প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর কৃতজ্ঞতা প্রস্তাবের জবাবে লোকসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
प्रविष्टि तिथि:
04 FEB 2025 8:57PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমি আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি মাননীয় রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে। গতকাল এবং আজ রাত অবধি মাননীয় সাংসদগণ তাঁদের মতামত দিয়ে এই ধন্যবাদ প্রস্তাবকে সমৃদ্ধ করেছেন। বহু অভিজ্ঞ মাননীয় সাংসদও তাঁদের বক্তব্য রেখেছেন, এবং স্বাভাবিকভাবেই, গণতন্ত্রের ঐতিহ্য অনুযায়ী—যেখানে প্রয়োজন ছিল সেখানে প্রশংসা এসেছে, আর যেখানে সমস্যা ছিল সেখানে নেতিবাচক মন্তব্যও হয়েছে, কিন্তু এটাই তো স্বাভাবিক! মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়, এটা আমার জন্য বিরাট সৌভাগ্যের বিষয় যে দেশের মানুষ আমাকে ১৪তম বারের মতো এখানে বসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ দিয়েছেন। তাই আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং সংসদে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করার জন্য সকল মাননীয় সদস্যকেও কৃতজ্ঞতা জানাই।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা এখন ২০২৫ সালে। এক অর্থে ২১শ শতাব্দীর ২৫% সময় ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। সময়ই ঠিক করবে স্বাধীনতার পর ২০শ শতকে কী ঘটেছিল এবং ২১শ শতাব্দীর প্রথম ২৫ বছরে কী ঘটেছে এবং কেমন করে ঘটেছে। কিন্তু যদি আমরা রাষ্ট্রপতির এই ভাষণ গভীরভাবে দেখি, তবে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে রাষ্ট্রপতি আগামী ২৫ বছরের কথা বলেছেন এবং উন্নত ভারতের জন্য একটি নতুন আত্মবিশ্বাস সৃষ্টিকারী ভাষণ দিয়েছেন। এক অর্থে, মাননীয় রাষ্ট্রপতির এই ভাষণ উন্নত ভারতের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করছে, নতুন আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করছে এবং সাধারণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
বিভিন্ন গবেষণায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে গত ১০ বছরে দেশের মানুষ আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। ২৫ কোটি দেশবাসী দারিদ্র্যকে পরাজিত করে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
পাঁচ দশক ধরে দারিদ্র্য দূর করার স্লোগান শোনা গেছে এবং আজ ২৫ কোটি গরিব মানুষ দারিদ্র্য জয় করে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এটা এমনি এমনি হয় না। এটা তখনই হয় যখন কেউ পরিকল্পিতভাবে পূর্ণ সংবেদনশীলতা এবং নিষ্ঠা নিয়ে গরিবদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
যখন মাটির সঙ্গে যুক্ত মানুষ মাটিতে থেকেই মাটির সত্যকে জানে এবং তার জন্য জীবন কাটায়, তখন মাটিতে পরিবর্তন আসবেই।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা গরিবদের ভুয়া স্লোগান দিইনি, আমরা তাদের প্রকৃত উন্নয়ন দিয়েছি। গরিবদের কষ্ট, সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা, মধ্যবিত্তের স্বপ্ন—এসব এমনি এমনি বোঝা যায় না। মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়, এর জন্য আবেগ প্রয়োজন, আর দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, কারও কারও মধ্যে সেই আবেগ নেই।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
বর্ষাকালে প্লাস্টিকের চাদর দেওয়া খড়ের ছাউনি ঘরে বসবাস করা কতটা কঠিন—যে মুহূর্তে প্রতিটি স্বপ্ন ভেঙে যায়, তা সবাই বুঝতে পারে না।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
এখন পর্যন্ত গরিবরা ৪ কোটি বাড়ি পেয়েছেন। যারা সেই জীবন যাপন করেনি, তারা বোঝেন না একটি পাকা ছাদের ঘর পাওয়া আসলে কী অর্থ বহন করে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
