আবাসনএবংশহরাঞ্চলেরদারিদ্র্যদূরীকরণমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল), স্মার্ট সিটিজ মিশন ও অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন এন্ড আরবাণ ট্রান্সফরমেশন(এএমআরইউটি) – নগরোন্নয়নের এই মিশনগুলির পঞ্চম বার্ষিকী
Posted On:
25 JUN 2020 4:50PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৫শে জুন, ২০২০
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে ভারত, অত্যন্ত সুসংহত পরিকল্পিত নগরায়নের এক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। নতুন ভারত গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেখেছিলেন, তার সঙ্গে সাজুয্য রেখে আমাদের এই ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ১২ই মে কুটীরশিল্প, ক্ষুদ্রশিল্প, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও কৃষকদের সাহায্য করার জন্যে প্রধানমন্ত্রী, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সূচনা করেন। লকডাউনের ফলে কোটি কোটি মানুষের জীবিকায় যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তার থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।’ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল) (পিএমএওয়াই – ইউ), স্মার্ট সিটিজ মিশন (এসসিএম) ও অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন এন্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন (এএমআরইউটি) –এর পঞ্চমবর্ষপূর্তী উপলক্ষে এক ওয়েবিনারে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। মন্ত্রকের সচিব, শ্রী দূর্গাশঙ্কর মিশ্র এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, শহরাঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্য এবং বাস্তবায়নের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে এই কর্মসূচী গ্রহণ করেছিল। অনুষ্ঠানে মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বর্ষীয়ান আধিকারিকরাসহ এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই ওয়েবিনারে যেসমস্ত ঘোষণাগুলি করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হলঃ-
১) আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি বৈদ্যুতিন পুস্তিকায় মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচীর সাফল্য ও কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানানো হয়।
২) ন্যাশন্যাল ইনস্টিটিউট অফ আরবান অ্যাফেয়ার্স (এনআইইউএ) এর ওয়েবসাইটটি নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। নগরোন্নয়নের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এই ওয়েবসাইটের একটি তথ্যভান্ডারে রয়েছে।
৩) ন্যাশন্যান আরবান লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হল ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে দক্ষতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে যথাযথভাবে শহর, রাজ্য ও জাতীয়স্তরে সুপ্রশাসনের বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়।
৪) এনআইইউএ, ক্লাইমেট সেন্টার ফর সিটিজ (সি৩) – এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শহরাঞ্চলের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্মের বিষয়ে তথ্য রয়েছে।
৫) এনআইইউএ, সেন্টার ফর ডিজিটাল গর্ভন্যান্স (সিডিসি) – এর মাধ্যমে মন্ত্রক, দেশের সমস্ত রাজ্য এবং শহরে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় শহরাঞ্চলে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক কাজে গতি আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
৬) ভিডিওর সূচনা – পিএমএওয়াই (ইউ) এর কাজের খতিয়ান - পিএমএওয়াই (ইউ) এর বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি এবং সাফল্য তুলে ধরে একটি ভিডিওতে এই কর্মসূচীর সুবিধাভোগীদের বক্তব্য জানানো হয়েছে।
৭) পিএমএওয়াই এর খুশিয়োঁ কা আশিয়ানা - পিএমএওয়াই (ইউ) এর বৈদ্যুতিন পুস্তিকার উদ্বোধন – পিএমএওয়াই এর কাজের সাফল্য এবং অগ্রগতির খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের বক্তব্য এই পুস্তিকায় তুলে ধরা হয়েছে।
৮) এএমআরইউটি-এর কাজের সাফল্যের উপর একটি ভিডিও প্রকাশ – এএমআরইউটি এর বিভিন্ন কাজের সাফল্য ও অগ্রগতির খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের বক্তব্য ভিডিওটিতে জানানো হয়েছে।
৯) কোভিড ডায়েরি – বই প্রকাশ – কোভিড – ১৯ মহামারির সময় স্মার্টসিটি মিশনের বিভিন্ন দল নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার যে পরিবর্তন নিশ্চিত করেছে, সেবিষয়ে দলের সদস্যদের ব্যক্তিগত মতামত জানানো হয়েছে কোভিড ডায়েরিতে।
১০) কোভিড – ১৯ এর মোকাবিলায় স্বপ্রতিভ উদ্যোগ – বই প্রকাশ – ভারতের শহরগুলি সক্রিয়ভাবে নতুন নতুন পন্থা উদ্ভাবন করে কিভাবে এই মহামারির মোকাবিলা করছে, সেবিষয়ে এই পুস্তকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
১১) সিটি ফিন্যান্স পোর্টাল – শহরাঞ্চলের নগরপ্রশাসনের আর্থিক তহবিলের যোগানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পুরসভাগুলির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং রাজস্ব আদায়ের ভালো নিয়ম নিয়ে মতবিনিময়ের সুযোগ রয়েছে এই পোর্টালে।
