স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
প্রবীণদের লক্ষ্য করে সাইবার অপরাধের ঘটনা
Posted On:
22 JUL 2025 3:52PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই, ২০২৫
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) ‘ভারতে অপরাধ’ শীর্ষক প্রকাশনায় অপরাধের পরিসংখ্যানগত তথ্য সংকলন প্রকাশ করে। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ২০২২ সালে। এনসিআরবি-এর প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ২০১৮-২০২২ সালের মধ্যে সাইবার অপরাধের আওতায় মামলার বিবরণ নিম্নরূপ।
২০১৮ সালে ২৭,২৪৮, ২০১৯ সালে ৪৪,৭৩৫, ২০২০ সালে ৫০,০৩৫, ২০২১ সালে ৫২,৯৭৪ এবং ২০২২ সালে ৬৫,৮৯৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।
দেশের প্রবীণ ব্যক্তিদের মাধ্যমে দায়ের করা সাইবরা অপরাধের অভিযোগ সম্পর্কিত নির্দিষ্ট তথ্য এনসিআরবি-র দ্বারা আলাদাভাবে সংরক্ষিত হয় না।
ভারতের সংবিধানের সপ্তম তপশিল অনুসারে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তাদের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ সহ অপরাধ প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ, তদন্ত ও বিচারের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়বদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্যোগগুলিকে তাদের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
বয়স্ক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ মোকাবিলার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশের সকল প্রকার সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় একটি ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ (I4C) স্থাপন করেছে। I4C-র অঙ্গ হিসেবে ‘ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল’ (এনসিআরপি) https://cybercrime.gov.in/ চালু করা হয়েছে। এতে জনগণ সকল ধরনের সাইবার অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনা জানাতে পারে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সাইবার অপরাধের ঘটনাও জানানো যাবে। আর্থিক জালিয়াতির বিষয় তৎক্ষনাত জানানোর জন্য এবং প্রতারকদের মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ করতে I4C-র আওতায় ২০২১ সালে ‘সিটিজেন ফিনান্সিয়াল সাইবার ফ্রড রিপোর্টিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (সিএফসিএফআরএমএস)চালু করা হয়। I4C-র মাধ্যমে পরিচালিত সিএফসিএফআরএমএস অনুসারে এখনও পর্যন্ত ১৭.৮২ লক্ষেরও বেশি অভিযোগের ভিত্তিতে ৫,৪৮৯ কোটি টাকা বাঁচানো গেছে। অনলাইন সাইবার অভিযোগ দায়েরের সহায়তা পেতে একটি টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০ চালু করা হয়েছে। I4C-তে একটি অত্যাধুনিক সাইবার জালিয়াতি প্রশমন কেন্দ্র (সিএফএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ব্যাঙ্ক, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, পেমেন্ট এগ্রিগেটর, টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী, আইটি মধ্যস্থতাকারী এবং রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য একযোগে কাজ করছেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার ৯.৪২ লক্ষেরও বেশি সিম কার্ড এবং ২,৬৩,৩৪৮ আইএমইআই ব্লক করেছে।
সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর মন কি বাত পর্বে ডিজিটাল গ্রেপ্তার সম্পর্কে দেশের নাগরিকদের অবহিত করেন। ওই বছরই ২৮ অক্টোবর নতুন দিল্লির আকাশবাণী থেকে ডিজিটাল গ্রেপ্তারের ওপর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। I4C টেলিযোগাযোগ বিভাগের সহযোগিতায় গত বছর ১৯ ডিসেম্বর থেকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাইবার অপরাধ হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০ এবং এনসিআরপি পোর্টালের বিষয়ে প্রচারের জন্য একটি কলার টিউন প্রচারাভিযান শুরু করেছে। টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীরা হিন্দি, ইংরাজি এবং ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় তা সম্প্রচার করছে। ভুয়ো ঋণ প্রদানকারী অ্যাপ, ভুয়ো সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল গ্রেপ্তার-এর মতো ৬টি বিষয়ে কলার টিউন প্রচার করা হচ্ছে। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন, দিল্লি মেট্রো স্টেশনে ঘোষণা, প্রসার ভারতী ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মাধ্যমে প্রচার, আকাশবাণীর বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল গ্রেপ্তার জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে। সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এমএমএস, I4C-র সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে। এমনকি এ বিষয়ে বিদ্যালয়গুলিতে প্রচার, প্রেক্ষাগৃহগুলিতে বিজ্ঞাপন, তারকাদেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার।
SC/SS/NS….
(Release ID: 2147214)