প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বাংলা রূপায়ণ

Posted On: 19 JUN 2024 1:34PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ জুন ২০২৪

 

বিহারের রাজ্যপাল, শ্রী রাজেন্দ্র আরলেকার, এই রাজ্যের পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার, আমাদের বিদেশমন্ত্রী, শ্রী এস. জয়শঙ্কর, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী পবিত্রা, বিভিন্ন দেশের মাননীয়গণ ও রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, উপাচার্য, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ ও শিক্ষার্থী এবং অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত সকল বন্ধুগণ। আপনাদের সকলকে আমার প্রণাম।

শপথ গ্রহণের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে তৃতীয় বার আমি নালন্দা ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে আমার সৌভাগ্য, এবং আমি এটি ভারতের উন্নয়নের যাত্রার শুভসংকেত হিসেবে দেখছি। নালন্দা কেবল একটি নাম নয়, এটি পরিচিতি, সম্মান। নালন্দা এক মূল্যবোধ, মন্ত্র, গৌরবগাঁথা। নালন্দা ঐ সত্যের ঘোষণা যে গ্রন্থ আগুনে পুড়ে গেলেও জ্ঞান নিভে যায় না। নালন্দার ধ্বংস ভারতে অন্ধকার আনে। আজ তার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই ভারতের স্বর্ণযুগের সূচনার প্রতীক হতে চলেছে।

বন্ধুরা,

প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের পার্শ্বেই নান্দনিকভাবে পুনরুজ্জীবিত এই নালন্দা প্রাঙ্গণ বিশ্বকে ভারতের সক্ষমতার পরিচয় দেবে। নালন্দা প্রমাণ করবে যে শক্ত মানবিক মূল্যবোধে নির্মিত রাষ্ট্র ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করে উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে জানে। এবং বন্ধুরা, নালন্দা কেবল ভারতের অতীতের পুনরুজ্জীবন নয়। এটি এশিয়া সহ বিশ্বের বহু দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের উদ্বোধনে এত সংখ্যক দেশের উপস্থিতি নজিরবিহীন। আমাদের সহায়ক দেশগুলিও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠনে অংশ নিয়েছে। এই উপলক্ষে আমি সমস্ত বন্ধুপ্রতীম দেশগুলিকে ও এখানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি বিহারের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। যে ভঙ্গিতে বিহার উন্নতির পথে এগিয়ে নিজস্ব মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে, এই নালন্দা ক্যাম্পাস সেই যাত্রার অনুপ্রেরণা।

বন্ধুরা,

আমরা সবাই জানি, নালন্দা একসময় ভারতের ঐতিহ্য ও পরিচয়ের একটি উজ্জ্বল কেন্দ্র ছিল। নালন্দায় শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রবাহ অবিচ্ছিন্ন। শিক্ষা সীমা ছাড়িয়ে যায়; এটি লাভ-ক্ষতির উর্ধে। শিক্ষা আমাদের গড়ে তোলে, চিন্তা করতে শেখায়, এবং চিন্তাশক্তি গড়ে তোলে। প্রাচীন নালন্দায় ছেলেমেয়েদের ভর্তি নেওয়া হতো তাদের পরিচয় বা জাতীয়তার ভিত্তিতে নয়; প্রতিটি দেশ ও শ্রেণির তরুণরা এখানে আসতো। এই প্রাচীন ব্যবস্থা আমরা আধুনিক রূপে এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রাঙ্গণে বলিষ্ঠ করে তুলতে চাই। আমি খুশি যে এখানে বহু দেশের ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। ২০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থী নালন্দায় অধ্যয়নরত। এটি 'বসুধৈব কুটুম্বকম', 'বিশ্ব এক পরিবার' এর সুন্দর প্রতীক।

বন্ধুরা,

আমি বিশ্বাস করি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আবারও আমাদের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশের শিল্পকর্মের নথিকরণের উপর এখানে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে। একটি সাধারণ আর্কাইভাল রিসোর্স সেন্টারও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া-ভারত বিশ্ববিদ্যালয় সংযোজন গঠনেও কাজ করছে। এত সংক্ষিপ্ত সময়ে নানা শীর্ষস্থানীয় বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান এখানে একত্রিত হয়েছে। যখন ২১শ শতাব্দীকে এশিয়ার শতবর্ষ বলা হচ্ছে, তখন এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের যৌথ অগ্রগতিকে নতুন উদ্যম দান করবে।