১২) সাইকেলস ফর চেঞ্জ চ্যালেঞ্জঃ কোভিড – ১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে দেশের স্মার্টসিটি মিশনগুলি সাইকেল চালানোর জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে। রাস্তার একদিকে সাইকেল এবং মোটরবাহিত নয়, এরকম গাড়ি চালানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া দেবার প্রকল্প এবং সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এএমআরইউটি, এসসিএম এবং পিএমএওয়াই (ইউ) এর কাজের অগ্রগতি এবং সাফল্য
অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন এন্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন (এএমআরইউটি)
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালের ২৫শে জুন এএমআরইউটি প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। শহরাঞ্চলে পানীয় জল সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশী ব্যবস্থার উন্নতি ও জমা জল নিষ্কাশন, পরিবেশ বান্ধব নানা উদ্যোগ গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য। ৫০০টি শহরে বাসিন্দা, দেশের শহরাঞ্চলে বসবাসকারী ৬০ শতাংশ মানুষ এই কর্মসূচীর আওতায় এসেছেন।
• এপর্যন্ত রাজ্যস্তরের বার্ষিক পরিকল্পনাবাবদ ৭৭,৬৪০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫,৮২৯ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০,৬৫৪ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে ও ৬৫,১৭৫ কোটি টাকার কাজ শেষ হবার পথে।
• পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে ৩৯,০১১ কোটি টাকা ও পয়ঃনিষ্কাশী প্রকল্পে ৩২,৫৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
• সুসংহত উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় স্তরে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল ও ১ কোটি ৪৫ লক্ষ বাড়িতে পয়ঃনিষ্কাশী ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
• ৭৯ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং ৪৫ লক্ষ বাড়িতে পয়ঃনিষ্কাশী ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। এর মধ্যে বস্তি এলাকা ও নিম্নবৃত্ত পরিবারগুলির বাড়িও রয়েছে।
• শহরাঞ্চলে উন্নত প্রশাসনের জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ রকমের সংস্কার রূপায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
• দেশের শহরগুলিতে জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য ৭৬ লক্ষ স্ট্রিটলাইটে এলইডি বাল্ব লাগানো হয়েছে।
• শহরাঞ্চলে বাড়ি তৈরির অনুমোদন অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়ার জন্য অনলাইন বিল্ডিং পারমিশন সিস্টেম (ওবিপিএস) বাস্তবায়িত হয়েছে। এর ফলে ৪৪৪টি এএমআরইউটি শহর সহ ২০৫৭টি শহরে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্মাণ শিল্পে সহজে ব্যবসা করার নিরিখে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ভারত, ২৭ ধাপ উঠে এসেছে।
• বিনিয়োগ বান্ধব শহর হিসেবে ৫০০টি শহরের মধ্যে ৪৬৯টি শহরে ক্রেডিট রেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষে মিউনিশিপ্যাল বন্ড ছেড়ে ৮টি শহর ৩,৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই অর্থ নাগরিক পরিষেবা প্রদানে ব্যয় করা হবে। ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন সংস্কারমুখী কর্মসূচী রূপায়নের জন্য মন্ত্রক, ১,৮৩৯ কোটি টাকা উৎসাহ ভাতা হিসেবে দিয়েছে। এর মধ্যে মিউনিশিপ্যাল বন্ডের মাধ্যমে মূলধন যোগানের জন্য ১৮১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত ৫৩,০০০ জনকে নাগরিক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
স্মার্ট সিটিজ মিশন (এসসিএম)
শহরগুলিতে মূল পরিকাঠামোগুলির ব্যবস্থা করা, নাগরিকদের উন্নতমানের জীবনযাত্রার সুযোগ করে দেওয়া ও স্থিতিশীল পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৫শে জুন স্মার্ট সিটিজ মিশন চালু করা হয়। এপর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ১,৬৬,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ১,২৫,০০০ কোটি টাকার কাজ শুরু করার অনুমতি পাওয়া গেছে। ২৭,০০০ কোটি টাকার বেশি অর্থমূল্যের প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
• ৩২,৫০০ কোটি টাকার ১০০০টি অতিরিক্ত প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা হয়েছে এবং ৩৬,০০০ কোটি টাকার ১০০০টি প্রকল্পের কাজ গতবছর শেষ হয়েছে।
• গতবছর যে প্রকল্পগুলি শেষ হয়েছে, তার মোট আর্থিক পরিমাণ ১২,১০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে মোট বিকাশের পরিমাণ ১৮০ শতাংশ।
• কোভিড মহামারির মোকাবিলায় স্মার্টসিটি মিশনের আওতায় সুসংহত পরিচালন ব্যবস্থাপনার জন্য ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টারস (আইসিসিসি) গড়ে তোলা হয়েছে। ৪৭টি আইসিসিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কোভিড সমস্যার মোকাবিলা করা হচ্ছে।
• ৩৩টি আইসিসিসি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় উন্নত সড়ক ও ছোট রাস্তা নির্মাণ, জল সরবরাহ, সৌরশক্তির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা ও সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে।
• দ্য আরবান লারনিং ইন্টার্ণশিপ প্রোগ্রাম (টিউলিপ) প্রকল্পের মাধ্যমে শহরাঞ্চলের এবং স্মার্টসিটিগুলির স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থায় সদ্য পাশ করা স্নাতকরা শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজের সুযোগ পাবেন। ২৫,০০০ এর বেশি ছাত্র এই প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করেছেন। বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যেই ১০০০ শিক্ষানবীশ কাজ করছেন। এর ফলে আমাদের শহরগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তরুণ-তরুণীরা কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন।