যখন একজন নারীকে খোলা আকাশের নিচে শৌচকর্ম করতে হয়, তখন ভোরের আগে বা সূর্যাস্তের পর অনেক কষ্ট সহ্য করে বাইরে যেতে হয়। এমন কষ্ট সবাই বোঝে না, মাননীয় চেয়ারম্যান।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা ১২ কোটিরও বেশি শৌচাগার তৈরি করে আমাদের বোন ও মেয়েদের সমস্যার সমাধান করেছি। মাননীয় চেয়ারম্যান, আজকাল গণমাধ্যমে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হচ্ছে। কিছু নেতা মানুষের বাড়িতে জাকুজি আর স্টাইলিশ শাওয়ার নিয়ে আলোচনা করছেন, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও দেশের ৭০-৭৫% জনগণ, অর্থাৎ ১৬ কোটিরও বেশি পরিবার, পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পায়নি। আমাদের সরকার ৫ বছরে ১২ কোটি পরিবারকে কলের জল দিয়েছে এবং সেই কাজ দ্রুত এগোচ্ছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা গরিবদের জন্য এত কাজ করেছি যে মাননীয় রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বিস্তারিতভাবে তা উল্লেখ করেছেন। যারা গরিবদের কুঁড়েঘরে গিয়ে ফটোশুট করে নিজেদের আনন্দ পান, তাদের সংসদে গরিবদের কথা শোনা অবশ্যই বিরক্তিকর লাগবে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমি তাদের রাগ বুঝতে পারি। মাননীয় চেয়ারম্যান, সমস্যাকে চিহ্নিত করা এক বিষয়, কিন্তু যদি দায়িত্ব থাকে তাহলে সমস্যাকে চিহ্নিত করেই থেমে যাওয়া যায় না। তার সমাধানে নিষ্ঠার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালাতে হয়। আমরা গত ১০ বছরে যেমন কাজ করেছি, এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণেও তা প্রতিফলিত হয়েছে, আমাদের চেষ্টা থাকে সমস্যা সমাধান করার, এবং আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে সেই প্রচেষ্টা চালাই।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের দেশে একসময় এমন এক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যাকে মিস্টার ক্লিন বলা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছিল। তিনি একটি সমস্যাকে চিহ্নিত করেছিলেন এবং বলেছিলেন—যদি দিল্লি থেকে ১ টাকা বের হয়, তবে গ্রামে পৌঁছায় মাত্র ১৫ পয়সা। তখন পঞ্চায়েত থেকে সংসদ পর্যন্ত এক দলের শাসন ছিল, আর সেই সময়ই তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন ১ টাকা বের হয় আর ১৫ পয়সা পৌঁছায়। এটা ছিল এক আশ্চর্য ধরণের কারসাজি। দেশের সাধারণ মানুষও সহজেই বুঝতে পারত সেই ১৫ পয়সা কার কাছে যেত।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
দেশ আমাদের সুযোগ দিল, আমরা সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করলাম। আমাদের মডেল হলো—সঞ্চয়ও, উন্নয়নও; জনগণের টাকা জনগণের জন্য। আমরা জন ধন-আধার-মোবাইল এই ত্রয়ী সৃষ্টি করলাম এবং ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) এর মাধ্যমে সরাসরি সুবিধা দেওয়া শুরু করলাম।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের মেয়াদে আমরা সরাসরি ৪০ লাখ কোটি টাকা মানুষের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
এই দেশ কতটা দুর্ভাগা ছিল, কীভাবে সরকার চালানো হতো এবং কাদের জন্য চালানো হতো—তা বোঝা যায়।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
জ্বর এলে মানুষ অনেক কিছু বলে ফেলে। কিন্তু যখন তার সঙ্গে হতাশা আর বিরক্তি যুক্ত হয়, তখনও তারা অনেক কিছু বলে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
১০ কোটি এমন ভুয়ো মানুষ, যারা জন্মায়ওনি, যারা এই ভারতের মাটিতে আসেইনি, তারাও সরকারি কোষাগার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছিল।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
যাতে প্রকৃত অধিকারীরা অন্যায়ের শিকার না হন, রাজনৈতিক লাভ-লোকসানের চিন্তা না করেই আমরা এই ১০ কোটি ভুয়ো নাম মুছে দিয়েছি এবং প্রকৃত উপকারভোগীদের চিহ্নিত করে তাদের সাহায্য করার অভিযান শুরু করেছি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
এই ১০ কোটি ভুয়ো নাম বাদ দেওয়ার পর যখন বিভিন্ন প্রকল্পের হিসাব কষা হলো, প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা ভুল হাতে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচল। আমি বলছি না কার হাতে যেত, কিন্তু ভুল হাতে যেত।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
সরকারি ক্রয়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা নিশ্চিত করেছি, স্বচ্ছতা এনেছি এবং আজ রাজ্য সরকারগুলোও জেম (Gem) পোর্টাল ব্যবহার করছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে কেনাকাটা সাধারণ কেনাকাটার চেয়ে সস্তায় হয় এবং সরকার ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় করেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে অনেক বিদ্রূপ করা হয়েছিল, যেন আমরা কোনো পাপ করেছি, কোনো ভুল করেছি। কী কী বলা হয়েছিল আমি জানি না, কিন্তু আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের ফলে শুধু সরকারি অফিসের জঞ্জাল বিক্রি করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার ২৩০০ কোটি টাকা আয় করেছে। মহাত্মা গান্ধী ট্রাস্টিশিপের নীতি নিয়ে কথা বলতেন। তিনি বলতেন আমরা হচ্ছি ট্রাস্টি, এই সম্পত্তি জনগণের এবং তাই এই ট্রাস্টিশিপের নীতি মেনে আমরা প্রতিটি পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করি এবং সঠিক স্থানে ব্যবহার করি। আর তার ফলেই আজ স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় জঞ্জাল বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে ২৩০০ কোটি টাকা এসেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা ইথানল ব্লেন্ডিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা জানি যে আমরা জ্বালানির ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর নই, বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। ইথানল ব্লেন্ডিং করার ফলে আমাদের পেট্রোল-ডিজেলের আয় কিছুটা কমেছিল, কিন্তু সেই একটি সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রভাব পড়েছে এবং এই ১ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি অর্থ আমাদের কৃষকদের পকেটে পৌঁছেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমি সঞ্চয়ের কথা বলছি, কিন্তু আগে তো সংবাদপত্রের শিরোনাম হতো—কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। এত কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, এত কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। এখন ১০ বছর হলো, কোনো কেলেঙ্কারি হয়নি। কেলেঙ্কারি না হওয়ায় দেশের লাখো কোটি টাকা সঞ্চয় হয়েছে এবং সেই অর্থ জনগণের সেবায় ব্যবহার হচ্ছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপে লাখো কোটি টাকা সঞ্চয় হয়েছে, কিন্তু আমরা সেই টাকা দিয়ে কাঁচের প্রাসাদ তৈরি করিনি। আমরা সেই টাকা দিয়ে দেশ গড়েছি। ১০ বছর আগে, আমাদের আসার আগে, পরিকাঠামো বাজেট ছিল ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আজ পরিকাঠামো বাজেট দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকায়। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি বর্ণনা করেছেন কীভাবে ভারতের ভিত মজবুত হচ্ছে। সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ কিংবা গ্রামীণ রাস্তা—সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের শক্ত ভিত গড়ে উঠেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
সরকারি কোষাগারে সঞ্চয় এক বিষয়, এবং তা হওয়াই উচিত, যেমন আমি ট্রাস্টিশিপের কথা বলেছি। কিন্তু আমরা এটাও ভেবেছি যে সাধারণ মানুষও যেন এর সুবিধা পান। প্রকল্পগুলো এমন হওয়া উচিত যাতে জনসাধারণেরও সঞ্চয় হয়। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা-র কারণে অসুস্থতায় সাধারণ মানুষের যে খরচ হওয়ার কথা ছিল, তা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে গেছে। একইভাবে জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে ওষুধ কিনে পরিবারগুলো প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে, কারণ এখানে ৮০% ছাড়ে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