বন্ধুরা,

ভারতে শিক্ষা মানব সেবার একটি মাধ্যম বলে বিবেচিত। আমরা শিখি যাতে আমাদের জ্ঞান মানবতার কল্যাণে ব্যবহার করতে পারি। দেখুন, দুদিন পরই ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। আজ ভারতে শতাধিক যোগধারা বিদ্যমান। আমাদের ঋষিরা এর উপর নিঃসন্দেহে বহু ব্যাখ্যা দিয়েছেন ও অনুশীলন করেছেন। তবুও যোগের একচেটিয়া অধিকার কাউকেই দাবি করতে দেওয়া হয়নি। আজ সারাবিশ্বই যোগকে গ্রহণ করছে এবং যোগ দিবস একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা আমাদের আয়ুর্বেদও সারা জগৎকে প্রদান করেছি। আজ আয়ুর্বেদকে সুস্থ জীবনযাপনের একটি উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমাদের সামনে আরেকটি সুস্থায়ী জীবনযাপন ও উন্নয়নের উদাহরণ। শতাব্দীজুড়ে ভারত স্থায়ীত্বের সঙ্গে জীবনযাপন করেছে। আমরা পরিবেশকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়েছি। ওই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভারত মিশন লাইফের মতো মানবমুখী লক্ষ্য বিশ্বকে উপহার দিয়েছে। আজ আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মতো মঞ্চ নিরাপদ ভবিষ্যতের আশা জাগাচ্ছে। এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও সেই মনোভাবকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটি দেশের প্রথম শূন্য-নেট শক্তি, শূন্য-নেট নির্গমন, শূন্য-নেট জল ও শূন্য-নেট বর্জ্য বিশিষ্ট প্রাঙ্গণ। 'আপ্পো দীপো ভব', 'নিজে নিজে নিজের আলো হও', এই মন্ত্র মেনে এই প্রাঙ্গণ মানবজাতির সামনে একটি নতুন পথ দেখাবে।

বন্ধুরা,

শিক্ষা যখন উন্নত হয়, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির শিকড়ও বলিষ্ঠ হয়। উন্নত দেশগুলোকে যদি আমরা দেখিই, তারা তখনই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃত্বে উঠে এসেছে যখন তারা শিক্ষায় নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। আজ ছাত্র ও তরুণরা বিশ্ব জুড়ে সেই শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পড়ার আকাঙ্খা পোষণ করে। একসময় এ অবস্থা আমাদের নিজস্ব নালন্দা ও বিক্রমশিলারই ছিল। তাই আশ্চর্যের কোনও বিষয় নেই যে যখন ভারত শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রসর ছিল, তখন তার অর্থনৈতিক শক্তিও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। যে কোনো জাতির উন্নয়নের এইটাই মৌলিক পন্থা। এজন্যই ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশের লক্ষ্য অনুযায়ী তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে রূপান্তর করছে। আমার লক্ষ্য: ভারতকে বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ও জ্ঞানের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ভারতকে পুনরায় বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াই আমার লক্ষ্য। এজন্যই ভারত খুবই ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তার সংযোগ ঘটাচ্ছে। আজ এক কোটিরও বেশি শিশু অটল টিঙ্কারিং ল্যাব থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে উপকৃত হচ্ছে। অন্যদিকে চন্দ্রযান ও গগনযান-এর মতো মহাকৌশলিক প্রকল্প শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ জাগাচ্ছে। স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া মিশন এক দশক আগে শুরু করেছিলাম যাতে উদ্ভাবন গড়ে ওঠে। তখন দেশে কেবল কয়েকশটি স্টার্ট-আপ ছিল; আজ সেখানে ১,৩০,০০০-এরও বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে। আগের তুলনায় ভারত এখন রেকর্ড সংখ্যক পেটেন্ট দাখিল করছে এবং গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য যুব উদ্ভাবকদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ দেওয়া। এজন্যই সরকার এক লক্ষ কোটি টাকার গবেষণা তহবিল গঠনের ঘোষণা করেছে।