• এসসিএম-এর আওতায় ক্লাইমেট স্মার্ট সিটিজ ও ডেটা স্মার্ট সিটিজ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য পরিচালন পদ্ধতিতে বিভিন্ন তথ্যের যোগান দেওয়া ও শহরাঞ্চলে নানা উদ্ভাবনী কর্মসূচী এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
• সহজে জীবনযাত্রা ও পুরসভার কাজের খতিয়ানের সূচক কর্মসূচীতে দেশের ১১৪টি শহর অংশ নিয়েছে। মন্ত্রক, সহজ জীবনযাত্রার কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন শহরে সমীক্ষা চালিয়েছে। এই সমীক্ষায় ৩০ লক্ষ নাগরিক অংশগ্রহণ করে, তাদের মূল্যবান মতামত জানিয়েছেন।
• দেশের প্রথম সারির ২০টি শহর সিস্টার সিটিজ কর্মসূচীর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া ২০টি শহরের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। এই কর্মসূচীতে সংশ্লিষ্ট শহরগুলির নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। শহরগুলি একে অন্যকে সাহায্য করছে ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে।
• মিউনিশিপ্যাল বন্ডের মাধ্যমে স্মার্টসিটি মিশনের আওতায় থাকা বিভিন্ন উৎসাহী শহরকে তহবিল তৈরিতে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ, মিউনিশিপ্যাল বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার শেখার পদ্ধতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবার ব্যবস্থা করেছে।
• ‘অগ্নি’ ও ইনভেস্ট ইন্ডিয়া’র সঙ্গে স্মার্টসিটিগুলি যৌথ উদ্যোগে নতুন শিল্পদ্যোগ শুরু করার বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছে। স্মার্ট টেকনোলজি শো-কেসের মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ এবং নগর প্রশাসনগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল) (পিএমএওয়াই (ইউ)) –
২৫শে জুন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল) এর পঞ্চম বর্ষপূর্তি হল౼শহরাঞ্চলে প্রত্যেকের পাকা বাড়ি ২০২২ সালের মধ্যে নিশ্চিত করতে হাউজিং ফর অল এর আওতায় এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। আবাস ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, পিএমএওয়াই (ইউ), ১ কোটি ১২ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের আবেদন পেয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৬৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে এবং ৩৫ লক্ষ বাড়ি ইতিমধ্যে তৈরি করে সুবিধাভোগীদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে।
• গত ৫ বছরে এই প্রকল্পের আওতায় যত বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা এর আগের শহরাঞ্চলের আবাসন যোজনার প্রকল্পে ১০ বছরে অনুমোদিত বাড়ির ৮গুণ বেশি।
• পিএমএওয়াই (ইউ) এর বাস্তবায়নের জন্য মূলধনের সমস্যা যেন না হয়, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। তার ফলে ৭০০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ে উঠেছে।
• প্রথমবারের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ক্রেডিট লিঙ্ক সাবসিডিজ স্কীম চালু করা হয়েছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, নিম্নআয়ের ও মধ্যবিত্ত ১০ লক্ষ সুবিধাভোগী ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন।
• সরকার, গ্লোবাল হাউজিং টেকনোলজি চ্যালেঞ্জ– ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ৬টি রাজ্যে লাইট হাউস প্রকল্পের কাজ করছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিকল্প ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে যার মাধ্যমে স্থিতিশীল পরিবেশ বান্ধব প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধী বাড়ি দ্রুত তৈরি করা যাবে এবং এক্ষেত্রে বেশি ব্যয় হবে না।
• অঙ্গীকার – ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনের এক নতুন যুগ, এই প্রকল্পটি ২০১৯ সালে ৪০০০ শহরে সূচনা হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা নবনির্মিত বাড়িতে বসবাস শুরু করবেন। যেখানে তাঁদের উজ্জ্বলা যোজনা ও আষুষ্মান ভারত কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ বাড়িকে এই প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
• আত্মনির্ভর ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যাফরডেবল রেন্টাল হাউজিং কমপ্লেক্স প্রকল্পের ঘোষণা ১৪ই মে অর্থমন্ত্রী করেছেন। শহরাঞ্চলে পরিযায়ী শ্রমিক, দরিদ্র মানুষ, রাস্তার হকার, রিক্সাচালক, কারখানার শ্রমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী সহ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের কম খরচে এই প্রকল্পে ভাড়া বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।
• এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজে অর্থনীতিতে গতি আসবে। ১ কোটি ৬৫ লক্ষ নাগরিক এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত হতে পারবেন। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে ওঠার পাশাপাশি, ৩৭০ লক্ষ মেট্রিকটন সিমেন্ট ও ৮৪ লক্ষ মেট্রিকটন ইস্পাত এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যবহৃত হবে। তার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1634425)
Visitor Counter : 460