রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
azadi ka amrit mahotsav

রাষ্ট্রপতি তপোবন এবং রাষ্ট্রপতি নিকেতনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি

Posted On: 20 JUN 2025 3:31PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২০ জুন, ২০২৫

 

 

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দেরাদুনে আজ রাষ্ট্রপতি তপোবন এবং রাষ্ট্রপতি নিকেতনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেখানে দর্শনার্থীদের সুবিধা কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ এবং একটি স্যুভেনির শপেরও উদ্বোধন করেন। রাষ্ট্রপতি নিকেতনে রাষ্ট্রপতি উদ্যানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। গতকাল তিনি রাষ্ট্রপতি নিকেতনে অ্যাম্ফিথিয়েটারের উদ্বোধন করেছেন।  

রাষ্ট্রপতির তপোবনটি দেরাদুনের রাজপুর রোডে হিমালয়ের পাদদেশে রাষ্ট্রপতি আবাসনে গড়ে উঠেছে। আধ্যাত্মিক এই আলয়টিতে পরিবেশগত সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেশীয় গাছপালার ঘন বন পরিবেষ্টিত এই তপোবনে ১১৭টি প্রজাতির উদ্ভিদ, ৫২ রকমের প্রজাপতি, ৪১ রকমের পাখি এবং সংরক্ষিত প্রজাতির কয়েকটি প্রাণী ছাড়াও ৭টি বন্য স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখানে প্রাকৃতিক বাঁশঝাড় এবং বনভূমিও রয়েছে। 

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নিকেতন নামক এই রাষ্ট্রপতি আবাসটি প্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত। ২১ একর জায়গা জুড়ে এই এলাকায় রয়েছে পদ্মপুকুর, ঐতিহাসিক গৃহ, বাগিচা এবং আস্তাবল। রাষ্ট্রপতি উদ্যানে ১৩২ একর এলাকায় রয়েছে পার্ক, যেখানে প্রাকৃতিক জৈব বৈচিত্র্যের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখা যায়। দিব্যাঙ্গদেরও এই এলাকা ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি নিকেতন, রাষ্ট্রপতি তপোবন এবং রাষ্ট্রপতি উদ্যানকে নিয়ে জৈব বৈচিত্র্যের বিষয়ে একটি পুস্তকের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয়। বইটিতে প্রজাপতি, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী সহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছবি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি তপোবন এবং রাষ্ট্রপতি নিকেতন ২৪ জুন এবং ১লা জুলাই জনসাধারণের ঘুরে দেখার জন্য খুলে দেওয়া হবে।  

রাষ্ট্রপতি দেরাদুনে দৃষ্টিহীনদের স্বশক্তিকরণের জন্য জাতীয় ইন্সটিটিউটটি ঘুরে দেখেন। সেখানে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন। তিনি মডেল বিদ্যালয়, বিজ্ঞান পরীক্ষাগার এবং কম্পিউটার পরীক্ষাগার ও প্রদর্শনীস্থলও ঘুরে দেখেন। 


অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের প্রতি কিভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে তার ভিত্তিতেই দেশ ও সমাজের অগ্রগতিকে বিচার করা হয়। ভারতের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অনুভূতিপ্রবণ নানা উৎসাহজনক কর্মকাণ্ডে ঘেরা। আমাদের সভ্যতা এবং সংস্কৃতিতে সবসময় মানব ভালোবাসার নানান দিক ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, সুগম্য ভারত অভিযানের মধ্য দিয়ে দিব্যাঙ্গদের ক্ষমতায়ন এবং সমস্ত ক্ষেত্রে তাদের সম যোগদানে উৎসাহ দেওয়া হয়। পরিবহণ, তথ্য যোগাযোগ পরিমণ্ডলসহ যাবতীয় ক্ষেত্র যাতে সুগম করে তোলা যায় সরকার তার ওপর জোর দিচ্ছে। 


রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের যুগ হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে দিব্যাঙ্গরাও জীবনের মূলস্রোতে যোগ দিয়ে সমাজের জন্য নানা কাজ করতে পারেন। তিনি বলেন, দৃষ্টিহীন দিব্যাঙ্গদের স্বশক্তিকরণের জন্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটটি তাদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদেরকে ওয়াকিবহাল করে তুলতে অগ্রবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাতে দিব্যাঙ্গরা এগিয়ে যেতে পারেন সে ব্যাপারে সমাজের যত্নশীল হওয়া উচিত বলে তিনি জানান। 


রাষ্ট্রপতির পুরো ভাষণটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন 


http://chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2025/jun/doc2025620574201.pdf 

 

 

SC/ AB /AG


(Release ID: 2138058)