প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মুম্বাইতে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট ২০২৫-এ বক্তব্য রাখলেন
प्रविष्टि तिथि:
09 OCT 2025 5:38PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৯ অক্টোবর, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট ২০২৫-এ ভাষণ দেন। অংশগ্রহণকারীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে শ্রী মোদী মুম্বাইকে শক্তির শহর, উদ্যোগের শহর এবং অন্তহীন সম্ভাবনার শহর হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি তাঁর বন্ধু, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শ্রী কেয়ার স্টারমারকে বিশেষভাবে স্বাগত জানান এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টিভ্যালে তাঁর উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পাঁচ বছর আগে, যখন গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছিল, তখন বিশ্ব এক মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছিল, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ, এই উৎসব আর্থিক উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এই বছর, যুক্তরাজ্য একটি অংশীদার দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করছে এবং দুটি প্রধান গণতন্ত্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী আর্থিক দৃশ্যপটকে আরও শক্তিশালী করবে। শ্রী মোদী অনুষ্ঠানস্থলে প্রাণোচ্ছল পরিবেশ, শক্তি এবং গতিশীলতার কথা উল্লেখ করে এটিকে অসাধারণ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, এটি ভারতের অর্থনীতি এবং বিকাশের প্রতি বিশ্বব্যাপী আস্থা প্রতিফলিত করে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী কৃষ গোপালকৃষ্ণাণ, সকল আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারীদের এই অনুষ্ঠানের সফল আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান।
“ভারত গণতন্ত্রের জননী এবং ভারতে গণতন্ত্র কেবল নির্বাচন বা নীতি নির্ধারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শাসনের একটি শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে”, বলে মন্তব্য করে শ্রী মোদী প্রযুক্তিকে এই গণতান্ত্রিক চেতনার একটি প্রধান উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশ্ব দীর্ঘকাল ধরে প্রযুক্তিগত বিভাজন নিয়ে আলোচনা করেছে এবং ভারতও একসময় এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল - তবুও ভারত সফলভাবে প্রযুক্তির গণতন্ত্রীকরণ করেছে। তিনি বলেন, “আজকের ভারত বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তিকরণ ঘটানো দেশগুলির মধ্যে একটি”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ডিজিটাল প্রযুক্তির গণতন্ত্রীকরণ করেছে, যা দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং প্রতিটি অঞ্চলের জন্য এটিকে সহজলভ্য করে তুলেছে, এটি এখন ভারতের সুশাসনের মডেল হয়ে উঠেছে। এই মডেলে, সরকার জনস্বার্থে ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করে এবং বেসরকারি ক্ষেত্র সেই প্ল্যাটফর্মে উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি করে। ভারত দেখিয়েছে যে প্রযুক্তি কীভাবে কেবল সুবিধার হাতিয়ার হিসেবেই নয় বরং সমতার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি ব্যাঙ্কিং পরিমণ্ডলকে রূপান্তরিত করেছে”। তিনি উল্লেখ করেন যে ব্যাঙ্কিং একসময় একটি বিশেষ সুযোগ ছিল, কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তি এটিকে ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে পরিণত করেছে। ডিজিটাল পেমেন্ট ভারতে নিয়মিত হয়ে উঠেছে, এই সাফল্যের জন্য তিনি জেএএম ট্রিনিটি - জন ধন, আধার এবং মোবাইলকে কৃতিত্ব দেন। তিনি জানান, শুধুমাত্র ইউপিআই-এর মাধ্যমে ভারতে প্রতি মাসে বিশ বিলিয়ন লেনদেন হয়, যার মূল্য পঁচিশ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। বিশ্বের প্রতি একশোটি রিয়েল-টাইম ডিজিটাল লেনদেনের মধ্যে পঞ্চাশটি ভারতেই ঘটে।
