প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো’ ২০২৫ এর উদ্বোধন করেছেন

Posted On: 17 JAN 2025 1:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত ‘ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৫’ এর উদ্বোধন করেছেন। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় মোবিলিটি এক্সপো। উপস্থিত জনসমাবেশকে উদ্দেশ্য করে তিনি পরপর তৃতীয়বার তার সরকারকে নির্বাচিত করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের এক্সপোর পরিসর আরও বিস্তৃত হয়েছে, কারণ এই আয়োজন জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের আরও দুটি স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর এই অনুষ্ঠানে ৮০০-রও বেশি প্রদর্শক এবং দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ দিনে বহু নতুন গাড়ি বাজারে আসবে এবং বহু প্রতিনিধি যোগ দেবেন, যা প্রমাণ করে যে ভারতে মোবিলিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবল ইতিবাচকতা রয়েছে। প্রদর্শনী ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ভারতের অটোমোটিভ শিল্প অসাধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি সবার প্রতি শুভকামনা জানান।

এই মহৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শিল্পজগতের দুই কিংবদন্তি শ্রী রতন টাটা এবং শ্রী ওসামু সুজুকিকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারতের যানবাহন ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন পূরণে তাদের অবদান অসামান্য। তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে তাদের উত্তরাধিকারীরা আগামী দিনগুলোতে ভারতের গোটা মোবিলিটি ক্ষেত্রকে অনুপ্রাণিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও যুবসমাজের শক্তি দ্বারা চালিত হয়ে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প নজিরবিহীন পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে। তিনি জানান, গত এক বছরে ভারতের অটো শিল্পে প্রায় ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "মেক ইন ইন্ডিয়া এবং মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড" মন্ত্রের ফলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোদী উল্লেখ করেন, ভারতে বছরে যে পরিমাণ গাড়ি বিক্রি হয়, তা বহু দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। তিনি বলেন, এক বছরে প্রায় ২.৫ কোটি গাড়ির বিক্রি দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে প্রতিফলিত করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বৃদ্ধি দেখায় কেন মোবিলিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারত থেকে এত বেশি প্রত্যাশা করা হয়।

শ্রী মোদী বলেন, বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং তৃতীয় বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ির বাজার। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে প্রবেশের পথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে ভারতের অটো বাজারে অভূতপূর্ব রূপান্তর ও সম্প্রসারণ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারতের মোবিলিটি ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে বহু উপাদান কাজ করছে— দেশের বিশাল যুব জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি, নগরায়ণ, আধুনিক পরিকাঠামো এবং মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের যানবাহন। তিনি বলেন, এই উপাদানগুলো মিলিতভাবে ভারতের অটো সেক্টরের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে।

অটো শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের পাশাপাশি আকাঙ্ক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে এই দুই-ই বিদ্যমান। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, আগামী দশকেও ভারত বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ দেশ থাকবে যেখানে যুবসমাজ সবচেয়ে বড় গ্রাহক। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে এই বিশাল যুব জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য চাহিদা তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, ভারতের আরেকটি প্রধান গ্রাহকভিত্তি হলো মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং গত এক দশকে ২৫ কোটি ভারতীয় দারিদ্র্যসীমার বাইরে এসেছে, যার ফলে এক নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে, যারা তাদের প্রথম যান ক্রয় করছে। তিনি বলেন, অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে এই শ্রেণি নতুন গাড়ি কিনবে, যা অটো শিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভালো এবং প্রশস্ত সড়কের অভাব একসময় ভারতে গাড়ি না কেনার অন্যতম কারণ ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি বলেন, ভ্রমণ-সুবিধা আজকের ভারতে একটি বড় অগ্রাধিকার। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে গত বছরের বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানান, সারা দেশে মাল্টি-লেন হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পিএম গতিশক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান মাল্টিমোডাল সংযোগকে গতিশীল করেছে এবং লজিস্টিক খরচ হ্রাস করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় লজিস্টিক নীতি ভারতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক লজিস্টিক খরচ সম্পন্ন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টা অটো শিল্পের জন্য বহু নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে এবং দেশে যানবাহনের বাড়তি চাহিদার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, উন্নত পরিকাঠামোর পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তিও গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, ফাস্ট ট্যাগ ভারতের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ড ভারতে নিরবচ্ছিন্ন ভ্রমণের প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করছে। তিনি বলেন, ভারত এখন কানেক্টেড ভেহিকলস এবং স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিংয়ে দ্রুত অগ্রগতির মাধ্যমে স্মার্ট মোবিলিটির দিকে এগোচ্ছে।

ভারতের অটো শিল্পের বিকাশের সক্ষমতায় মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএলআই প্রকল্পগুলো মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযানে নতুন গতি এনেছে, যার ফলে ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিক্রি হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রকল্পটি এই খাতে ১.৫ লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটো শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বহুগুণ প্রভাব অন্যান্য শিল্পেও পড়েছে। তিনি আলোকপাত করেন যে, এমএসএমই শিল্প বিপুল পরিমাণ অটো যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে। তিনি বলেন, অটো শিল্প যত প্রসারিত হবে, ততই এমএসএমই, লজিস্টিক, পর্যটন এবং পরিবহন শিল্পেও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

শ্রী মোদী সরকার কর্তৃক অটো শিল্পকে প্রতিটি স্তরে দেওয়া সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, গত এক দশকে এই শিল্পে এফডিআই, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের নতুন পথ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, শুধুমাত্র গত চার বছরে এই শিল্পে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। তিনি বলেন, আগামী বছরগুলোতে এই অঙ্ক বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতের অটো উৎপাদনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

“মোবিলিটি সলিউশনের জন্য সাত ‘সি’”— অর্থাৎ কমন, কানেক্টেড, কনভেনিয়েন্ট, কনজেশন-ফ্রি, চার্জড, ক্লিন এবং কাটিং-এজ— এর নিজের লক্ষ্যকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে এই দৃষ্টিভঙ্গির আওতায় সবুজ (গ্রিন) মোবিলিটির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত এমন এক মোবিলিটি ব্যবস্থা তৈরি করছে যা অর্থনীতি এবং পরিবেশ — উভয়কেই সহায়তা করে এবং যার ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানি খরচ কমে আসছে। তিনি উল্লেখ করেন, সবুজ প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যান (ইভি), হাইড্রোজেন জ্বালানি এবং জৈব জ্বালানির বিকাশের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ইলেকট্রিক মোবিলিটি মিশন এবং গ্রীন হাইড্রোজেন মিশন এর মতো উদ্যোগ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুরু করা হয়েছে।

ভারতে গত কয়েক বছরে বৈদ্যুতিক মোবিলিটির দ্রুত বিকাশের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গত এক দশকে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রয় ৬৪০ গুণ বেড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, দশ বছর আগে যেখানে বছরে মাত্র ২,৬০০ ইলেকট্রিক যান বিক্রি হতো, সেখানে ২০২৪ সালে ১৬.৮০ লক্ষেরও বেশি বৈদ্যুতিক যান বিক্রি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আজ একদিনে যতগুলো বৈদ্যুতিক যান বিক্রি হচ্ছে, তা এক দশক আগে পুরো বছরে বিক্রি হওয়া গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই দশকের শেষে ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের সংখ্যা আট গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা এই শিল্পে বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে।

প্রধানমন্ত্রী বৈদ্যুতিক মোবিলিটির সম্প্রসারণে সরকার কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্ত ও প্রদত্ত সহায়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া ফেম-২ প্রকল্পের আওতায় ৮,০০০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, এই অর্থ বৈদ্যুতিক যান কেনার জন্য ভর্তুকি দেওয়া এবং চার্জিং পরিকাঠামো নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর অধীনে ৫,০০০-রও বেশি বৈদ্যুতিক বাসসহ ১৬ লক্ষেরও বেশি বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র সরকারের দেওয়া ১,২০০-রও বেশি বৈদ্যুতিক বাস দিল্লিতে চলছে।

