নির্বাচনকমিশন
বিহার এসআইআর: তালিকা সংশোধন পর্বে (২৪ জুন – ২৫ জুলাই, ২০২৫) উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তিসমূহ
Posted On:
27 JUL 2025 5:51PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২৫
বিএলও এই ভোটারদের খুঁজে পাননি কিংবা তাঁরা তাঁদের গণনা সংক্রান্ত ফর্ম জমা করেননি, কারণ :
তাঁরা অন্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটার হয়ে গিয়েছেন, অথবা তাঁদের কোনও অস্তিত্ব নেই কিংবা ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ফর্ম পেশ করেননি অথবা অন্য কোনও কারণে তাঁরা ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে ইচ্ছুক নন।
পয়লা অগাস্ট, ২০২৫ তারিখের মধ্যে ইআরও/এইআরও এইসব ভোটারদের স্ক্রুটিনির পরই প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। তবে, প্রকৃত ভোটাররা পয়লা অগাস্ট থেকে পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখের মধ্যে ভোটাররা তাঁদের এ সংক্রান্ত কোনও আপত্তি থাকলে জানাতে পারবেন।
যাঁদের একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে, তাঁদের শুধুমাত্র একটি স্থানেই নাম রাখা হবে।
১. এসআইআর – এর প্রথম লক্ষ্য: সমস্ত ভোটার ও সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ
ক. ২৪.০৬.২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার তাঁদের ফর্ম দাখিল করেছেন।
খ. বিহারে এই সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে রাজ্যের সিইও, ৩৮টি জেলার ডিইও, ২৪৩ জন ইআরও, ২,৯৭৬ জন এইআরও, ৭৭,৮৯৫টি পোলিং বুথে নিযুক্ত বিএলও, লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১২টি প্রধান রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
Sl. No.
|
রাজনৈতিক দল
|
মোট মনোনীত ডিএলএ’র সংখ্যা (এসআইআর শুরুর আগে অর্থাৎ 23.06.2025)
|
মোট মনোনীত বিএলএ’র সংখ্যা (as on 25.07.2025)
|
% বৃদ্ধি
(আনুমানিক)
|
1
|
বহুজন সমাজ পার্টি
|
26
|
74
|
185%
|
2
|
ভারতীয় জনতা পার্টি
|
51,964
|
53,338
|
3%
|
3
|
কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী)
|
76
|
899
|
1083%
|
4
|
ভারতের জাতীয় কংগ্রেস
|
8,586
|
17,549
|
105%
|
5
|
রাষ্ট্রীয় জনতা দল
|
47,143
|
47,506
|
1%
|
6
|
জনতা দল (সংযুক্ত)
|
27,931
|
36,550
|
31%
|
7
|
রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি
|
264
|
270
|
2%
|
8
|
কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী – লেনিনবাদী লিবারেশন)
|
233
|
1,496
|
542%
|
9
|
রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি
|
2,457
|
1,913
|
27%
|
10
|
রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)
|
1,210
|
11
|
ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি
|
—
|
7
|
-
|
12
|
আম আদমি পার্টি
|
—
|
1
|
-
|
মোট
|
1,38,680
|
1,60,813
|
16%
|
২. এসআইআর - এর দ্বিতীয় লক্ষ্য: বিহারে কোনও ভোটার যেন বাদ না যান
ক. এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে ৫.৭ কোটি মানুষের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
খ. এসআইআর সম্পর্কে জানাতে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন সিইও/ডিইও/ইআরও-রা।
গ. ২৪.০৬.২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বিএলও-রা প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং ফর্ম সংগ্রহ করেন।
৩. এসআইআর – এর তৃতীয় লক্ষ্য: বিহারে সাময়িকভাবে পরিযায়ী কেউ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়েন
ক. পরিযায়ীদের সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হিন্দিতে সারা ভারতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কাগজগুলির মোট প্রচার সংখ্যা প্রায় ২.৬০ কোটি।
খ. একইসঙ্গে, বিহারের সিইও সবকটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিইও-দের কাছে পরিযায়ীদের সম্পর্কে লিখিতভাবে তথ্য জানতে চান।
গ. এ ধরনের ভোটাররা অনলাইনে https://voters.eci.gov.in/ অথবা ECINet অ্যাপ – এর মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করতে পারেন (১৬ লক্ষেরও বেশি ভোটার ফর্ম অনলাইনে পূরণ করা হয়েছে)।
৪. এসআইআর - এর চতুর্থ লক্ষ্য: বিহারে শহরাঞ্চলের কোনও ভোটার যেন বাদ না পড়েন। ২৬১টি পুরসভার ৫,৬৮৩টি ওয়ার্ডে বিশেষ ক্যাম্প বসানো হয়েছিল
৫. এসআইআর - এর পঞ্চম লক্ষ্য: বিহারের কোনও তরুণ ভোটার যেন বাদ না পড়েন। পয়লা জুলাই, ২০২৫ তারিখে যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে কিংবা পয়লা অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে যাঁদের বয়স ১৮ বছর হবে, তাঁদের ফর্ম-৬ ভর্তি করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
৬. এসআইআর - এর ষষ্ঠ লক্ষ্য: ভোটারদের কাছে বারবার এসএমএস পাঠিয়ে ফর্ম দাখিল করার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০.২ কোটি এসএমএস পাঠানো হয়েছে। ফর্ম দাখিল সংক্রান্ত সর্বশেষ অবস্থা https://voters.eci.gov.in/home/enumFormTrack# - এই লিঙ্কটিতে জানা যাবে।
৭. এসআইআর - এর সপ্তম লক্ষ্য: স্বেচ্ছাসেবক সহ নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীর সহায়তা। ভোটারদের, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্য বিরল জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁরা সবধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
৮. এসআইআর - এর অষ্টম লক্ষ্য: তালিকা নিয়ে সবধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি। ৩৮টি জেলার ডিইও-রা ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছেন, যাতে এ ব্যাপারে কোনও ক্ষোভ সৃষ্টি না হয়।
৯. এসআইআর - এর নবম লক্ষ্য: পয়লা অগাস্ট থেকে পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত খসড়া তালিকার স্ক্রুটিনি। এসআইআর – এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, পয়লা অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। সিইও-র ওয়েবসাইটে এই তালিকা পাওয়া যাবে। পয়লা অগাস্ট থেকে পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত ভোটাররা অভিযোগ জানাতে পারবেন। কোনও ভোটারের অন্তর্ভুক্তি কিংবা অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে বক্তব্য পেশ করা যাবে।
১০. এসআইআর - এর দশম লক্ষ্য: এসআইআর নির্দেশিকা অনুচ্ছেদ ৫-বি অনুযায়ী, পয়লা অগাস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকায় কোনোরকম নোটিশ এবং ইআরও/এইআরও-র নির্দেশ ছাড়া কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না। ইআরও-র সিদ্ধান্তে কোনও আপত্তি থাকলে, জেলাশাসক এবং সিইও-র কাছে আবেদন জানানো যাবে।
SC/MP/SB…
(Release ID: 2149248)