এই বছরের গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের মূল ভাবনা ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনাকে শক্তিশালী করে এবং এগিয়ে নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ভারতের ডিজিটাল স্ট্যাক নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা করা হচ্ছে, ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই), আধার সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম, ভারত বিল পেমেন্ট সিস্টেম, ভারত-কিউআর, ডিজিলকার, ডিজিযাত্রা এবং গভর্নমেন্ট ই-মার্কেটপ্লেস (জিইএম) এর মতো মূল উপাদানগুলিকে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন যে ইন্ডিয়া স্ট্যাক এখন নতুন উন্মুক্ত ইকোসিস্টেমের জন্ম দিচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে ONDC — ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স — ছোট দোকানদার এবং MSME-দের জন্য একটি আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে, যা তাদের সারা দেশের বাজারে প্রবেশাধিকার প্রদান করছে। OCEN — ওপেন ক্রেডিট সক্ষমতা নেটওয়ার্ক — ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের নাগাল পাওয়া সহজতর করছে এবং MSME-দের জন্য ঋণ ঘাটতির সমস্যার সমাধান করছে। RBI পরিচালিত ডিজিটাল মুদ্রা উদ্যোগ পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন ঘটাবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্ত প্রয়াস ভারতের অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে দেশের উন্নয়নের জন্য একটি চালিকা শক্তিতে রূপান্তরিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন “ইন্ডিয়া স্ট্যাক কেবল ভারতের সাফল্যের কাহিনী নয়, বরং বিশ্বের জন্য, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য আশার আলো”। তিনি বলেন, ভারত তার অভিজ্ঞতা এবং ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম উভয়কেই বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে। শ্রী মোদী ভারতে বিকশিত মডুলার ওপেন-সোর্স আইডেন্টিটি প্ল্যাটফর্ম (MOSIP) কে একটি প্রধান উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ২৫-টির-ও বেশি দেশ তাদের সার্বভৌম ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থা তৈরির জন্য এটি গ্রহণ করছে। ভারত কেবল প্রযুক্তি ভাগ করে নিচ্ছে না বরং এটি বিকাশে অন্যান্য দেশকেও সহায়তা করছে। এটি ডিজিটাল সহায়তা নয়, বরং ডিজিটাল ক্ষমতায়ন।
ভারতের ফিনটেক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা দেশীয় সমাধানগুলিকে বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিকতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করে শ্রী মোদী আন্তঃপরিচালিত QR নেটওয়ার্ক, উন্মুক্ত বাণিজ্য এবং উন্মুক্ত অর্থযোগান কাঠামোকে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় স্টার্টআপগুলির বৃদ্ধি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পাচ্ছে। এই বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে, ভারত বিশ্বব্যাপী শীর্ষ তিনটি সর্বাধিক অর্থের যোগান পাওয়া আর্থিক প্রযুক্তি পরিমণ্ডলের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
শ্রী মোদী বলেন, ভারতের শক্তি কেবল মাত্রায় নয়, বরং মাত্রাকে অন্তর্ভুক্তি এবং সুস্থিতির সঙ্গে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রেও নিহিত রয়েছে। এই বিষয়টির উপর জোর দিয়ে আন্ডাররাইটিং পক্ষপাত হ্রাস, বাস্তব সময়ে জালিয়াতি সনাক্তকরণ এবং বিভিন্ন পরিষেবা বৃদ্ধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্ভাবনা উন্মোচন করার জন্য, প্রধানমন্ত্রী তথ্য, দক্ষতা এবং শাসনব্যবস্থায় যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, " এআই-এর প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তিনটি মূল নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি - ন্যায়সঙ্গত লভ্যতা, জনসংখ্যা-মাত্রা দক্ষতা এবং দায়িত্বশীল স্থাপনা" তিনি বলেন, ভারত-এআই মিশনের অধীনে, সরকার প্রতিটি উদ্ভাবক এবং স্টার্ট-আপের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের সম্পদ নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ক্ষমতার বিকাশ ঘটাচ্ছে। প্রতিটি জেলায় এবং প্রতিটি ভাষায় এআই-এর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ভারতের উৎকর্ষ কেন্দ্র, দক্ষতা কেন্দ্র এবং দেশীয় এআই মডেলগুলি সক্রিয়ভাবে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করছে।
এআই-এর জন্য একটি বিশ্বব্যাপী নীতিগত কাঠামো তৈরিতে ভারত ধারাবাহিকভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করে শ্রী মোদী বলেছেন, ডিজিটাল জন পরিকাঠামো এবং ভারতের অভিজ্ঞতা বিশ্বের জন্য মূল্যবান হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ডিজিটাল জন পরিকাঠামোতে ভারত যে পথ অনুসরণ করেছে, AI-তে অগ্রগতির জন্য একই পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, "ভারতের জন্য, AI মানে হল All Inclusive"।
AI-এর জন্য আস্থা এবং সুরক্ষা নিয়ম নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও, ভারত ইতিমধ্যেই একটি আস্থার স্তর তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের AI মিশন ডেটা এবং গোপনীয়তা উভয় উদ্বেগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।তিনি ভারতের এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যা উদ্ভাবকদের অন্তর্ভুক্তিমূলক অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে সক্ষম করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে, ভারত গতি এবং নিশ্চয়তাকে অগ্রাধিকার দেয়; ঋণের ক্ষেত্রে, অনুমোদন এবং সাশ্রয়যোগ্যতার উপর জোর দেওয়া হয়; বীমাতে লক্ষ্য কার্যকর নীতি এবং সময়োপযোগী দাবি; এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষ্য হল আকর্ষণ ও স্বচ্ছতা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে AI এই রূপান্তরের পিছনে চালিকা শক্তি হতে পারে। এর জন্য, AI অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে কেন্দ্রে রেখে ডিজাইন করতে হবে। প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ফাইন্যান্স ব্যবহারকারীর আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে ত্রুটিগুলি দ্রুত সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, এই আত্মবিশ্বাস ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং আর্থিক পরিষেবাগুলিতে আস্থা আরও জোরদার করবে।
কয়েক বছর আগে যুক্তরাজ্যে এআই সুরক্ষা সম্মেলন শুরু হয়েছিল এবং আগামী বছর ভারতে এআই প্রভাব সম্মেলেন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ যুক্তরাজ্যে শুরু হলেও, প্রভাব বিষয়ক আলোচনা এখন ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন যে ভারত ও যুক্তরাজ্য বিশ্বকে বিশ্ব বাণিজ্যে একটি চমৎকার অংশীদারিত্বের মডেল দেখিয়েছে এবং এআই ও ফিনটেকের ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা এই চেতনাকে আরও শক্তিশালী করে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে যুক্তরাজ্যের গবেষণা এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক দক্ষতা, ভারতের মাত্রা এবং প্রতিভার সঙ্গে মিলিত হয়ে, বিশ্বের জন্য সুযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। তিনি স্টার্ট-আপ, প্রতিষ্ঠান এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রগুলির মধ্যে সংযোগ আরও গভীর করার জন্য একটি নতুন প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, যুক্তরাজ্য-ভারত ফিনটেক করিডোর নতুন স্টার্ট-আপগুলিকে সহায়তা করবে এবং লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং গিফট সিটির মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে। তিনি আরও বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে এই আর্থিক সংযুক্তিকরণ কোম্পানিগুলিকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা সর্বাধিক করতে সহায়তা করবে।
সকল অংশীদারদের বিশাল দায়িত্বের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী যুক্তরাজ্য সহ প্রতিটি বৈশ্বিক অংশীদারকে ভারতের সাথে সহযোগিতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি ভারতের বিকাশের যাত্রায় সামিল হতে প্রতিটি বিনিয়োগকারীকে আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী এমন একটি ফিনটেক বিশ্ব তৈরির আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন যা প্রযুক্তি, মানুষ এবং গ্রহ সকলকেই সমৃদ্ধ করে - যেখানে উদ্ভাবন কেবল বৃদ্ধির জন্য নয়, কল্যাণের লক্ষ্যেও পরিচালিত হবে, এবং যেখানে অর্থ কেবল সংখ্যার জন্য নয়, মানব অগ্রগতির সূচক হয়ে উঠবে। এই আহ্বানের মাধ্যমে তিনি উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, কিয়ার স্টার্মার, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শ্রী সঞ্জয় মালহোত্রা, প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
****
SSS/SD/SKD
(रिलीज़ आईडी: 2177529)
आगंतुक पटल : 20
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Odia
,
Punjabi
,
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada