে ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে বিভিন্ন প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবগুলির মধ্যে আর্থিক বহির্ভূত প্রস্তাবগুলি হল -

) সম্পত্তি করের বাধ্যতামূলক শর্তের পরিবর্তন;

) বায়ু দূষণ রোধ করতে শহরগুলির জন্য বিশেষ তহবিল;

) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জল সরবরাহের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করা;

) কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শহরাঞ্চলের স্বশাসিত সংস্থাগুলির জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা এবং জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৯.৫ শতাংশ হারে কেন্দ্রীয় করের ব্যবস্থা;

) পরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিভিন্ন নিয়ম পালনের নজরদারীর জন্য পর্ষদ গঠন ও হিসেব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে শহরাঞ্চলের স্বশাসিত সংস্থাগুলির সংস্কার; এবং

) ৮৬টি শহরের ক্লাস্টারে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, ৩,৩৩১টি শহরে পুর পরিষেবার উন্নয়নে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো ইত্যাদি।

 

মন্ত্রক অর্থ সংক্রান্ত যে সুপারিশগুলি করেছে সেগুলির মধ্যে আছে -

) পুরসভাগুলির সম্পদের ঘাটতি মেটানো। বিভিন্ন তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি যা কমপক্ষে চারগুণ বাড়ানো প্রয়োজন।

) মন্ত্রক কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি ইউনিট তৈরি করতে চায় যার জন্য খরচ হবে ২১৩ কোটি টাকা।

) বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৪৫০ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করতে হবে।

 

মন্ত্রক সব মিলিয়ে কমিশনের কাছে যা যা চেয়েছে সেগুলি হল -

) পুরসভাগুলির জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৮৭,১৪৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,৪৮,৫৭৫ কোটি টাকা;

) রাজ্য এবং কেন্দ্রের অংশীদারীত্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ২১৩ কোটি টাকার তহবিল তৈরি;

) ৮৬টি সিটি ক্লাস্টারের জন্য ৪৫০ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি౼ যার মাধ্যমে বিভিন্ন পুরসভার পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার আদান প্রদান করতে পারে;

) শহরাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য পৃথক তহবিল গঠন; এবং

) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের থেকে শহরাঞ্চলের বায়ু দূষণ প্রতিরোধে বিশেষ তহবিল।

 

মন্ত্রক কমিশনকে জানিয়েছে, গুজরাট, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং উত্তরপ্রদেশের নগরায়ন মন্ত্রীদের একটি বিশেষ পরামর্শদাতা গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে যারা সম্পত্তি কর, শহরাঞ্চলের বিভিন্ন কর ব্যবস্থার বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।

 

কমিশন মন্ত্রককে আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, তাদের সমস্ত প্রস্তাবগুলি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হবে।

 

 

 

CG/CB/DM



(Release ID: 1639542) Visitor Counter : 143