নির্বাচনকমিশন
azadi ka amrit mahotsav

বিগত ছয় মাসে ভারতের নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নতুন উদ্যোগ

Posted On: 19 AUG 2025 4:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ আগস্ট ২০২৫

 

দেশের ভোটদান প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে বিগত ৬ মাস ধরে ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)।

(ক) সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের অংশগ্রহণ

(১) দেশজুড়ে ইআরও, ডিইও এবং সিইও-দের সর্বদলীয় বৈঠক – ৪০টি সিইও, ৮০০টি ডিইও এবং ৩,৮৭৯টি ইআরও-র বৈঠক সহ মোট ৪,৭১৯টি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, এগুলিতে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৮ হাজারের বেশি প্রতিনিধি।

(২) রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইসিআই-এর বৈঠক – ইসিআই জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক দলগুলির সভাপতি ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে চলেছে। এ পর্যন্ত ২০টি এ ধরনের বৈঠক হয়েছে। 

(খ) নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা ও স্বচ্ছ করা

(৩) স্বীকৃতিহীন নথিভুক্ত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলি (আরইউপিপি)-র নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া – এ পর্যন্ত ৪৭৬টির বেশি আরইউপিপি চিহ্নিত করা হয়েছে; প্রথম পর্বে ৩৩৪টিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

(৪) ২৮টি সংশ্লিষ্ট পক্ষ চিহ্নিতকরণ এবং ভূমিকা নির্ধারণ – ১৯৫০ এবং ১৯৫১ সালের ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৬০-এর নির্বাচকদের বিধি সংক্রান্ত নিবন্ধীকরণ, ১৯৬১-র নির্বাচনী আচরণবিধি এবং বিভিন্ন নিয়ম-নির্দেশিকা মেনে বিভিন্ন সময়ে কমিশন এই চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

(৫) বিএলও-দের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র – স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং জনসাধারণের আস্থা অর্জনে বিএলও-দের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।

(৬) ইভিএম মাইক্রো-কন্ট্রোলারদের পরীক্ষা ও যাচাই – ফলাফল ঘোষণার পর ইভিএম-এর ৫ শতাংশ মাইক্রো-কন্ট্রোলারের মাধ্যমে পরীক্ষা ও যাচাইয়ের জন্য কারিগরি এবং প্রশাসনিক এসওপি ইস্যু করা হয়। 

(৭) আইনি উপদেষ্টা এবং সিইও-দের জাতীয় সম্মেলন – আইনি কাঠামোকে মজবুত করা এবং প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিচার সংক্রান্ত ফোরামে আইনি উপদেষ্টা ও সিইও-দের সম্মেলনের আয়োজন করা।

(৮) নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় যুক্ত সংস্থাগুলির প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক – নির্বাচন পরিচালনা এবং গণতান্ত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে মজবুত করতে জুন ২০২৫-এ নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী জ্ঞানেশ কুমার।

(গ) প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি 

(৯) ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম – ইসিআইএনইটি – ভোটার, নির্বাচনী আধিকারিক এবং রাজনৈতিক দলগুলি সহ ভোটার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের জন্য ৪০টির বেশি অ্যাপ/ওয়েবসাইটকে যুক্ত করে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। 

(১০) পোলিং স্টেশনগুলিতে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং – ভোট প্রক্রিয়ার বিধি লঙ্ঘন না করে জটিল কাজকর্ম মসৃণভাবে সম্পন্ন করতে ভোটদান কেন্দ্রগুলিতে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

(১১) সঠিক সময়ে ভোটারদের উপস্থিতির আপডেট – ভোটদানের প্রবণতা নিয়ে নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর প্রিসাইডিং অফিসারদের ভোটদানের হার নিয়ে তথ্য ইসিআইএনইটি অ্যাপ-এ আপলোড করতে হবে।


(১২) ডিজিটাল ইন্ডেক্স কার্ড ও রিপোর্ট – নির্বাচনী কেন্দ্রগুলিতে ভোট সম্পর্কিত তথ্যাদি পৌঁছে দিতে প্রযুক্তি-চালিত এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। 

