শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
উইপো ২০২৪ রিপোর্ট : পেটেন্ট, ট্রেড মার্ক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনে সেরা ১০ টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ভারত
Posted On:
12 NOV 2024 3:30PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১২ নভেম্বর,২০২৪
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি অরগানাইজেশন (ডব্লুআইপিও), ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি ইন্ডিকেটর (ডব্লুআইপিআই) ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি (আইপি) বা মেধাস্বত্ত্বের আবেদনে আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্টে। বিশ্বের সেরা অর্থনীতির দেশগুলিতে পেটেন্ট, ট্রেড মার্ক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের আবেদনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। তিনটি ক্ষেত্রেই সেরা ১০ টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ভারত।
পেটেন্টের আবেদনে দ্রুততম বৃদ্ধির (+১৫.৭ %) নজির গড়েছে ভারত। এই নিয়ে টানা ৫ বছর ১০ শতাংশের ওপর বৃদ্ধি ঘটল। ৬৪,৪৮০ টি আবেদন নিয়ে ভারত বিশ্বস্তরে ষষ্ঠ স্থানে, এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আবেদন ভারতীয়দের নিজস্ব। পেটেন্ট অফিস ২০২৩ –এর পূর্বেকার বছরের তুলনায় ১৪৯.৪ % বেশি পেটেন্ট অনুমোদন করেছে।
রিপোর্টে ভারতের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের আবেদনে ধারাবাহিক বৃদ্ধির উল্লেখ করা হয়েছে (৩৬.৪%)। ভারতে পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন এবং সৃষ্টিশীল শিল্পে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ডিজাইনের আবেদনের প্রায় অর্ধেক হয়েছে বস্ত্র, যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য ও প্রসাধনী শিল্পে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ –এর মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ট্রেড মার্কের আবেদন বেড়েছে ৬০ % । যার থেকে বোঝা যায় দেশের মেধা সম্পদ এবং উদ্ভাবনে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রসারের পাশাপাশি মেধাসম্পদ সংক্রান্ত কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, গত এক দশকে জিডিপি সাপেক্ষে পেটেন্টের অনুপাত ১৪৪ থেকে ৩৮১ -তে ওঠায়।
ট্রেড মার্কের আবেদনে ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ২০২৩ –এ বৃদ্ধির হার ৬.১ %। সর্বাগ্রে আছে স্বাস্থ্য (২১.৯%), কৃষি (১৫.৩%) এবং বস্ত্র (১২.৮%) । ব্র্যান্ডের সুরক্ষায় গোটা বিশ্বে ভারতের শক্তিশালী অবস্থানের প্রমাণ ৩.২ মিলিয়ন ট্রেড মার্ক নিয়ে ভারতের ট্রেড মার্ক অফিস এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম।
বিশ্ব জুড়েই মেধাস্বত্ত্বের আবেদন বৃদ্ধি পাচ্ছে নিয়মিত। অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও উদ্ভাবন অব্যাহত। যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২৩ –এ বিশ্বজুড়ে ৩.৫৫ মিলিয়ন পেটেন্টের জন্য আবেদন হয়েছে। ২০২২- এর তুলনায় বৃদ্ধির হার ২.৭ % । এর মধ্যে এশিয়ার প্রথম সারির দেশগুলির অবদান যথেষ্ট। এই বৃদ্ধির পিছনে আছেন চিন, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতের আবাসিকরা। অর্থাৎ স্থানীয় উদ্ভাবনে জোর দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ দেশই তাদের ঘরোয়া মেধাস্বত্ত্বের পরিমণ্ডলটিকে শক্তিশালী করার দিকে নজর দিয়েছে।
ডব্লুআইপিও-র বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সূচক ২০২৪- এ দেখা যাচ্ছে উদ্ভাবন এবং মেধাস্বত্ত্বে ভারতের অগ্রগতি। নাগরিকদের আবেদনের ধারাবাহিক বৃদ্ধি প্রমাণ করছে সরকারী উদ্যোগের প্রভাব, যার লক্ষ্য ভারতকে বিশ্ব উদ্ভাবন ক্ষেত্রে নেতৃত্বের স্থানে আনা।
PG/AP /SG
(Release ID: 2073342)
Visitor Counter : 27