কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট ডায়াবেটোলজিস্ট ডঃ জীতেন্দ্র সিং বলেছেন, মধুমেহ রুগীদের কাছে কোভিড বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে
प्रविष्टि तिथि:
20 JUN 2020 7:10PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২০ জুন, ২০২০
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট ডায়াবেটোলজিস্ট ডঃ জীতেন্দ্র সিং আজ বলেছেন, মধুমেহ আক্রান্ত রুগীদের কাছে কোভিড বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অফ ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ ডায়াবেটসের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে ডঃ সিং একথা বলেন। এই প্রথমবার মধুমেহ রোগ সংক্রান্ত এ ধরণের অনুষ্ঠান অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজন করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে ডঃ সিং বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলিতেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে উসাহিত করছে। যার প্রমাণ মিলছে আন্তর্জাতিক স্তরে অনলাইনে এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে।
ডঃ সিং ভারতে এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশিষ্ট এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডঃ শশাঙ্ক জোশী, ডঃ বংশী সাবু সহ অন্যান্য বিশিষ্ট চিকিসক যাঁরা এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁদের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটস ফেডারেশনের সভাপতি ডঃ ফ্রান্সিস জেভিয়ার, বিশিষ্ট ভারতীয় মধুমেহ রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ ভি মোহন, ডঃ অরবিন্দ গুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডঃ সিং আরও বলেন, যারা মধুমহে রোগে আক্রান্ত তাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই কম। তাই, এই ধরণের রুগীরা করোনার মতো ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের সহজ শিকার। এর পাশাপাশি এদের অন্যান্য উপসর্গও দেখা দেয়। যখন একজন রুগী মধুমেহ-র মতো রোগে আক্রান্ত হন তখন তাঁর যকৃত-ও প্রভাবিত হয়। এরফলে জটিল যকৃতের রোগ দেখা দেয়।
এরকম পরিস্থিতিতে মধুমেহ বিশেষজ্ঞদের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ডঃ সিং বলেন, রুগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ এড়াতে তাদের আগাম সচেতন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, যদিও ভারতে কোভিড আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম তথাপি দেশে করোনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশেরই ডায়াবেটিসের মতো অন্যান্য উপসর্গ বা অন্য রোগ-ব্যাধি ছিল।
করোনা আমাদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে নতুন পন্থা-পদ্ধতি গ্রহণের শিক্ষা দিয়েছে বলে উল্লেখ করে ডঃ সিং বলেন, বর্তমান এই জটিল পরিস্থিতি চিকিৎসকদের কাছেও নন-ফার্মালজিক্যাল বা চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার বাইরে অন্য পদ্ধতি গ্রহণের আবশ্যকতা তুলে ধরেছে। কোভিড মহামারী পরবর্তী সময়ে সামাজিক দূরত্ববিধি অনুসরণ তথা সংক্রামক রোগব্যাধি প্রতিরোধে যত্রতত্র থুতু ফেলার অভ্যাস পরিহার আমাদের আরও অনেক সংক্রামক ব্যাধি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে বলেও ডঃ সিং অভিমত প্রকাশ করেন।
CG/BD/NS
(रिलीज़ आईडी: 1633334)
आगंतुक पटल : 440