রেলমন্ত্রক

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উন্নতি ও পরিষেবাগত মান বাড়াতে লকডাউনের সময় রেলের পেছনের সারিতে থাকা সেনানীরা দীর্ঘদিন পড়ে থাকা রেলের সেতু ও ট্র্যাকগুলির পাশাপাশি ইয়ার্ড ও ক্রসওভারগুলির রক্ষণা-বেক্ষণ পুনর্নবীকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে

Posted On: 02 MAY 2020 1:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০২ মে, ২০২০

 



লকডাউন চলাকালীন সময়ে রেলের পেছনের সারিতে থাকা সেনানীরা দীর্ঘদিনের  বকেয়া, বিভিন্ন কাজ, যেমন – ইয়ার্ডগুলির রক্ষণা-বেক্ষণ, লাইন ক্রসওভারগুলির পুনর্নবীকরণ, সেতু ও লাইনগুলির মেরামতের মতো বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত রয়েছেন। এ ধরনের কাজ দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে ভারতীয় রেলকে প্রায়শই বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়।


লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যক পণ্য পরিষেবার যোগান সুনিশ্চিত করতে পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর পাশাপাশি, ভারতীয় রেল লকডাউনের সময় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিনের  বকেয়া কাজগুলি সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়। ভারতীয় রেল লকডাউনের সময় ট্রাফিক ব্লক সংক্রান্ত কাজকর্ম, লাইনগুলির মেরামত, সেতু ও ইয়ার্ডগুলির রক্ষণা-বেক্ষণ সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোগত কাজকে অগ্রাধিকার দেয়। যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা পুনরায় শুরু হলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে আরও সুষ্ঠু পরিষেবা সুনিশ্চিত করাই এর উদ্দেশ্য । দৈনন্দিন-ভিত্তিতে এই রক্ষণা-বেক্ষণের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। এ ধরনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইন মেরামতকারী মেশিন, সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ওভারহেড তারের মেরামতিতে ৫০০টি আধুনিক যন্ত্র কাজে লাগানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ২৭০ কিলোমিটার রেল লাইনের বকেয়া রক্ষণা-বেক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে।
রেল লাইনগুলির ওপর নজর রাখার জন্য নিয়মিতভাবে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। রেল লাইনগুলির মেরামতি ও ভগ্নদশা দূর করতে আল্ট্রাসোনিক ফ্ল ডিটেকশন ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ৩০ হাজার কিলোমিটারের বেশি রেল লাইনের মেরামতি করা হয়েছে। এছাড়াও, ২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি পুরনো রেল লাইন পাল্টে নতুন লাইন বসানো হয়েছে।


উল্লেখ করা যেতে পারে, কলকাতার টালা রেলওভার ব্রিজের ভগ্নদশার দরুণ সেটি যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনুপযুক্ত  হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষিতে নতুন রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য পুরনো সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 


CG/BD/SB



(Release ID: 1620489) Visitor Counter : 164