প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে ১৩,৪৩০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেছেন
प्रविष्टि तिथि:
16 OCT 2025 5:11PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেছেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আহবিলমের ভগবান নরসিংহ স্বামী এবং মহানন্দীর ভগবান মহানন্দদিশ্বর স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকলের কল্যাণে মন্ত্রয়ালমের গুরু শ্রী রাঘবেন্দ্র স্বামীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন তিনি।
“সৌরাষ্ট্র সন্নাথ চ শ্রীশৈল মল্লিকার্জুনম” শীর্ষক দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ স্তোত্র উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে প্রথম হলেন ভগবান সোমনাথ এবং দ্বিতীয় ভগবান মল্লিকার্জুন। তিনি বলেন, গুজরাটে সোমনাথের পবিত্র ভূমিতে জন্মগ্রহণ করে, বাবা বিশ্বনাথের আঙিনা কাশীর পবিত্র ভূমির সেবা করার সুযোগ পেয়ে এবং আজ শ্রীশৈলমের আশীর্বাদ পেয়ে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রীশৈলমের পর শিবাজি স্ফূর্তি কেন্দ্রে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মঞ্চ থেকে তিনি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের উদ্দেশে প্রণাম জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আল্লামা প্রভু এবং আক্কা মহাদেবীর মতো শিবভক্তদের প্রতি। তিনি শ্রী ওয়ালাওয়াড়া নরসিংহ রেড্ডি এবং হরি সর্বোত্তম রাওয়ের মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিও শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ সংস্কৃতি ও গৌরবের ভূমি। একইসঙ্গে, এটি বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র। অসীম সম্ভাবনাময় বিপুল যুবশক্তির উৎসভূমি এই রাজ্য। অন্ধ্রের কেবল প্রয়োজন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সঠিক নেতৃত্ব। আজ অন্ধ্র চন্দ্রবাবু নাইডু এবং পবন কল্যাণের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করছে।
গত ১৬ মাসে অন্ধ্রপ্রদেশে উন্নয়ন কাজের গতি ব্যাপকভাবে বাড়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্বাবধানে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে। দিল্লি এবং অমরাবতী হাতে হাত মিলিয়ে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে, তখন ‘বিকশিত ভারত’ অবশ্যই বাস্তব রূপ নেবে। একবিংশ শতক ভারতের শতক। এই শতক ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের শতক।
প্রধানমন্ত্রী রাস্তা, বিদ্যুৎ, রেল, মহাসড়ক এবং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের মধ্যে সংযোগকে আরও মজবুত করবে, শিল্পকে উৎসাহ যোগাবে এবং মানুষের জীবনকে সহজ করবে। কুর্নুল এবং আশপাশের অঞ্চলগুলি এইসব প্রকল্প থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এজন্য রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
যে কোনও দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্বালানি সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি জ্বালানি পরিবহণ প্রকল্পের সূচনা করেন। এটি দেশের জ্বালানি সক্ষমতাকে অনেকটা বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারপাশে এত উন্নয়নের মাঝে পুরনো দিনের কথা ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। এগারো বছর আগে কংগ্রেস সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যহারের গড় ১ হাজার ইউনিটেরও কম ছিল। প্রায়শই লোডশেডিং হত। বহু গ্রামে তো বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত ছিল না। আজ দূষণমুক্ত জ্বালানি থেকে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন – প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে ১,৪০০ ইউনিট হয়েছে। গৃহস্থালি এবং শিল্পমহল – দুই ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত বিদ্যুতের যোগান রয়েছে।
শ্রীকাকুলাম থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের সূচনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লক্ষ বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হবে। চিত্তুরে আজ একটি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন এখানে ২০ হাজার সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা যাবে। এর ফলে, স্থানীয় পরিবহণ ও মজুত ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান হবে। এখানকার যুব সমাজ চাকরির নতুন সুযোগ পাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে এখন দেশজুড়ে বহুমুখী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্রাম থেকে শহর এবং শহর থেকে বন্দর সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সাব্বাভারম এবং শিলানগরের মধ্যে নতুন মহাসড়ক সংযোগকে আরও মজবুত করবে। রেল পরিবহণের ক্ষেত্রেও এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। নতুন রেললাইনের সূচনা এবং রেল ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে যাতায়াত এখন আরও সহজ হবে। এই অঞ্চলের শিল্পগুলি নতুন গতি পাবে।
২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনের সঙ্কল্প রূপায়ণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বর্ণ অন্ধ্র’-এর দৃষ্টিভঙ্গি এই জাতীয় মিশনকে নতুন শক্তি যোগাবে। প্রযুক্তিক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তার যুব সমাজ সর্বদাই প্রথম সারিতে রয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্বাবধানে অন্ধ্রের এই বিপুল সম্ভাবনা আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে।