ইউনিসেফ-এর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে পরিবারে শৌচাগার ও স্যানিটেশন সুবিধা রয়েছে, সেই পরিবার বছরে প্রায় ৭০ হাজার টাকা সাশ্রয় করছে। WHO-র এক রিপোর্ট বলছে, বিশুদ্ধ কলের জল পাওয়ার ফলে একটি গড় পরিবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করছে। এগুলো আমি শুধু কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি, আসলে বহু প্রকল্পে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ের সুযোগ পেয়েছেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
কোটি কোটি মানুষকে আমরা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিচ্ছি। এতে পরিবারগুলো হাজার হাজার টাকা বাঁচাচ্ছে। পিএম সুর্য ঘর মুফত বিদ্যুৎ যোজনার ফলে যেসব পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে তারা বছরে গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা বিদ্যুতের খরচে সাশ্রয় করছে। আবার অনেক পরিবার বাড়তি বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয়ও করছে। LED বালবের প্রচারের মাধ্যমে এর দাম ৪০০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে এবং এর ফলে বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়েছে, আলোও বেড়েছে এবং সাধারণ মানুষ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে পেরেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
সয়েল হেলথ কার্ড ব্যবহার করা কৃষকরা বিপুল উপকৃত হয়েছেন এবং প্রতিটি একরে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করেছেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
গত ১০ বছরে আমরা আয়কর কমিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সঞ্চয়ও বাড়িয়েছি।
২০১৩-১৪ সালে মাত্র ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় ছিল। আজ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হয়েছে। উপরন্তু ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও যোগ হয়েছে, ফলে ১লা এপ্রিল থেকে দেশের বেতনের উপর নির্ভরশীল মানুষরা ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো আয়কর দেবেন না।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
যুবমোর্চায় কাজ করার সময় নিশ্চয়ই আপনি শুনেছেন, একসময়কার প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই “২১শ শতাব্দী, ২১শ শতাব্দী” বলতেন। এটা তাঁর মুখস্থ বুলি হয়ে গিয়েছিল। আর. কে. লক্ষ্মণ তখন টাইমস অফ ইন্ডিয়া-তে একটি কার্টুন করেছিলেন। তাতে দেখা যায়, একটি বিমান ঠেলাগাড়ির ওপর রাখা, কুলিরা সেটি ঠেলছে, আর তাতে লেখা আছে ২১শ শতাব্দী। এটি তখন হাসির বিষয় মনে হয়েছিল, কিন্তু পরে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এটাই ছিল প্রমাণ যে তখনকার প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতা থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন ছিলেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
যারা তখন ২১শ শতাব্দীর কথা বলতেন, তারা ২০শ শতাব্দীর মৌলিক চাহিদাগুলোও পূরণ করতে পারেননি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আজ যখন আমি গত ১০ বছরের কাজগুলো দেখি, তখন মনে হয় আমরা ৪০-৫০ বছর পিছিয়ে আছি। যে কাজগুলো ৪০-৫০ বছর আগে হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। তাই ২০১৪ সালে দেশের মানুষ যখন আমাদের সেবা করার সুযোগ দিলেন, আমরা যুবসমাজের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, ডিফেন্স সেক্টর, স্পেস সেক্টর, সেমিকন্ডাক্টর মিশন, ইনোভেশন—এসব খোলা হয়েছে এবং যুবকেরা আজ তাদের প্রতিভার জোরে বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছে। এই বাজেটে আমরা পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রও খুলে দিয়েছি, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব দেখা যাবে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আজ আমরা AI, রোবোটিক্স, 3D প্রিন্টিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, গেমিং নিয়ে আলোচনা করছি। আমি দেশের যুবকদের বলেছি—ভারত কেন বিশ্বে গেমিং ক্যাপিটাল হবে না, ক্রিয়েটিভিটি ক্যাপিটাল হবে না? আমার কাছে AI মানে শুধু Artificial Intelligence নয়, বরং Aspirational India। আমরা স্কুলে ১০ হাজার টিঙ্কারিং ল্যাব শুরু করেছি, আজ শিশুরা রোবোটিক্স বানিয়ে সবাইকে অবাক করছে। এবারের বাজেটে ৫০ হাজার নতুন ল্যাবের ঘোষণা হয়েছে। India AI Mission আজ বিশ্বে প্রশংসিত।