বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

এনসিএসটিসি, ডিএসটি বিজ্ঞান প্রসারের সঙ্গে যৌথভাবে সূর্যগ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে

Posted On: 21 JUN 2020 5:55PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২২ জুন, ২০২০

 



কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন (এনসিএসটিসি) বিজ্ঞান প্রসারের সঙ্গে সহযোগিতায় ২১ জুনের সূর্যগ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের চত্ত্বরে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ছাড়াও বিজ্ঞানী, আধিকারিক ও কর্মীরা এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যটি দেখেন। এই সূর্যগ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটির ছবিও তুলে রাখা হয়েছে। 


এবারের সূর্যগ্রহণ উত্তরায়নের দিন দেখা গিয়েছিল যেদিনটি হল উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন। বিজ্ঞান প্রচারকদের কাছে এটি ছিল দারুণ এক সুযোগ যার মধ্য দিয়ে এই মহাজাগতিক ঘটনাটির বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রকৃত ব্যাখ্যা তাঁরা করতে পেরেছেন এবং মানুষের মধ্যে নানা ভ্রান্ত ধারণা ও অন্ধবিশ্বাস দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


১৯৮০ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী যখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, অনেকেরই মনে থাকতে পারে সেইসময় ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির মধ্যে ছিলেন। উৎসাহী কিছু বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ ছাড়া অজানা আশঙ্কায় রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। স্কুল, কলেজ, বাজার, হাট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৪শে অক্টোবর আর একটি সূর্যগ্রহণের সময় এনসিএসটিসি মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন বিজ্ঞান মঞ্চ, বৈজ্ঞানিক এবং সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালিয়েছিল। সেইসময় মাইলার ফিল্ম রোদ চশমার সাহায্যে সেই সূর্যগ্রহণ দেখানোরও ব্যবস্থা হয়েছিল।


সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানোর ফলে পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এবারও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সতর্কতা অবলম্বন করে বহু মানুষ সূর্যগ্রহণ দেখেছেন। নৈনিতালের আর্যভট্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ অবসারভেশনাল সায়েন্সেস ছাড়াও ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এবং বিজ্ঞান প্রসার বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সূর্যগ্রহণ অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেছে।

 



CG/CB/NS



(Release ID: 1633405) Visitor Counter : 138