প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

জেনোম ইন্ডিয়া প্রকল্পের সূচনায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 09 JAN 2025 6:38PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ 

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ডঃ জিতেন্দ্র সিং, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিজ্ঞানীরা এবং সমবেত অতিথিবৃন্দ!
আজ গবেষণার দুনিয়ায় ভারত একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করল। পাঁচ বছর আগে জেনোম ইন্ডিয়া প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোভিড – এর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আমাদের বিজ্ঞানীরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেছেন। আমি খুশি যে, আইআইএসসি, সিএসআইআর, বিআরআইসি এবং বিভিন্ন আইআইটি সহ দেশের ২০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার সুবাদে ইন্ডিয়ান বায়োলজিক্যাল ডেটা সেন্টারে এখন ১০ হাজার ভারতীয়র জেনোম সিকোয়েন্সিং সংরক্ষিত। 
বন্ধুগণ,
জেনোম ইন্ডিয়া প্রকল্প ভারতের জৈব প্রযুক্তি বিপ্লবে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ১০ হাজার মানুষের জেনোম সিকোয়েন্সিং এখন সহজে পৌঁছে যাবে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে। এর ফলে, এক্ষেত্রে ভারতের চালচ্চিত্রটি তাঁরা সহজে বুঝতে পারবেন। নীতি প্রণয়ন ও পরিকল্পনাতেই এইসব তথ্য কাজে লাগবে। ভারতের বৈচিত্র্য শুধুমাত্র খাদ্য, ভাষা কিংবা ভূগোলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এদেশে বসবাসরত মানুষের জিনগত বৈচিত্র্যও বিপুল। কাজেই কোন মানুষের জন্য কোন ধরনের ওষুধ উপযোগী, তা বুঝতে জেনেটিক পরিচয় জানা দরকার। যেমন- সিকলসেল অ্যানিমিয়ার প্রকোপ খুব বেশি প্রকট জনজাতি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে। এর মোকাবিলায় জেনোম সিকোয়েন্সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। 
বন্ধুগণ,
একবিংশ শতকে ভারতের জৈব অর্থনীতির আঙিনায় জৈব প্রযুক্তি ও বায়োমাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার, জৈব পণ্যের প্রসার এবং কাজের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়গুলি জৈব অর্থনীতির মধ্যেই এসে পড়ে। ২০১৪’য় দেশের জৈব অর্থনীতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার কোটি ডলার। এখন তা ১৫ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারত বায়ো ই-৩ পলিসির সূচনা করেছে। এর লক্ষ্য বিশ্বের আঙিনায় জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়া। 
বন্ধুগণ,
বিশ্বের অন্যতম ওষুধ উৎপাদন কেন্দ্র ভারত জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিগত দশকে একাধিক বৈপ্লবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে, জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে ৮০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ কিনতে পারেন মানুষ। কোভিড অতিমারীর সময় ভারতের ওষুধ উৎপাদন পরিমণ্ডলের দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে। জেনোম ইন্ডিয়া প্রকল্প এই বিষয়েও ভারতের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। 
বন্ধুগণ,
জটিল নানা সমস্যার সমাধান সূত্রের জন্য সারা বিশ্ব আজ তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। এদেশে তৈরি হচ্ছে বৃহৎ এক গবেষণা পরিমণ্ডল। ১০ হাজারেরও বেশি অটল টিঙ্কারিং ল্যাব – এ আমাদের পড়ুয়ারা নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। উদ্ভাবনার আবহ আরও জোরদার করতে তৈরি হওয়া অটল ইনক্যুবিশন সেন্টারগুলিতেও ভিড় জমাচ্ছেন গবেষকরা। গবেষণার কাজে উৎসাহ দিতে কাজ করে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর রিসার্চ ফেলোশিপ স্কিম।
বন্ধুগণ,
সম্প্রতি ভারত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে – ‘এক দেশ, এক সদস্যতা’। পড়ুয়া ও গবেষকরা যাতে নিখরচায় বিশ্বের নামী পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ। 
বন্ধুগণ,
আমাদের মানব-কেন্দ্রিক প্রশাসন এবং ডিজিটাল জনপরিকাঠামো সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। জেনোম ইন্ডিয়া প্রকল্পও আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভারতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আমি প্রত্যয়ী। 
ধন্যবাদ।
নমস্কার।
(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে)


SC/AC/SB


(Release ID: 2091746) Visitor Counter : 6