(১৩) গণনায় অমিল হলে ভিভিপ্যাট গণনা বাধ্যতামূলক – ফর্ম ১৭সি এবং ইভিএম তথ্যের মধ্যে কোনো গরমিল যাতে না হয়, সেজন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাট স্লিপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

(ঘ) ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা
(১৪) বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন – কোনো যোগ্য ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায় এবং কোনো অযোগ্য ভোটারের নাম তালিকায় যাতে না থাকে, সেজন্য বিহারে এই সংশোধন করা হয়েছে। 

(১৫) উপ-নির্বাচনের আগে বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধন – প্রায় দু’দশকের মধ্যে এই প্রথম চারটি রাজ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় সংশোধন করা হয়। 

(১৬) নিবন্ধীকরণ তথ্যে মৃত্যুর সংযুক্তি – মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক সময়ে তথ্য পেতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিএলও-দের সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে ফর্ম ৭-এর জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না।

(১৭) ইউনিক এপিক নম্বর – গোটা দেশে বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য একই এপিক নম্বর বাতিল করা হয়েছে।

(১৮) দ্রুত এপিক প্রদান – নতুন ভোটারের অন্তর্ভুক্তি বা বর্তমান ভোটারের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন সহ ভোটার তালিকায় যে কোনো ধরনের আপডেট সহ ১৫ দিনের মধ্যে এপিক প্রদানের লক্ষ্যে নতুন এসওপি ইস্যু করা হয়েছে। এসএমএস-এর মাধ্যমেও ভোটাররা তথ্য পেয়ে যাবেন।

(ঙ) সহজে ভোটদান

(১৯) পোলিং স্টেশনগুলিতে মোবাইল জমা রাখার সুবিধা – পোলিং স্টেশনগুলির বাইরে ভোটারদের মোবাইল ফোন জমা রাখার জন্য কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

(২০) পোলিং স্টেশনে ভোটারের সংখ্যা ১,২০০-র মধ্যে সীমাবদ্ধ – এর ফলে ভিড় কমবে, লাইন ছোট হবে এবং বহুতল আবাসিক কমপ্লেক্স ও সোসাইটিগুলিতে অতিরিক্ত বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(২১) স্বচ্ছ ভোটার ইনফরমেশন স্লিপ (ভিআইএস) – ভোটারদের সহজে চিহ্নিত করার জন্য ভোটার স্লিপে সিরিয়াল ও পার্ট নম্বর স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। 

(২২) পোলিং স্টেশন থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রার্থীদের বুথের অনুমতি – নির্বাচনের দিন বেসরকারিভাবে পরিচয় সংক্রান্ত স্লিপ প্রদানের লক্ষ্যে এই বুথ বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে যেসব ভোটার কমিশনের দেওয়া ভিআইএস বাড়ি থেকে আনতে ভুলে গেলে, তাঁদের পক্ষে এই ব্যবস্থা সহায়ক হবে।

(চ) সক্ষমতা নির্মাণ

(২৩) আইআইআইডিইএম-এ অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ – নতুন দিল্লির আইআইআইডিইএম-এ ৭ হাজারের বেশি বিএলও এবং সুপারভাইজারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

(২৪) আধিকারিকদের জন্য বর্ধিত ভাতা – বিএলও-দের ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে, বিএলও সুপারভাইজার, পোলিং/কাউন্টিং স্টাফ, সিএপিএফ, তদারকি দল এবং মাইক্রো-অবজারভারদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এই প্রথম ইআরও এবং এইআরও-দের জন্য সাম্মানিত ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(২৫) বুথে রাজনৈতিক দলগুলির নিযুক্ত এজেন্টদের প্রশিক্ষণ – ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে দক্ষতা বাড়াতে বিহার, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরীর এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 

(২৬) মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন অফিসারদের প্রশিক্ষণ – নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগসূত্রের উন্নতি ঘটাতে রাজ্যস্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(২৭) পুলিশ আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ – নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা সঠিকভাবে সামাল দিতে বিহার পুলিশের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


(২৮) অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা – বায়োমেট্রিক উপস্থিতি, ই-অফিস মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

 

SC/MP/DM


(Release ID: 2158899) Visitor Counter : 8