উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণ ইন্দোরে শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী-র জন্ম শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন
प्रविष्टि तिथि:
21 DEC 2025 5:37PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণ আজ মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ী-র জন্ম শতবর্ষ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অটল ফাউন্ডেশন।
প্রাচীন তামিল সাহিত্য থিরুক্কুরাল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, সকল মানুষ জন্ম থেকে সমান হলেও মহান হতে পারে একমাত্র নিজের কাজের দ্বারা। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কোনো সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না, তাঁর মধ্যে একটা লক্ষ্য ছিল। যিনি সবসময়ে ‘অটল’ ছিলেন, নীতি এবং মূল্যবোধের প্রতি। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে মনে রাখা হয় এবং সম্মান জানানো হয় দেশ নেতা, প্রশাসক, সাংসদ, কবি এবং সবার উপরে একজন মহান মানুষ হিসেবে তাঁর উদাহরণযোগ্য কাজের জন্য।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রী বাজপেয়ী গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন আলোচনায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে এবং কঠোর তথাপি মানবিক প্রশাসনে। তিনি বলেন, শ্রী অটলজি মানুষের সঙ্গে মেলামেশাকে মর্যাদা ও মহিমার সঙ্গে উন্নীত করেছিলেন এবং দেখিয়েছিলেন রাজনীতিও নীতি নির্ভর ও সহমর্মী হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই কারণেই শ্রী বাজপেয়ীর জন্মদিনটি সুপ্রশাসন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা করে উপরাষ্ট্রপতি জানান, সাংসদ হিসেবে শ্রী বাজপেয়ীর কাছে যাতায়াত সহজ ছিল এবং দেশ গঠনে যে কোনো মানুষের পরামর্শ খোলা মনে শুনতেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় এবং উত্তরাখণ্ড গঠনের উল্লেখ করেন, যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রী বাজপেয়ী। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ওই দূরদর্শী পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল শাসন এবং প্রশাসনের উন্নতি করা।
দেশ নির্মাতা হিসেবে শ্রী বাজপেয়ীর অবদানকে তুলে ধরে উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনা এবং স্বর্ণ চতুর্ভুজ প্রকল্পের মতো ঐতিহাসিক উদ্যোগগুলির উল্লেখ করেন।
১৯৯৮-এর পোখরান পরমাণু পরীক্ষার উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন যে, শ্রী বাজপেয়ীর নেতৃত্ব ভারতকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আত্মবিশ্বাসী এবং আত্মনির্ভর দেশ হিসেবে। তিনি বলেন যে, শ্রী বাজপেয়ীর আদর্শকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, যিনি দেশকে বিকশিত ভারত @2047 –এর লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপরাষ্ট্রপতি তামিলনাড়ুর সঙ্গে শ্রী বাজপেয়ীর গভীর সম্পর্কের কথাও মনে করিয়ে দেন, বলেন ভাষার বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ এবং আলোচনাকে তিনি সম্মান করতেন। যার জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক এবং আদর্শের মানুষের কাছে তিনি সম্মান অর্জন করেছিলেন।
শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে মহান ব্যক্তিত্ব বলে বর্ণনা করে উপরাষ্ট্রপতি জানান, তিনি আধুনিক ভারতের রূপ দিয়েছিলেন, সংহতি, প্রজ্ঞা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অদম্য দায়বদ্ধতার সঙ্গে। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, তাঁর জীবন দেশকে মনে করিয়ে দেয় যে, নেতৃত্ব শুধুমাত্র কর্তৃত্ব নয়, বরং মানুষের সেবা, দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা।
উপরাষ্ট্রপতি এদিন ডালি কলেজ প্রাঙ্গণে দেবী আহিল্লাবাঈ হোলকরের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এই মূর্তি উদ্বোধনে অংশ নিতে পারে তিনি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছেন। তিনি বলেন, দেবী আহিল্লাবাঈ হোলকর ছিলেন দূরদর্শী শাসক যিনি নিঃস্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে লাগাতার পরিচিত হওয়ার জন্য ইন্দোরকে অভিনন্দন জানান তিনি। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এটা সাধারণ মানুষের সামগ্রিক দায়িত্ববোধের প্রতিফলন।
মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
SC/AP/SKD
(रिलीज़ आईडी: 2207341)
आगंतुक पटल : 6