তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক
‘পরিপূর্ণতার জন্য তীব্র আবেগ:’ ৫৫তম ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রমেশ সিপ্পির যাত্রাপথের উন্মোচন
#IFFIWood, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
৫৫তম ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পরিপূর্ণতার জন্য তীব্র আবেগ: রমেশ সিপ্পির দর্শন’ শীর্ষক এক মনোজ্ঞ অধিবেশনের আয়োজন করা হল। ভারতীয় সিনেমার সর্বাধিক সমাদৃত পরিচালকদের একজন, শ্রী সিপ্পির জীবন ও শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা হল এই অধিবেশনে। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট স্কিলস কাউন্সিলের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মোহিত সোনি।
অধিবেশনের সূচনায় মোহিত সোনি বলেন, রমেশ সিপ্পির বিপুল অভিজ্ঞতা এবং পরিপূর্ণতার প্রতি তাঁর তীব্র আবেগ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। শ্রী সিপ্পি জানান, মাত্র ৯ বছর বয়সে সিনেমার সেটে প্রথম পা দিয়েছিলেন তিনি। জীবনব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণের সেই ছিল সূচনা। সিনেমার সেটই তাঁকে সবকিছু শিখিয়েছে। তাঁর সময়ে ফিল্ম স্কুল বলে কিছু ছিল না।
‘আন্দাজ’ থেকে ‘সীতা অউর গীতা’ – একের পর এক অসাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্ব থাকলেও শ্রী রমেশ সিপ্পির শেখার আগ্রহে কখনও ভাঁটা পড়েনি। তাঁর নিজের কথায়, “শেখার কোনো শেষ নেই।” তিনি বলেন, “আমরা সব সময়েই আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি। অভিনেতা থেকে শুরু করে কলাকুশলী – চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে গোটা টিম জড়িত।” ‘শোলে’ সিনেমা তৈরির প্রসঙ্গে শ্রী সিপ্পি বলেন, আবহাওয়া মোটেই অনুকূল ছিল না। শেষ পর্যন্ত মেঘলা আকাশেই তাঁদের শ্যুটিং করতে হয়েছিল। অথচ পরে দেখা গেল যে সেইটাই সেই দৃশ্যের এক চমৎকার আবহ তৈরি করে দিয়েছে। ‘শোলে’-র একটি দৃশ্য শ্যুট করতে ২৩ দিন লেগেছিল বলে জানান তিনি। সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমকে অমোঘ করে তোলার যে অঙ্গীকার তাঁর ভেতরে ছিল, এর থেকেই তার পরিচয় পাওয়া যায়।
বর্তমানে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী সিপ্পি বলেন, স্পেশাল এফেক্ট এবং কৃত্রিম মেধার ব্যবহার চলচ্চিত্রকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। তবে, প্রযুক্তি যে কখনই সৃজনশীলতাকে অতিক্রম করে যেতে পারে না, তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি। শ্রী সিপ্পি বলেন, “এআই কখনই মানুষের মনের জায়গা নিতে পারবে না। এটি কেবল সৃজনশীলতার সহায়ক হতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গেলে নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করতেই হবে।”
তাঁর বলা গল্পগুলি পর্দায় এত জীবন্ত কিভাবে হয়ে ওঠে, তাই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্রী সিপ্পি বলেন, এর পুরো কৃতিত্বই তাঁর টিমের। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই পরিপূর্ণতায় পৌঁছনো সম্ভব হয়।
শ্রী সিপ্পি বলেন, “কাজ করতে গিয়ে ভুল হওয়া ভালো। প্রতিটি অভিজ্ঞতাই আমাদের মূল্যবান কিছু শিক্ষা দেয়। আমরা আমাদের ব্যর্থতা থেকে শিখি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হই।”
শ্রী সিপ্পি শিক্ষার গুরুত্ব, পরিবর্তনকে গ্রহণ করার মানসিকতা এবং ক্রমাগত আরও উন্নতি করার প্রয়াসের ওপর জোর দেন। তাঁর এই প্রেরণাদায়ক বক্তব্যের মধ্য দিয়েই অধিবেশনের সমাপ্তি হয়।
PG/SD/DM
(Release ID: 2078966)
Visitor Counter : 23