স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
স্বাস্থ্য পরিচর্যা খাতে সাধারণ মানুষের খরচ কমানোর উদ্যোগ
Posted On:
25 MAR 2025 1:51PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ মার্চ, ২০২৫
ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের হিসাব অনুযায়ী, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যখাতে মোট ব্যয়ের মধ্যে সরাসরি পকেট থেকে খরচের অনুপাত কমছে। ২০১৪-১৫-র ৬২.৬ শতাংশ থেকে নেমে ২০২১-২২-এ তা দাঁড়িয়েছে ৩৯.৪ শতাংশ। এই অনুপাত শূন্যে নিয়ে যেতে উদ্যোগী সরকার। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের অবদান ২০১৪-১৫-র ২৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-২২-এ ৪৮ শতাংশ হয়েছে।
গ্রামীণ অঞ্চল সহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে সরকার। এগুলি হল :
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন : জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বা ন্যাশনাল হেলথ মিশন-এর আওতায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ করে তুলতে রাজ্য সরকারগুলিকে সহায়তা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল ফ্রি ড্রাগস সার্ভিস এবং ফ্রি ডায়াগনস্টিক্স সার্ভিস-এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির : উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরে পরিবর্তিত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১.৭৬ লক্ষ আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাধারণ চিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়াও শিশু পরিচর্যা সহ সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন : স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জাতীয় স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও দক্ষ করে তোলা এবং নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এবাবদ মোট বরাদ্দ ৬৪,১৮০ কোটি টাকা।
আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা : এই কর্মসূচির আওতায় পরিবারপ্রতি বছরে ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবিমার সংস্থান রয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অনগ্রসর ১২.৩৭ কোটি পরিবারের কাছে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এর লক্ষ্য – যাঁরা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ। এই কর্মসূচির সুবাদে ৫৫ কোটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পৌঁছে যাচ্ছে। সম্প্রতি সত্তরোর্ধ্ব ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিককেও এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থান বিবেচ্য নয়। প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে বয়ঃ বন্দনা কার্ড।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধি পরিযোজনার আওতায় রাজ্যগুলির সঙ্গে সহায়তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে উচ্চমানের জেনেরিক ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধরনের জন ঔষধি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে কিছু হাসপাতালেও।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
SC/AC/DM
(Release ID: 2115445)