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা সংবিধানের চেতনা মেনে চলি। ২০১৪ সালে বিরোধী দল না থাকলেও, বৃহত্তম দলের নেতাকে আমরা সর্বদা কমিটির বৈঠকে ডেকেছি। এখন নির্বাচন কমিশনের গঠনেও বিরোধী দলের নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা PM মিউজিয়াম তৈরি করেছি যেখানে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার জীবন ও কাজ তুলে ধরা হয়েছে। এটি সংবিধানের চেতনা জীবন্ত রাখার দৃষ্টান্ত।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
যখন ক্ষমতা সেবায় রূপ নেয়, তখনই জাতি গড়ে ওঠে। যখন ক্ষমতা উত্তরাধিকারে পরিণত হয়, তখন গণতন্ত্র ধ্বংস হয়।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
সাত দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সংবিধানের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। এটি সংবিধানের প্রতি অন্যায় ছিল, জনগণের প্রতিও অন্যায় ছিল। আমরা ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছি। আজ জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষও সেই অধিকার পাচ্ছে যা দেশের অন্য নাগরিকরা পান। আমরা সংবিধানের মর্যাদা বুঝি, সংবিধানের চেতনা মেনে চলি এবং সেই কারণেই এমন শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের সংবিধান কাউকে বৈষম্য করার অধিকার দেয় না। যারা পকেটে সংবিধান নিয়ে ঘুরে বেড়ান, তারা জানেন না কী ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে আপনারা মুসলিম মহিলাদের ঠেলে দিয়েছিলেন। তিন তালাক প্রথা বিলোপ করে আমরা সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুসলিম কন্যাদের অধিকার দিয়েছি, সাম্যের অধিকার দিয়েছি। দেশে যখনই এনডিএ সরকার এসেছে, আমরা দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করেছি। কেউ কী ভাষা ব্যবহার করছে দেশকে বিভক্ত করার জন্য, হতাশা আর বিরক্তি তাদের কতদূর নিয়ে যাবে—আমি জানি না। কিন্তু আমাদের চিন্তা কী, আমাদের সঙ্গীরা কোন পথে হাঁটে, আমরা মূলত তাকাই পেছনের দিকে, শেষের দিকে—আর মহাত্মা গান্ধী যা বলেছিলেন তার দিকে। তাই যদি আমরা মন্ত্রকও তৈরি করি, তাহলে কোন মন্ত্রক করি? আমরা করেছি উত্তর-পূর্বের জন্য আলাদা মন্ত্রক। এত বছর ধরে দেশে কেউ ভাবেনি, যতক্ষণ না অটলজি এলেন। তিনি শুধু ভাষণ দেননি, এনডিএ আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রকও তৈরি করেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলো সমুদ্রতটে অবস্থিত। আমাদের পূর্বাঞ্চলের অনেক রাজ্যও সমুদ্রতটে। সেখানে মৎস্যজীবীরা সমাজের এক বিশাল অংশ। তাদের প্রতিও খেয়াল রাখা জরুরি। আবার যেসব অঞ্চলে ভেতরের জলাশয় আছে, সেখানেও সমাজের শেষ প্রান্তের মানুষরা মাছ ধরে জীবনধারণ করেন। আমাদের সরকারই প্রথম মৎস্য মন্ত্রক গঠন করেছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
সমাজের বঞ্চিত মানুষদের ভেতরেও সম্ভাবনা আছে। দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দিলে তাদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা নতুন জীবন গড়ে তুলতে পারে। তাই আমরা দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রক গঠন করেছি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
গণতন্ত্রের প্রথম কর্তব্য হলো সাধারণ মানুষকে শক্তি দেওয়া। সেই চিন্তাধারা নিয়েই আমরা কোটি কোটি মানুষকে ভারতের সমবায় আন্দোলন-এর সঙ্গে যুক্ত করার সুযোগ তৈরি করেছি, যাতে এটি আরও সমৃদ্ধ ও সুস্থ হয়ে ওঠে। সমবায় আন্দোলন বহু ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করতে পারে। তাই আমরা সমবায় মন্ত্রক গঠন করেছি। এটাই আমাদের ভিশন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
