নতুন দিল্লি ২৬ মে ২০২৫ 

উপরাষ্ট্রপতি শ্রী জগদীপ ধনখড় বলেছেন, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির স্বার্থে সমস্ত রকম সরকারি সহায়তা সরাসরি তাদের কাছে পৌঁছানো দরকার। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষক পরিবারের উপার্জন গড় পরিবারগুলির উপার্জনের থেকে বেশি। তার কারণ হল সরকারি সাহায্য সেখানে কৃষকদের কাছে সরাসরি পৌঁছোয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সারের ওপর বিপুল ভর্তুকি সহ অন্য নানা ভর্তুকি দেওয়া হয়। কিন্তু, সেগুলি অপ্রত্যক্ষ। এগুলি যদি সরাসরি কৃষকদের কাছে পৌঁছোয় তাহলে প্রত্যেক কৃষক বার্ষিক ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা ভর্তুকি পেতে পারেন। তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইসিএআর)-কে এই বিষয়টির কথা মনে রেখে একটি সর্বাত্মক বিষয়সূচি প্রকাশ করতে বলেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার নানাভাবে কৃষকদের সাহায্য করছে। পিএম-কিষাণ সম্মান নিধির অর্থ সরাসরি কৃষকদের আমানতে পৌঁছোয়। তবে, সমস্ত রকম সহায়তাই যাতে সরাসরি তাদের আমানতে পৌঁছোয় তা দেখা দরকার। 
তিনি বলেন, কৃষি কেবলমাত্র একটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রই নয়, এরসঙ্গে শিল্পের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। 
মধ্যপ্রদেশের নরসিংপুরে কৃষি শিল্প কনক্লেভের উদ্বোধনের পর উপরাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের সেনাশক্তির পরাক্রম প্রত্যেক ভারতবাসীর মাথা উঁচু করেছে। আমরা গর্বের সঙ্গে নিজেদের ভারতীয় বলে পরিচয় দিতে পারি। ভারত কখনই সন্ত্রাসবাদকে সহ্য করবে না। তিনি বলেন, বিগত ৭০ বছরে যা হয়নি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জল বন্ধ করে দিয়েছে। তার কারণ, তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, জল আর রক্ত একসাথে বইতে পারে না। ভারতের এই পদক্ষেপ প্রিয়জনহারাদের মর্যাদাকে সুরক্ষিত হয়েছে। 
অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ এখন দেশাত্মবোধের ভাবধারায় উজ্জীবিত এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। পহেলগাঁও-এর জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জবাব অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকেতে জইশ-এ-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিতে অব্যর্থ আঘাত হেনে সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের কফিন যখন সেনা এবং সেখানকার নেতারা বহন করেন, তখন ভারতকে আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার দরকার হয় না সন্ত্রাসবাদের প্রকৃত মদতদাতা কারা। 
বিগত এক দশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে যেভাবে পরিকাঠামোর দ্রুত বদল ঘটছে, তাতে অচিরেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হয়ে উঠবে।
উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, কৃষকদের উদ্যোগপতি হয়ে উঠতে হবে। তিনি একে কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা বলে আখ্যা দেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে লক্ষ লক্ষ কৃষি উদ্যোক্তার প্রয়োজন। আমাদের গ্রামগুলিতেই এই উদ্যোগপতির প্রসার ঘটানো দরকার। 
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন যাদবের প্রশংসা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, পশু সম্পদের প্রসারে তিনি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিয়েছেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, কৃষকদের শিল্প ও বাণিজ্যে উৎসাহিত করলে  ২০৪৭ সালের আগেই  ভারতের উন্নত দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণ করা যাবে।

SC/AB/CS…