ভারত এবং অন্ধ্রপ্রদেশ আজ যে ব্যাপক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে চলেছে, তার গতি ও মাত্রাকে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি জানান, মাত্র দু’দিন আগে গুগল অন্ধ্রপ্রদেশে বড় মাপের বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। তারা অন্ধ্রপ্রদেশে ভারতের প্রথম এআই হাব গড়ে তুলবে। এই নতুন এআই হাবে শক্তিশালী এআই পরিকাঠামো, ডেটা সেন্টার, বড় মাপের জ্বালানির উৎস এবং সম্প্রসারিত ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক থাকবে। গুগল-এর এআই হাব বিনিয়োগের অঙ্গ হিসেবে একটি নতুন আন্তর্জাতিক সাব-সি গেটওয়ে গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাব-সি কেবল থাকবে যা ভারতের পূর্ব উপকূলকে বিশাখাপত্তনমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এই প্রকল্প বিশাখাপত্তনমকে এআই এবং যোগাযোগের বিশ্বজনীন কেন্দ্রে পরিণত করবে। এ থেকে কেবল ভারতই নয়, সারা বিশ্ব উপকৃত হবে। এই সাফল্যের জন্য তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং চন্দ্রবাবুর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের উন্নয়নের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক। আবার, অন্ধ্রের বিকাশের জন্য রায়লাসীমার বিকাশ ও উন্নয়ন একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। আজ কুর্নুলের মাটিতে যেসব প্রকল্পের সূত্রপাত হল, সেগুলি রায়লাসীমার প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থান ও সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। গোটা অঞ্চলের শিল্প বিকাশের পথ প্রশস্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন শিল্প করিডর ও হাব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, সরকার রাজ্যের ওর্ভাকাল ও কোপ্পার্থিকে নতুন শিল্প অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলছে। এইসব এলাকায় বিনিয়োগ যত বাড়বে, ততই এখানকার যুব সমাজের সামনে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সারা বিশ্ব ভারতকে একবিংশ শতাব্দীর নতুন উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে দেখে। এই সাফল্যের সবথেকে বড় ভিত্তি হল আত্মনির্ভর ভারতের ধারণা। অন্ধ্রপ্রদেশ এই আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠছে। পূর্ববর্তী সরকারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশের এই অমিত সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে কংগ্রেস সরকার শুধু যে রাজ্যের ক্ষতি করেছে তাই নয়, গোটা অঞ্চলকে পিছিয়ে দিয়েছে। দেশের বিকাশে যে রাজ্যের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল, তাকে আজ নিজের উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এনডিএ সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশের এই ছবি ক্রমশ পাল্টাচ্ছে। চন্দ্রবাবুর নেতৃত্বে অন্ধ্রপ্রদেশ আত্মনির্ভর ভারতের নতুন শক্তিকেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। অন্ধ্র জুড়ে উৎপাদনের নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ হিসেবে নিম্মালুরুতে অ্যাডভান্সড নাইট ভিশন কারখানার সূচনা হয়েছে। এই কারখানায় নাইট ভিশন সরঞ্জাম, ক্ষেপণাস্ত্রের সেন্সর, ড্রোন গার্ড সিস্টেম প্রভৃতি গড়ে উঠবে। এখানকার তৈরি সরঞ্জাম বিদেশে রপ্তানি করা হবে। অপারেশন সিঁদুরের সময় সারা বিশ্ব ভারতে তৈরি প্রযুক্তির ক্ষমতা দেখেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অন্ধ্র সরকার কুর্নুলকে ভারতের ড্রোন হাব বানানোর সঙ্কল্প নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ড্রোন শিল্পের মাধ্যমে কুর্নুল ও অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে বিভিন্ন নতুন ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটবে। আগামীদিনে কুর্নুল ভারতের ড্রোন ক্ষেত্রের এক প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার নাগরিক-কেন্দ্রিক উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলে। সেজন্যই সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজতর করার লক্ষ্যে ধারাবাহিক সংস্কার প্রক্রিয়া চালানো হয়। আজ দেশে বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত করা হয়েছে। সস্তায় ওষুধ, কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকরা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছেন।
নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে জিএসটি-র হার ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেওয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নারা লোকেশের নেতৃত্বে অন্ধ্রপ্রদেশে জিএসটি সঞ্চয় উৎসব উদযাপন হওয়ায় সন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, এখানে ‘সুপার জিএসটি - সুপার সেভিংস’ প্রচারাভিযানও সাফল্যের সঙ্গে চলছে। পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে। এই সাশ্রয় উৎসবের রং-কে আরও আড়ম্বরপূর্ণ করে তুলেছে। জিএসটি সাশ্রয় উৎসব 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর চেতনাকে সঙ্গে নিয়ে উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র বিকশিত অন্ধ্র-এর মাধ্যমেই বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে সাকার করা সম্ভব। একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প ও প্রয়াসের জন্য তিনি আবারও অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজির, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী কে রামমোহন নাইডু, চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি, ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস ভার্মা-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
SSS/SD/DM
(रिलीज़ आईडी: 2180314)
आगंतुक पटल : 20
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Odia
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam