স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডঃ হর্ষ বর্ধন দিল্লিতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন


কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতি্র প্রেক্ষিতে ভেক্টরবাহিত রোগ প্রতিরোধে উদ্ভাবনী কৌশল, সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহনের গুরুত্ব, অধিকসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ এবং সবার সহযোগিতার ওপর ডঃ হর্ষবর্দ্ধন জোর দিয়েছেন

Posted On: 05 MAY 2020 7:28PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৫ মে, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের সভাপতিত্বে,দিল্লিতে ভেক্টর বর্ন ডিজিজ (ভিবিডি) (ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, এবং চিকুনগুনিয়া) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং (ভিসি) এর মাধ্যমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব শ্রীমতি রেখা শুক্লা দিল্লির ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি এবং এই রোগগুলি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়গুলি তুলে ধরেন। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার, পৌর প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী হাসপাতাল, রেল এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সাথে জড়িত আন্ত-বিভাগীয় সমন্বয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়।

কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতির মোকাবিলার উদ্দেশ্যে যেসব পন্থা পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে, ভেক্টরবাহিত রোধ নিয়ন্ত্রণেও সেরকম পদ্ধতি গ্রহনের ওপর জোর দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (আরডাব্লুএ), দোকানদার / ব্যবসায়ীদের সংগঠনের মতো সকল উদ্দ্যোক্তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতার মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।


ডঃ হর্ষ বর্ধন পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়েছেন। এলাকায় বা বাড়িতে জল জমতে না দেওয়া,এডিস মশার লার্ভানিধন প্রভৃতি কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা বলেন।

ডাঃ হর্ষ বর্ধন আরও বলেন যে ভিবিডি সমস্যাটি বেশ কয়েকবছর ধরে চলছে এবং এই বছরে যখন পুরো দেশ কোভিড -১৯-এর মতো বিশ্বব্যাপী মহামারীর কবলে পড়েছে তখনি এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সময় এসেছে। উল্লেখ্য ২০১৫ সালে গোটা দিল্লী ডেঙ্গির কবলে পড়েছিল, প্রায় ১৬ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন এবং ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,এর আগে এ ধরনের রোগ প্রতিহত করতে স্কুল পড়ুয়ারা এগিয়ে এসেছিল, জনসচেতনতার প্রচারে তারা বিভিন্নভাবে সহায়তা  করেছিল। কিন্তু এবছর কোভিড -১৯ জনিত কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইএর হাতিয়ার হিসেবে পরিচ্ছন্নতা রক্ষার পাশাপাশি ভেক্টর বাহিত রোগ প্রতিহত করতে ও একই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রয়জনীয়তা আছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতালগুলির সকল প্রতিনিধিদের এধনের রোগ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে অবহেলা না করার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমেই সফলভাবে এই লড়াই করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।


জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর, শ্রী অনিল বাইজাল ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন।


বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শ্রী সত্যেন্দ্র জৈন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, ভারত সরকারের ডিজিএইচএস, শ্রীমতি প্রীতি সুদান, এনডিএমসির চেয়ারম্যান; দিল্লির তিনটি পৌর কর্পোরেশনের সমস্ত কমিশনার; জিএনসিটিডির স্বাস্থ্য সচিব, দিল্লির সমস্ত জেলার জেলাশাসক, দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারী এবং রাজ্য সরকারী হাসপাতালের প্রধান / মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট; কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং জাতীয় ভেক্টর বর্ন ডিজিজ প্রোগ্রাম (এনভিবিডিসিপি) এর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা,দিল্লির এনসিটি সরকারের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা এবং দিল্লির পৌর কর্পোরেশনের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।




CG/TG



(Release ID: 1621627) Visitor Counter : 190