উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণ এনআইটি কুরুক্ষেত্রের বিংশতিতম সমাবর্তন উৎসবে ভাষণ দিলেন
प्रविष्टि तिथि:
30 NOV 2025 3:32PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫
উপরাষ্ট্রপতি শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণ আজ হরিয়াণার এনআইটি কুরুক্ষেত্রের বিংশতিতম সমাবর্তন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভাষণে উপরাষ্ট্রপতি ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মাইলফলক অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপরাষ্ট্রপতি এনআইটি কুরুক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, প্রাণবন্ত বর্তমান এবং দেশের প্রযুক্তি শিক্ষার মানদণ্ড নির্ধারণে ভবিষ্যতের কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, কুরুক্ষেত্র পবিত্র স্থান যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে অধর্ম যতই শক্তিশালী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ধর্মের জয় হবেই।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তন কোনও একটি অনুষ্ঠান নয়, এমন একটি মুহূর্ত যেখানে বহু বছরের নিষ্ঠা রূপ পায় নতুন সূচনায়, যা পূর্ণ থাকে গর্ব, আশা এবং সুযোগে।
বিশ্ব রূপান্তরের গতির ওপর আলোকপাত করে তিনি কৃত্রিম মেধা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবস্থা, মহাকাশ প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা এবং সেমি কনডাক্টরের বাড়বাড়ন্ত বিষয়ে বলেন।
তিনি বলেন, শিল্পকে নতুনভাবে গড়ে তোলার একটি শক্তিশালী মাধ্যম প্রযুক্তি এবং তা সমাজের কার্যাবলীকে নতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। “প্রযুক্তির প্রকৃত উদ্দেশ্য শুধুমাত্র অগ্রগতি নয়, উদ্দেশ্যপূর্ণ অগ্রগতি” জানিয়ে তিনি ছাত্রদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে উদ্ভাবন করার আহ্বান জানান।
গবেষণা, উদ্ভাবন এবং ভারতের জন্য নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান নিয়ে গভীরভাবে ভাবনা চিন্তা করার জন্য ছাত্রদের উৎসাহিত করে তিনি বলেন, এগুলিই ২টি ইঞ্জিন যা ভারতের প্রযুক্তিক্ষেত্রের নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সুস্থায়ী উৎপাদন শিল্প, স্মার্ট মোবিলিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রযুক্তি, কৃষি উদ্ভাবন এবং দূষণহীন পরিকাঠামোর মতো জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করার জন্য তরুণ উদ্ভাবকদের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত প্রযুক্তির ক্রেতা থেকে নিজেকে রূপান্তরিত করে বিশ্বে উন্নত প্রযুক্তির নির্মাতায় পরিণত হচ্ছে। প্রাণবন্ত উদ্যোগী পরিমণ্ডলের লালন পালনের জন্য ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া এবং মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো উদ্যোগগুলিকে কৃতিত্ব দেন তিনি এবং স্নাতকদের নিজেদের ভাবনাকে উদ্যোগে পরিণত করার আবেদন জানান যাতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ঘটে।
জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সিকিউরিটির বিপদ, প্রযুক্তির সুষম বণ্টন এবং এআই-এর নৈতিক ব্যবহারকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সমস্যা জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলি একই সঙ্গে উদ্ভাবন এবং নেতৃত্বের প্রভূত সুযোগ এনে দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন তিনি, যে নীতি বহুমুখী শিক্ষার পথ খুলে দিয়েছে এবং যার শিকড় গভীরভাবে প্রোথিত ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরম্পরায়। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ মেকলে শিক্ষা ব্যবস্থার ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত করতে রূপান্তরকারী পথে এনেছে ভারতকে। তিনি বলেন, মেকলের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল ভারতকে শাসন করার জন্য এবং কেরানি তৈরি করার জন্য।
সার্বিক শিক্ষণে প্রতিষ্ঠানের নজর দেওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি সেন্টার ফর হলিস্টিক পারসোনালিটি ডেভলপমেন্ট স্থাপনের প্রশংসা করেন, যা ভগবদগীতা, সর্বজনীন মানবতাবোধ, ব্যবহারিক বিজ্ঞান এবং মানবিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পাঠদানের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তি, অনুভব এবং নৈতিকতার প্রসার ঘটায়।
বিকশিত ভারত @২০৪৭-এর জাতীয় লক্ষ্য প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি বলেন তাঁর বিশ্বাস, এনআইটি কুরুক্ষেত্রের স্নাতকরা এই লক্ষ্যপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এই প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত ৬৪ টি পেটেন্ট পেয়েছে জানিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এটি গবেষণা, উদ্ভাবন এবং মেধাসম্পদ তৈরির শক্তিশালী সংস্কৃতির প্রতিফলন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন উপরাষ্ট্রপতি। কম খরচে দেশজ প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষণার মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রয়াসের প্রশংসা করেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি ছাত্র ছাত্রীদের ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এমন গবেষণা হওয়া উচিত যা শহর এবং গ্রামের বিভেদ ঘোচাবে, এমএসএমইগুলিকে শক্তিশালী করবে, কৃষির আধুনিকীকরণ করবে, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সাহায্য করবে, যাতে প্রযুক্তি পৌঁছায় প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে। তিনি বলেন, “ব্রেন ড্রেন থেকে ব্রেন গেনে আমাদের যেতেই হবে”। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি ভারত থেকে উঠে আসবে পরবর্তী গুগল, টেসলা, স্পেস এক্স”। উপরাষ্ট্রপতি মাদক বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করার পরামর্শ দেন। সবশেষে তিনি স্নাতকদের মনে করিয়ে দেন যে ডিগ্রিতে সব শেষ নয় এখান থেকে নতুন দায়িত্বের সূচনা।
হরিয়াণার রাজ্যপাল অধ্যাপক অসীম কুমার ঘোষ, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নায়েব সিং সাইনি, অধিকর্তা বি ভি রামানা রেড্ডি, বোর্ড অফ গভর্নর্স-এর চেয়ারপার্সন ডঃ তেজস্বিনী অনন্ত কুমার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
SC/AP/SG
(रिलीज़ आईडी: 2196886)
आगंतुक पटल : 5