নীতিআয়োগ
azadi ka amrit mahotsav

“ঋণগ্রহীতা থেকে নির্মাতা : ভারতের আর্থিক উন্নয়নের কাহিনীতে মহিলাদের ভূমিকা” শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ

Posted On: 03 MAR 2025 2:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩ মার্চ, ২০২৫

 

নীতি আয়োগ আজ “ঋণগ্রহীতা থেকে নির্মাতা : ভারতের আর্থিক উন্নয়নের কাহিনীতে মহিলাদের ভূমিকা” শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটি প্রকাশ করেন নীতি আয়োগের সিইও শ্রী বি ভি আর সুব্রহ্মন্যম। তিনি বলেন, ভারতে এখন আরও বেশি সংখ্যায় মহিলারা ঋণ চাইছেন এবং তাঁরা নিজেরাই তাঁদের ঋণের তদারকি করছেন। ২০২৪-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৭০ লক্ষ মহিলা তাঁদের ঋণের তদারকি করেছেন। গত বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে, যার থেকে বোঝা যাচ্ছে আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রান্সইউনিয়ন সিবিল, এবং মাইক্রোসেভ কনসাল্টিং (এমএসসি)-এর সহযোগিতায় এটি প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগের উইমেন এন্টারপ্রেনিওরশিপ প্ল্যাটফর্ম (ডব্লিউইপি)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীতি আয়োগের সিইও শ্রী বি ভি আর সুব্রহ্মন্যম বলেন, মহিলা উদ্যোগপতিদের ক্ষমতায়নে আর্থিক সুবিধার সুযোগ পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “সরকার বুঝতে পেরেছে মহিলা উদ্যোগপতিদের সক্ষম করে তুলতে হলে আর্থিক সুবিধার সুযোগ দেওয়াটা জরুরি। ডব্লিউইপি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করছে, যাতে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি পায়, ঋণের সুবিধা বাড়ে এবং বাজারের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি হয়। তবে, বৈষম্যহীন আর্থিক সুবিধা দিতে হলে সমন্বিত প্রয়াসের প্রয়োজন। মহিলাদের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা স্থির করতে হবে। তার সঙ্গে প্রয়োজন এমন নীতি যা কাঠামোগত অবরোধের মোকাবিলা করবে। এই গতি বজায় রাখতে এগুলি জরুরি। এই লক্ষ্য পূরণে ফিনান্সিং উইমেন কোলাবোরেটিভ (এফডব্লিউসি) গঠন করা হয়েছে। আমরা চাইছি, এতে আরও বেশি করে সংস্থা যোগদানের মাধ্যমে এই অভিযানে যেন সাহায্য করে।”

নীতি আয়োগের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং ডব্লিউইপি-র মিশন ডিরেক্টর আন্না রায় বলেন, “ভারতে কাজ করতে ইচ্ছুক মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে মহিলা উদ্যোগপতিদের উৎসাহিত করতে হবে। বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতেও এটি একটি সম্ভাব্য কৌশল। মহিলাদের উদ্যোগপতি হতে উৎসাহিত করলে ১ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে, শ্রমক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যায় মহিলাদের অংশগ্রহণ হবে।”

রিপোর্টে আছে, ২০২৪-এর ডিসেম্বরে নিজেরাই নিজেদের ঋণের তদারকি করছেন এমন মহিলাদের সংখ্যা বেড়ে ১৯.৪৩ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২৩-এ ছিল ১৭.৮৯ শতাংশ। মেট্রো এলাকার তুলনায় নন-মেট্রো এলাকার মহিলারা আরও বেশি সংখ্যায় নিজেরাই নিজেদের ঋণের বিষয়টি তদারকি করছেন সক্রিয়ভাবে। নন-মেট্রো অঞ্চলে যেখানে বৃদ্ধির হার ৪৮ শতাংশ, সেখানে মেট্রো অঞ্চলে বৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ। ২০২৪-এ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা মিলে এই ধরনের মহিলাদের শতকরা হিসাব ৪৯ শতাংশ। সবচেয়ে এগিয়ে দক্ষিণাঞ্চল, ১০ কোটি ২০ লক্ষ সংখ্যা নিয়ে। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ সহ উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সার্বিক সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধির হার পরিলক্ষিত হয়েছে। 

২০১৯ থেকে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া মহিলাদের সংখ্যা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। স্বর্ণ ঋণে তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে ৬ শতাংশ। ২০২৪-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যবসার জন্য ঋণগ্রহীতা মহিলাদের হার ৩৫ শতাংশ। তবে, ঋণ নিতে অনীহা, ব্যাঙ্কের কাজকর্ম সম্পর্কে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা, ঋণ পেতে অসুবিধা, সমপরিমাণ জামানত গচ্ছিত রাখার মতো সমস্যাগুলি এখনও রয়ে গেছে। ঋণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে সুযোগ এসেছে মহিলাদের একান্ত নির্দিষ্ট প্রয়োজনের ভিত্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করা।

 

SC/AP/DM..


(Release ID: 2107776) Visitor Counter : 38
Read this release in: English , Urdu , Hindi , Tamil