কিছু মানুষের কাছে জাতপাতের কথা বলা যেন এক ধরনের ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। গত ৩০-৩৫ বছর ধরে এই সংসদে আসা ওবিসি সম্প্রদায়ের সাংসদরা ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে দলীয় রাজনীতি ছেড়ে ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হোক। আজ যারা জাতপাতের রাজনীতিতে মুনাফা খুঁজে বেড়ান, তারাই সেই সময়ে ওবিসিদের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। অথচ আমরাই ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিয়েছি। আজ এটি সাংবিধানিক ব্যবস্থার অংশ।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
এসসি, এসটি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের জন্য সর্বাধিক সুযোগ তৈরি করতে আমরা সর্বদা শক্তভাবে কাজ করেছি। আজ আমি এই সভার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখতে চাই। দেশে কি কখনও একই সংসদে একই সময়ে একই পরিবারের তিনজন এসসি সাংসদ ছিলেন? কখনও কি একই পরিবারের তিনজন এসটি সাংসদ একসঙ্গে সংসদে ছিলেন? আমি প্রশ্ন রাখলাম—দেশবাসী ভেবে দেখবেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
কিছু মানুষের ভাষণ আর আচরণের ফারাক আমি বুঝেছি। এ ফারাক আকাশ-পাতালের, দিন-রাতের।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমরা এসসি-এসটি সমাজকে কীভাবে শক্তিশালী করছি তার একটি উদাহরণ দিই। ২০১৪ সালের আগে দেশে মেডিকেল কলেজ ছিল ৩৮৭টি। আজ তা বেড়ে হয়েছে ৭৮০। কলেজ বাড়ায় আসনও বেড়েছে। আগে এসসি ছাত্রদের জন্য এমবিবিএস আসন ছিল ৭৭০০। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭,০০০। আগে ৭৭০০ জন ডাক্তার হওয়ার সুযোগ পেত, এখন ১৭ হাজার জন সুযোগ পাচ্ছে।
একইভাবে এসটি ছাত্রদের আসন ছিল ৩৮০০, আজ তা বেড়ে প্রায় ৯০০০। ওবিসি ছাত্রদের আসন ছিল ১৪,০০০-এরও কম, আজ তা বেড়ে ৩২,০০০ হয়েছে। অর্থাৎ ৩২ হাজার ওবিসি ছাত্র ডাক্তার হবে।
গত ১০ বছরে প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিদিন একটি নতুন আইটিআই, প্রতি দু’দিনে একটি নতুন কলেজ খোলা হয়েছে। ভেবে দেখুন কতটা অগ্রগতি হয়েছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে আমরা চাই ১০০% স্যাচুরেশন—প্রকৃত প্রাপকের কাছে পৌঁছানো। আমরা তুষ্টির রাজনীতি করিনি, করেছি সন্তুষ্টির কাজ। এর মধ্যেই নিহিত প্রকৃত সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রকৃত সংবিধান সম্মান।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
সংবিধানের চেতনা হলো সবার জন্য সুস্বাস্থ্য। আজ ক্যান্সার দিবস। দেশে-বিদেশে স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থে দরিদ্রদের চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে। আজ দেশে ৩০,০০০ হাসপাতাল আয়ুষ্মান যোজনা-র সঙ্গে যুক্ত। ল্যানসেট পত্রিকাও বলছে আয়ুষ্মানের কারণে ক্যান্সারের চিকিৎসা সময়মতো শুরু হচ্ছে। এবার বাজেটে ক্যান্সারের ওষুধ সস্তা করার ব্যবস্থা হয়েছে এবং ২০০টি ডে কেয়ার সেন্টার তৈরি হবে। এতে রোগী ও পরিবার দুই-ই উপকৃত হবে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিদেশনীতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন বিদেশনীতি নিয়ে না বললে তারা প্রাপ্তবয়স্ক মনে হয় না। আমি বলব—বিদেশনীতি সত্যিই বুঝতে চাইলে “JFK’s Forgotten Crisis” বইটি পড়ুন। সেখানে নেহরু- কেনেডির নীতি ও সিদ্ধান্ত বিস্তারিত আছে। দেশের সামনে কীভাবে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা জানা যাবে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর যদি একজন দরিদ্র পরিবারের কন্যা, আজকের রাষ্ট্রপতি-কে সম্মান না করে তাঁকে অপমান করা হয়, তবে তা রাজনৈতিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আজ ভারত এগোচ্ছে Women-led Development-এর মন্ত্রে। গত ১০ বছরে ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের আর্থসামাজিক অবস্থান উন্নত হয়েছে, সরকারের সহায়তা ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আজ তাঁদের অবদান গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন শক্তি দিচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি লক্ষপতি দিদি অভিযান-এর কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেই ১.২৫ কোটি মহিলা লক্ষপতি দিদি হয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য ৩ কোটি। ড্রোন দিদি প্রকল্প গ্রামে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। মহিলারা ড্রোন ওড়াচ্ছেন, লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
