মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক
নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী শ্রী মাইক মাসিমিনো কথা বলেছেন পিএম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে
Posted On:
27 FEB 2025 4:22PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী শ্রী মাইক মাসিমিনো আজ নতুন দিল্লিতে পিএম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন। এআর-ভিআর ল্যাব, অটল টিঙ্কারিং ল্যাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব ইত্যাদি সহ বিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নিলেন শ্রী মাসিমিনো।
ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় শ্রী মাসিমিনো ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযান অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি শুধু ভারতের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ সমাজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের সমস্যাগুলি তুলে ধরে তিনি বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় জলের উৎস সন্ধানে এই সাফল্য কীভাবে কাজ করতে পারে সেই বিষয়ে বলেন। এছাড়াও তিনি ভবিষ্যৎ মহাকাশ কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
সাত মহাকাশচারীকে নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র কীভাবে তাঁকে মহাকাশচারী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল সেকথা জানান শ্রী মাসিমিনো। ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ অভিযান নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। যেমন- মহাকাশে কী ধরণের খাবার খেতেন তিনি ইত্যাদি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি কীভাবে মহাকাশে শূন্য অভিকর্ষের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন, কীভাবে শোয়ার ব্যবস্থা করতেন, কীভাবে কাজ করতেন ইত্যাদি। মহাকাশ অভিযানে এআই-এর ভূমিকা নিয়েও ছাত্রছাত্রীরা কৌতূহলী ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, এআই এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে, আরও কার্যকর করবে, সুরক্ষিত এবং সাশ্রয়ী করবে। আলাপচারিতার শেষে তিনি ছাত্রছাত্রীদের বলেন, যদি তারা মহাকাশ অভিযানকে কেরিয়ার করতে চায় তাহলে এই বিষয়ে যেন তারা মন দেয় এবং দক্ষতা গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা মহাকাশচারীর কেরিয়ার বেছে নেওয়ার সমস্যা এবং প্রস্তুতির জন্য কী কী ধরনের বিষয় নিয়ে পড়তে হবে সেই সম্পর্কে জানতে চায়। শ্রী মাসিমিনো মৃত্তিকা বিজ্ঞান, সামুদ্রিক জীব বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তাঁর বাস্তব এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন উত্তর ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহী এবং অনুপ্রাণিত করেছে। নাসায় কাজ করতে গিয়ে কোন অভিযানটি সবচেয়ে সমস্যার ছিল, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে বসবাস করা যাবে কী না তাও জানতে চাওয়া হয়। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, চাঁদে বসবাস খুব শীঘ্রই সম্ভব হতে চলেছে। তবে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য মঙ্গলে বসবাস করা আরও দীর্ঘায়িত হবে।
নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী শ্রী মাইক মাসিমিনো কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক এবং ইন্ট্রিপিড সি, এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামের মহাকাশ কর্মসূচির প্রবীণ উপদেষ্টা। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএস ডিগ্রি পেয়েছেন। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এমএস ডিগ্রি করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি ও পলিসিতে এবং পিএইচডি-ও করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ।
আইবিএম, নাসা এবং ম্যাকডোনেল ডগলাস এরোস্পেশে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এবং রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ানোর পরে ১৯৯৬-তে নাসার মহাকাশচারী হিসেবে মনোনীত হন। ২০০২ এবং ২০০৯-এ চতুর্থ এবং পঞ্চম হাবল স্পেস টেলিস্কোপ সার্ভিসিং মিশনে অংশ নেন তিনি। একবারের মহাকাশ যাত্রায় সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা মহাকাশে পদচারণা করার দলগত রেকর্ড আছে তাঁর। তিনিই প্রথম মহাকাশ থেকে ট্যুইট করেন। নাসায় কর্মজীবনে তিনি দুটি নাসা স্পেস ফ্লাইট পদক পান, নাসা ডিসটিংগুইশড সার্ভিস পদক, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সোসাইটির ফ্লাইট অ্যাচিভমেন্ট পদক এবং স্টার অফ ইতালিয়ান সলিডারিটি।
SC/AP/NS
(Release ID: 2106658)