তিনি তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া পিএম ই-ড্রাইভ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন, যার আওতায় দুই চাকা, তিন চাকা, ই-অ্যাম্বুলেন্স এবং ই-ট্রাকসহ প্রায় ২৮ লক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার জন্য সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪,০০০ বৈদ্যুতিক বাসও কেনা হবে এবং বিভিন্ন যানবাহনের জন্য সারা দেশে ৭০,০০০-এরও বেশি ফাস্ট চার্জার বসানো হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের ছোট শহরগুলোতে প্রায় ৩৮,০০০ ই-বাস চালানোর জন্য তৃতীয় মেয়াদে পিএম ই-বাস সেবা শুরু করা হয়েছে।

বৈদ্যুতিক যান উৎপাদনের জন্য সরকারের ধারাবাহিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনে উৎপাদনে আগ্রহী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য দরজা উন্মুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো উচ্চমানের বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনের পরিকাঠামো সম্প্রসারণে এবং ভারতে একটি ভ্যালু-চেইন তৈরিতে সহায়তা করবে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলার জন্য সৌর শক্তি ও বিকল্প জ্বালানিকে ক্রমাগত উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের সময় সবুজ ভবিষ্যতের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ভারতে ইভি এবং সৌর শক্তি — উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম সুর্যঘর-ফ্রি বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য একটি প্রধান মিশন। তিনি এই ক্ষেত্রে ব্যাটারি এবং সঞ্চয়ন ব্যবস্থার বাড়তে থাকা চাহিদার ওপরও আলোকপাত করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, উন্নত রাসায়নিক সেল ব্যাটারি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সরকার ১৮,০০০ কোটি টাকার প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্প চালু করেছে। তিনি বলেন, এই খাতে বড় বিনিয়োগের জন্য এখনই সঠিক সময়। প্রধানমন্ত্রী দেশের যুবসমাজকে শক্তি সঞ্চয়ন ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ শুরু করার আহ্বান জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ভারতে সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করে ব্যাটারি এবং সঞ্চয়ন ব্যবস্থা তৈরির মতো উদ্ভাবনের ওপর কাজ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই অনেক কাজ হয়েছে, কিন্তু এটিকে মিশন মোডে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি।

এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকারের স্পষ্ট অভিপ্রায় ও প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, নতুন নীতি প্রণয়ন হোক বা সংস্কার কার্যকর করা হোক — সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গাড়ি নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে তিনি ভেহিকল স্ক্র্যাপিং পলিসি-এর সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং পরামর্শ দেন যে সংস্থাগুলি যেন আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করতে উৎসাহিত করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অনুপ্রেরণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দেশের ও পরিবেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সেবাকার্য হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ এশিয়া এবং ভারতের। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যে কোনো বিনিয়োগকারীর জন্য ভারত এক অসাধারণ গন্তব্য, বিশেষত যারা মোবিলিটি ক্ষেত্রে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে চান। নিজের বক্তব্যের সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আশ্বস্ত করেন যে সরকার পূর্ণ সহযোগিতা করছে। তিনি সকলকে “মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড” মন্ত্রের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।

এই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী মনোহর লাল, কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প ও ইস্পাত মন্ত্রী এইচ.ডি. কুমারস্বামী, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, লঘু ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি-সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

প্রেক্ষাপট

ভারতে মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৫ আয়োজন করা হচ্ছে ১৭ থেকে ২২ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত তিনটি ভিন্ন স্থানে — নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপম, যশোভূমি এবং গ্রেটার নয়ডার ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টার অ্যান্ড মার্ট-এ। এখানে ৯টিরও বেশি শো, ২০টিরও বেশি সম্মেলন এবং প্যাভিলিয়ন অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি, এক্সপোতে মোবিলিটি ক্ষেত্রে নীতি ও উদ্যোগগুলি উপস্থাপন করার জন্য স্টেট সেশন আয়োজন করা হবে, যাতে শিল্প ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্তরের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যায়।

ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৫-এর উদ্দেশ্য হলো সম্পূর্ণ মোবিলিটি ভ্যালু-চেইনকে এক ছাতার নিচে আনা। এই বছরের এক্সপোতে  সারা বিশ্ব থেকে প্রদর্শক ও দর্শকরা অংশ নিচ্ছেন। এটি একটি সরকার-সমর্থিত উদ্যোগ, যার সমন্বয় করছে ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

 

SC/PK..


(Release ID: 2160279) Visitor Counter : 11