৪ কোটির মধ্যে ৭৫% বাড়ি মহিলাদের নামে দেওয়া হয়েছে। এ পরিবর্তন ২১শ শতকের শক্তিশালী ভারতের ভিত গড়ে তুলছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের কৃষকরা বিকশিত ভারতের চার স্তম্ভের অন্যতম। কৃষিতে বাজেট ১০ গুণ বেড়েছে। আগে ইউরিয়ার জন্য কৃষকদের মার খেতে হতো। আজ ৩০০০ টাকার বস্তা সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে দিচ্ছে ৩০০ টাকারও কমে। গত ১০ বছরে সস্তায় সার দেওয়ার জন্য ১২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, ৩.৫ লক্ষ কোটি সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, রেকর্ড হারে এমএসপি বেড়েছে, ২ লক্ষ কোটি টাকা ফসল বিমায় দেওয়া হয়েছে।
বাবাসাহেব আম্বেদকরের জল নীতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে। বহু দশক ধরে ঝুলে থাকা ১০০-রও বেশি সেচ প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। নদী সংযোগ প্রকল্প শুরু হয়েছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমাদের স্বপ্ন হওয়া উচিত বিশ্বের প্রতিটি ডাইনিং টেবিলে Made in India খাদ্যপ্যাকেট পৌঁছানো। ভারতীয় চা, কফি, হলুদ, মাখানা, সী-ফুড, শ্রীঅন্ন—সব বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
নগরায়নকে আমরা সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি। পরিকাঠামো মানে সুযোগ। দিল্লি-মেরঠ নয়া রেল চালু হয়েছে, মেট্রোর নেটওয়ার্ক ১০০০ কিমি ছাড়িয়েছে, আরও ১০০০ কিমি-তে কাজ চলছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
দূষণ কমাতে ১২,০০০ বৈদ্যুতিক বাস চালু হয়েছে। গিগ ইকোনমি-তে এক কোটি তরুণ যুক্ত হয়েছেন। তাদের ই-শ্রম পোর্টাল-এ নিবন্ধন করে আয়ুষ্মান ভারত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
এমএসএমই সেক্টর হলো আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক। মিশন ম্যানুফ্যাকচারিং-এর মাধ্যমে তাদের শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। খেলনা , টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক্স সব ক্ষেত্রেই ছোট শিল্প আজ বিশ্বে রপ্তানি করছে। আমদানি কমেছে, রপ্তানি ২৩৯% বেড়েছে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
একটি উন্নত ভারতের স্বপ্ন কেবল সরকারের নয়, এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের স্বপ্ন। ২০-২৫ বছরে বহু দেশ উন্নত হয়েছে, ভারতও পারবে। আমাদের আছে Demography, Democracy, Demand। ২০৪৭-এ স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা হব বিকশিত ভারত।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি—আমরা বড় লক্ষ্য অর্জন করব। এ আমাদের তৃতীয় মেয়াদ। আমরা বহু বছর ধরে আধুনিক ভারত, সক্ষম ভারত, উন্নত ভারত গড়তে উৎসর্গীকৃত থাকব।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
আমি সব দলকে, সব নেতাকে, সব দেশবাসীকে আহ্বান জানাই—রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, কিন্তু দেশের চেয়ে বড় কিছু নেই। দেশই সর্বাগ্রে। একসঙ্গে আমরা ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন পূর্ণ করব—এক উন্নত ভারত গড়ব।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়,
রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাকেও এবং এই সভাকেও কৃতজ্ঞতা জানাই।
ধন্যবাদ!
SC/TM
(रिलीज़ आईडी: 2160272)
आगंतुक पटल : 23
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
हिन्दी
,
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada