বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

এআরসিআই ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিরল মৃত্তিকা থেকে চৌম্বকীয় উপাদান তৈরি করেছে


তেজস্ক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার এই পদ্ধতিতে দ্রুত চিকিৎসা করা যাবে

Posted On: 07 JUN 2020 2:56PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৭ জুন, ২০২০ 

 



বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের একটি স্বায়ত্বশাসিত গবেষণা ও উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি) সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ সেন্টার ফর পাউডার মেটালার্জি অ্যান্ড নিউ মেটেরিয়ালসের বিজ্ঞানীরা বিরল মৃত্তিকা থেকে চৌম্বকীয় উপাদান তৈরী করতে সমর্থ হয়েছেন যা ক্যান্সার চিকিৎসায় কার্যকরী হয়ে উঠবে। এআরসিআই-এ প্রস্তুত চৌম্বকীয় উপাদান (এই নির্দিষ্ট উপকরণটিতে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র  প্রয়োগ এবং সরিয়ে নেওয়ার ফলে পদার্থগুলি আরও গরম বা শীতল হয়ে যায়), শ্রী চিত্র তিরুনাল ইন্সটিটিউট ফর মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এসসিটিআইএমএসটি) তে পরীক্ষা করা হয়েছে। জার্নাল অফ অ্যালোয়স অ্যান্ড কম্পাউন্ডস -এ এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। 


চৌম্বকীয় পদার্থগুলির মানোন্নয়নে  ম্যাগনেটিক হাইপারথারমিয়া চিকিৎসার উন্নতি হওয়া সম্ভব, এর ফলে কেমোথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতিতে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি সৃষ্টি হয় তা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। উল্লেখ্য টিউমার কোষগুলি নষ্ট করতে হলে ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। সাধারন ম্যাগনেটিক হাইপারথারমিয়া পদ্ধতি বা অতি ক্ষুদ্র ন্যানোপারটিকেলস পদ্ধতিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, ফলে অসুস্থ  কোষগুলির  সঙ্গে  অনেক সুস্থ কোষও নষ্ট হয়ে যায়, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এছাড়াও  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তচাপও বেড়ে যায়।     

ম্যাগনেট ক্যালোরিক মেটেরিয়াল বা চৌম্বকীয় উপাদানগুলি এই সমস্যা অনেক কমিয়ে দেয়। ম্যাগনেট ক্যালোরিক মেটেরিয়াল পদ্ধতিতে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ে এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সরিয়ে নেবার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে যায়। অতিক্ষুদ্র চুম্বকীয় কণা অর্থাৎ ম্যাগনেট ন্যানো পারটিকেলস পদ্ধতিতে তা করা যায় না, কারন এখানে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি  সরিয়ে নেবার পরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না ౼সেটি বেড়ে যায় আর উপকারী কোষগুলিকেও নষ্ট করে ফেলে।

এআরসিআইয়ের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিরল-মৃত্তিকার উপাদানকে বেছে নিয়েছেন কারণ এই  উপকরণগুলি  মানব দেহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁরা উপাদানগুলিকে ক্যান্সার কোষকে নষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা (৪২ -৪৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস) -য় নিয়ে যান। এআরসিআই এবং এসসিটিআইএম এস টি সংস্থা একইসঙ্গে এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে চলেছে। 

তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে চিকিৎসার সঙ্গে এই পদ্ধতির ব্যবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমানোর পাশাপাশি চিকিৎসার সময়ও কমে যাবে। 

আরও তথ্যের জন্য ডঃ এস কবিতা (srikanti.kavita[at]gmail[dot]com) সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

প্রকাশের বিবরণ: এ এম তিশিন, ওয়াই আই স্পিচকিন, চৌম্বকীয় প্রভাব এবং এর প্রয়োগসমূহ। ব্রিস্টল, এমএ, ইউএসএ: আইওপি, (২০০৩), এস কবিতা, জি অনুশা, পি ভাট, ভি সুরেশ, আর বিজয়, কে সেথুপাথি, আর গোপালান, জার্নাল অফ অ্যালোয়স অ্যান্ড কম্পাউন্ডস ৮১৭ (২০২০) ১৫৩২৩২)
অথবা এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেনঃ-
https://doi.org/10.1016/j.jallcom.2019.153232

 

 


CG/TG



(Release ID: 1630113) Visitor Counter : 249