রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
azadi ka amrit mahotsav

ভারতের রাষ্ট্রপতি সেন্ট টেরেসা কলেজের শতবর্ষ উদযাপন সমারোহে উপস্থিত থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন

Posted On: 24 OCT 2025 1:57PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ 

 

ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু আজ (২৪ অক্টোবর, ২০২৫) কেরলের এর্নাকুলামে সেন্ট টেরেসা কলেজের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন যে সেন্ট টেরেসা কলেজ আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের সঙ্গে ভারতে নারী শিক্ষার প্রচার করে আসছে। এটি সামাজিক রূপান্তর এবং জাতি গঠনে একটি মহান অবদান। আমাদের সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং উত্তরাধিকারকে গভীরভাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন এবং যথাযথ নেতৃত্বের মাধ্যমে এক শতাব্দীর ধারাবাহিক সাফল্য এনেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন যে কেরলের মহিলারা জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংবিধান সভার পনেরো জন ব্যতিক্রমী মহিলা সদস্য ভারতের সংবিধান প্রণয়নে তাঁদের সমৃদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গির ছাপ রেখেছেন। এই ১৫ জন অসাধারণ মহিলার মধ্যে তিনজন ছিলেন কেরলের। আম্মু স্বামীনাথন, অ্যানি মাসকারেন এবং দাক্ষায়নী ভেলায়ুদন মৌলিক অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার, লিঙ্গ সমতা, এবং আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় প্রভাব ফেলেছিলেন। ভারতের হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়া প্রথম মহিলা ছিলেন বিচারপতি আন্না চান্ডি। ১৯৫৬ সালে তিনি কেরলৃর হাইকোর্টের বিচারক হন। বিচারপতি এম. ফাতিমা বিবি ১৯৮৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারক হয়ে ইতিহাস তৈরি করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন যে, সেন্ট টেরেসা কলেজের মেধাবী মহিলা ছাত্রীরা তরুণ ভারত, সমৃদ্ধ ভারত এবং প্রাণবন্ত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে দেশের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশকে কাজে লাগানোর জন্য মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তিনি উল্লেখ করেন যে গত দশকে জেন্ডার বাজেট বরাদ্দ সাড়ে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নারী-নেতৃত্বাধীন এমএসএমই প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের লক্ষ্য বাস্তবায়নের অন্যতম মূল স্তম্ভ হল ৭০ শতাংশ নারীকর্মীর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানের মহিলারা ভারতের অগ্রগতির চালিকাশক্তি। তিনি আনন্দিত যে, এই কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে তাঁদের অবদানের মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন।

রাষ্ট্রপতি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে, সেন্ট টেরেসা কলেজ শিক্ষার মাধ্যমে স্থায়িত্ব, নেতৃত্ব এবং এজেন্সি প্রচারের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার নাম স্লেট(SLATE)। তিনি বলেন যে, এই প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে কলেজটি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র লক্ষ্যগুলির প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করেছে। সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতায় ভারতের লক্ষ্যগুলির সাথে তরুণদের সংযুক্ত করা এবং আগামী দিনের কাজের জন্য তাঁদের সক্ষম করা এই প্রকল্পের প্রশংসনীয় লক্ষ্য। তিনি বলেন যে, সেন্ট তেরেসা কলেজের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতকে জ্ঞানের একটি সুপার-পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হতে সাহায্য করবে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন-
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2025/oct/doc20251024674501.pdf


******

SSS/SB/DM


(Release ID: 2182422) Visitor Counter : 2