বন্ধুরা,

আমাদের প্রচেষ্টা ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপক ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষণ ব্যবস্থা এবং সর্বাধুনিক গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। এই প্রচেষ্টার ফলাফলও দৃশ্যমান। গত কয়েক বছরে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। দশ বছর আগে কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত থেকে কেবল নটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল; আজ তা বেড়ে হয়ছে ৪৬টি। কয়েকদিন আগে টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‍্যাঙ্কিংও প্রকাশিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এ র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র ১৩-টি; এখন প্রায় ১০০-টি ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বৈশ্বিক প্রভাব র‍্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত। গত ১০ বছরে গড়ে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন একটি নতুন আইটিআই (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) খোলা হচ্ছে। প্রতি তৃতীয় দিনে একটি অটল টিঙ্কারিং ল্যাব উদ্বোধন করা হচ্ছে। প্রতিদিনই দেশে দুইটি করে নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আজ দেশে ২৩টি আইআইটি রয়েছে। দশ বছর আগে আইআইএম ছিল ১৩টি; আজ তা ২১টি। দশ বছর আগের তুলনায় এআইআইএমএস-এর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে এখন ২২টি। গত ১০ বছরে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যাও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আজ শিক্ষা খাতে গৃহীত বড় পরিবর্তনগুলি স্পষ্ট। জাতীয় শিক্ষা নীতি দেশের যুবসমাজের স্বপ্ন প্রসার করেছে। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি ডিকিন ও ওলংগং-এর মতো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভারতে তাদের ক্যাম্পাস খুলছে। এসব প্রচেষ্টা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য দেশেরই মধ্যে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সহজলভ্য করছে, যার ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক লাভ হচ্ছে।

বন্ধুরা,

আজ আমাদের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশে প্রাঙ্গণ খুলছে। এই বছর আইআইটি দিল্লি আবু ধাবিতে একটি কেন্দ্র খুলেছে। আইআইটি মাদ্রাসও তানজানিয়ায় একটি কেন্দ্র শুরু করেছে। এটি ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক যাত্রার শুরু মাত্র। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানকেও বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছাতে হবে।

বন্ধুরা,

আজ সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি ভারত ও আমাদের যুবশক্তির ওপর। বিশ্ব এই ভূমির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে চায়। বুদ্ধভূমির সঙ্গে, গণতন্ত্রের মাতার সঙ্গে। যখন ভারত বলে 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ', তখন বিশ্ব তা গ্রহণ করে। যখন ভারত বলে 'এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড', তখন বিশ্ব সেটিকে ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ হিসেবে দেখে। যখন ভারত বলে 'এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য', তখন বিশ্ব সেটিকে সম্মান ও গ্রহণ করে। নালন্দার ভূমি এই বিশ্ববন্দুত্বের ভাবনাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। তাই নালন্দার শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আপনিই ভারতের এবং সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যত। এই ২৫ বছরের 'অমৃতকাল' ভারতের তরুণদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যও এই ২৫ বছর সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এখান থেকে যেখানেই যাওয়া হোক, আপনারা যেই মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করেন তা স্বচ্ছভাবে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আপনার লোগোর বার্তাটা ভুলবেন না—আপনারা এটিকে 'নালন্দা ওয়ে' বলেন, তাই না? ব্যক্তির মধ্যে সামঞ্জস্য এবং ব্যক্তি ও প্রকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য আপনার লোগোর ভিত্তি। শিক্ষক থেকে শিখুন, তবু একে অপর থেকেও শিখতে চেষ্টা করুন। জিজ্ঞাসু হন, সাহসী হন, এবং সর্বোপরি, দয়ালু হন। আপনার জ্ঞানের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন। আপনার জ্ঞান দিয়ে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ুন। নালন্দার গৌরব, আমাদের ভারতের গৌরব আপনাদের সাফল্য দ্বারা নির্ধারিত হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনার জ্ঞান সারা মানব জাতিকেই পথ দেখাবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যুবসমাজ ভবিষ্যতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে, এবং আমি বিশ্বাস করি নালন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

এই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। শ্রী নীতিশ কুমারের সরকারের পূর্ণ সহায়তার আহ্বানকে আমি স্বাগত জানাই। ভারতীয় সরকারও কখনও পিছিয়ে থাকবে না। এ চিন্তার পথে যতটা সম্ভব শক্তি প্রদান করব। এই মনোভাব নিয়েই আমি আপনাদের সকলকে শুভকামনা জানাই। ধন্যবাদ!

বিবৃতি: এটি প্রধানমন্ত্রীজীর বক্তব্যের আনুমানিক অনুবাদ। মূল ভাষণ হিন্দিতে প্রদান করা হয়েছিল।

 

SSS/RS


(Release ID: 2177728) Visitor Counter : 6