নয়াদিল্লি, ০৩ মার্চ, ২০২৫ 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন – এনএইচআরসি, ভারতীয় প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক কার্যনির্বাহী কমিটি - আইটিইসি-র মানবাধিকার শাখা এবং বিদেশ মন্ত্রকের উদ্যোগে নতুন দিল্লিতে দক্ষিণ বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সম্মেলন শুরু হয়েছে। মাদাগাস্কার, উগান্ডা, সামওয়া, তিমোর লেস্তে, ডিআর কম্বো, টোগো, মালি, নাইজেরিয়া, মিশর, তানজেনিয়া, মরিশাস, বুরুন্ডি, তুর্কমেনিস্তান এবং কাতার – এই ১৪টি দেশের মানবাধিকার সংস্থার প্রায় ৪৭ জন প্রতিনিধি ৬ দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। 
এনএইচআরসি-র চেয়ারপার্সন বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মনিয়াম উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, ভারত গোষ্ঠীগত, সংস্কৃতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকে অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় একটি দেশ। ফলে, এখানে মানবাধিকার রক্ষার কাজটি বেশ জটিল। গতানুগতিক পথে না গিয়ে ক্ষেত্র-ভিত্তিক সমাধানসূত্র ভারতের মতো দেশের পক্ষে প্রাসঙ্গিক। আইটিইসি-র মতো মঞ্চ এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন লিপিতে মানবাধিকারের বিষয়ে যে পর্যালোচনা রয়েছে, তা আজও প্রাসঙ্গিক বলে তিনি মন্তব্য করেন। এনএইচআরসি-র সদস্য বিচারপতি (ডঃ) বিদ্যুৎ কুমার সারেঙ্গি এনএইচআরসি-র কর্মকান্ডের তাৎপর্য তুলে ধরেন। মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা আন্তর্জাতিক স্তরে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আইটিইসি-র দক্ষতা বিকাশ ও মানবাধিকার শাখা এই বিষয়ে পারস্পরিক আদান-প্রদানে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণের জেরে প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষা ও লিঙ্গসাম্যের দিকগুলিতে আরও বেশি লক্ষ্য দেওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। 
অনুষ্ঠানে ভাষণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মহাসচিব শ্রী ভরত লাল বলেন, ভারতের প্রশাসনিক কাঠামো যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক। ২৭টি প্রদেশের নিজস্ব মানবাধিকার সংস্থা রয়েছে। সমগ্র বিষয়টিতে সমন্বয়ের ভিত্তিতে এগোনো জরুরি। 

SC/AC/SB…