জলশক্তি মন্ত্রক

ভারত সরকার ২০২০-২১ সালে ছত্তিশগড়ে জল জীবন মিশন কার্যকর করতে ৪৪৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে

Posted On: 29 MAY 2020 7:23PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লী, ২৯শে মে, ২০২০

 



ছত্তিশগড়ের ২০২০-২১ বছরের বাৎসরিক কার্যকলাপের রূপরেখা কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় যে জল শক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ জল জীবন মিশন ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের গ্রামীন অঞ্চলের প্রতিটি গৃহে,নিয়মিত ভাবে এবং নির্দিষ্ট গুণমানের প্রয়োজনীয় পরিমানে পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহন করেছে। এই প্রকল্পের জন্য ৩.৬০ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।


জীবনধারা বদল করে দেওয়া এই মিশন কে সামনে রেখে ছত্তিশগড় সরকার আগমী ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ১০০%গৃহে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারযোগ্য কলের জলের সংযোগের(এফ এইচ টি সি) পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। রাজ্যের ৪৫ লক্ষ গৃহের মধ্যে আপাতত ২০ লক্ষ গৃহে এই কলের জলের সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে তাতে সার্বজনীন গৃহগুলিকে এই জলের সংযোগের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলা হলেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত অঞ্চলকে যেখানে জলের সঙ্কট রয়েছে,জলের মান যেখানে নিম্নমানের। এছাড়াও তফসিলি জাতি, উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা বা গ্রাম, সংসদ আদর্শ গ্রামীন যোজনার অন্তর্ভুক্ত গ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলগুলিকেও আপাতত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকার ২০২০-২১ সালে রাজ্যের জল জীবন মিশনের কাজের জন্য ৪৪৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।


রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পানীয় জলের গুণগত মানের নজরদারির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য ছত্তিশগড় দীর্ঘ দিন ধরেই ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছে।পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলের জলে বহু বছর ধরে আর্সেনিক, ফ্লুরাইড, লোহার মতন রাসায়নিক পদার্থ মিশে রয়েছে।এই পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যকে, রাজ্যের গ্রামীন গৃহ গুলিতে পানীয় জল সরবরাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জল জীবন মিশনের অধীনে জলের গুণগত মান বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সম্প্রদায় এবং সামনের সারির কার্যনির্বাহীদের যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের, গ্রামীন অঞ্চলে যে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা কিট ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তাদের অধীনস্থ কমিটি, বিশেষত জল এবং স্বাস্থ্যবিধির দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি, প্রতিটি গ্রামীণ স্তরে গঠন করতে হবে। গ্রামে কার্যকরী পরিকল্পনা চুড়ান্ত করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীন রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্প, গ্রামীন আঞ্চলিক ক্ষেত্র গুলির জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অনুদান,এস বি এম সহ একাধিক প্রকল্পের অর্থ এই খাতে ব্যবহারের জন্য রাজ্যকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।


কোভিড-19 পরিস্থিতিতে সরকার গুরুত্ব সহকারে চেষ্টা চালাচ্ছে যে,গ্রামীন অঞ্চলের বাড়িগুলিতে কলের জলের সংযোগের ব্যবস্থা করার। এর দরুন গ্রামীন মানুষজনকে দূর দূরান্ত থেকে কষ্ট করে জল বহন করে নিয়ে আসতে হবে না বা জনবহুল অঞ্চলে লম্বা লাইনে  দাঁড়িয়ে থেকেও জল সংগ্রহ করতে হবে না। সরকার চেষ্টা করছে গরীব বা প্রান্তিক মানুষরা যদি তাদের বাড়ীতেই জল পেয়ে যায়,তাহলে তাদের জনবহুল অঞ্চলে যেতে হবেনা একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হবে। ফলে গ্রামীন মানুষরা সংক্রমিত হবেন না।


বর্তমানে তীব্র গরম ও আসন্ন বর্ষার এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চলছে কোভিড-19 সংক্রমণ। এই অবস্থায় যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক তাদের স্বভূমিতে ফিরেছেন, তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করা এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কেউ কেউ দক্ষ আবার কেউ মাঝারি দক্ষ। এই শ্রমিকদের জল সরবরাহ প্রকল্পে নিযুক্ত করা যেতে পারে। জলের সংযোগ, জলের পাইপ বা সরঞ্জাম লাগানোর ক্ষেত্রেও এই শ্রমিকদের কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রতিটি গ্রামকে জলের নিরাপত্তা, চাষের জন্য জল এবং ঘরে ঘরে পানীয় জল সরবরাহ করতে, ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 

 


CG/PPM



(Release ID: 1627987) Visitor Counter : 219