বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

অসমের জোড়হাটের সি এস আই আর-এন ই আই এস টিতে কোভিড-19 সংক্রমণের পরীক্ষাগারের উদ্বোধন

Posted On: 02 JUN 2020 10:51AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লী, ২রা জুন, ২০২০

 



নর্থ ইস্ট ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জোরহাট ক্যাম্পাসে আজ কোভিড-19 সংক্রমণ পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। অসম সরকারেরস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, অর্থ, শিক্ষা, রূপান্তর ও উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ড:হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই পরীক্ষাগারটির উদ্বোধন করেন। সি এস আই আর-এন ই আই এস টির নির্দেশক ড: জি নরহরি শাস্ত্রী আজকের এই অনুষ্ঠানে বলেন,প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।


কোভিড-19 সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য এন ই আই এস টিই প্রথম কোনো গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান যারা অসমে তাদের পরীক্ষাগার নির্মাণ করলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড:হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক এবং কর্মীদের এই পরিকল্পনা রূপায়িত করার জন্য অভিনন্দন জানান।


ড:শাস্ত্রী জানান প্রতিষ্ঠানের ১০ জন বৈজ্ঞানিকের একটি দল ভাইরাস থেকে আর এন এ পৃথক করার কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এছাড়াও আরও ৪০ জনের একটি দল অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের বায়োটেকনোলজি বিভাগ কোভিড-19 সংক্রমণের পরীক্ষার আর টি-পি সি আর-ভিত্তি নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অসম সরকারের পাশাপাশি জোরহাট জেলা প্রশাসন, প্রতিষ্ঠানের এই উদ্যোগকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে বলে তিনি জানান।


অসম সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের এক মাইক্রোবায়োলজিস্টকে প্রতিষ্ঠানের কোভিড-19 সংক্রমণ পরীক্ষার ফলাফল যাচাইয়ের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। জোরহাট জেলা প্রশাসন এবং অসম সরকারের সহযোগিতায় পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য একজন বৈজ্ঞানিক এবং গবেষণা বিশেষজ্ঞকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে।


এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত দ্রব্য যা বানিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে,তার মধ্যে অন্যতম হল আন্টি-আর্থাইটিস মলম,আন্টি-ফাঙ্গাল মলম,নতুন ধরনের এরমেটিক উদ্ভিদ প্রমুখ।


এই অঞ্চলে কোভিড-19 সংক্রমণ পরীক্ষার পরীক্ষাগার নির্মাণ একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। সম্প্রদায়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আগেই সংক্রমণের পরীক্ষা করা, রোগীকে খুঁজে বের করা এবং রোগীকে পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বে সাফল্য এসেছে। অসম এখন সম্প্রদায় সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়ের দোরগোড়ায় বলে ড:শাস্ত্রী মত প্রকাশ করেন।


তিনি বলেন এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এক মাত্র উপায় হলো ব্যাপক হারে পরীক্ষা করা। এর ফলে এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে আশার সঞ্চার হবে। একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে পরীক্ষা করার ক্ষমতা কিছু লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে সংক্রমনের ওপর নজর রাখা, কার্যকরী ওষুধ প্রস্তুত করা এবং প্রতিষেধক আবিষ্কার করার পাশাপাশি বেশি সংখ্যায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের ওপর বর্তায়।

 



CG/PPM



(Release ID: 1628706) Visitor Counter : 195