স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থল সীমান্তে আগামীকাল একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং এবং মৈত্রী দ্বার-এর উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ

Posted On: 26 OCT 2024 1:07PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আগামীকাল অর্থাৎ, ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে নির্মিত মৈত্রী দ্বার-এর উদ্বোধন করবেন। তিনি দ্বারোদ্ঘাটন করবেন একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং-এরও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেট্রাপোলের স্থল বন্দর হল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম একটি স্থল বন্দর। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারও বলা চলে। বাণিজ্য এবং যাত্রী চলাচলের দিক থেকে পেট্রাপোল (ভারত)-বেনাপোল (বাংলাদেশ) হল দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থল সীমান্ত। এই স্থল বন্দরের মধ্য দিয়ে স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজকর্মই করা হয়। এখান দিয়ে ২৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটনের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এই অঞ্চলে স্থল বন্দরে নির্মিত নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংটি এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন রূপে চিহ্নিত হবে। পরিকাঠামোর দিক থেকেও এটি হয়ে উঠবে বিশেষ সুবিধাজনক।

টার্মিনাল বিল্ডিংটিকে গড়ে তোলা হয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তিতে যাতে এর ভেতরে সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সমস্ত রকমের সুযোগ-সুবিধা যুক্ত থাকে।

ভিআইপি লাউঞ্জ, শুল্কমুক্ত দোকান, প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা, শিশুদের জন্য ফিডিং রুম এবং খাদ্য ও পানীয়ের যথাযথ বন্দোবস্ত রাখা হবে এই টার্মিনাল বিল্ডিংটিতে।

এই বিল্ডিংটি প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো যাত্রীকে স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে একই ছাদের তলায় ইমিগ্রেশন, কাস্টমস এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হবে।

৫৯,৮০০ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে এই টার্মিনাল বিল্ডিংটি।

বিল্ডিংটিতে প্রবেশ ও প্রস্থানের ব্যবস্থাটি নিয়ন্ত্রিত হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।

এক কথায় বলা চলে যে পরিকাঠামো এবং পরিষেবাগত মানের দিক থেকে এই প্রকল্পটি হল যথেষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষাপূর্ণ।

অন্যদিকে, মৈত্রী দ্বারটি হল জিরো লাইনে অবস্থিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ পণ্য চলাচল দ্বার।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ মৈত্রী দ্বার-এর শিলান্যাস করেছিলেন গত বছর ৯ মে।

পেট্রাপোল স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০০-৭০০টি ট্রাক চলাচল করে। এই কারণে ভারতীয় স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ (এলপিএআই) একটি নতুন সাধারণ পণ্য দ্বার নির্মাণের কাজে হাত দেয় যা ‘মৈত্রী দ্বার’ নামে পরিচিত হতে চলেছে।

এই মৈত্রী দ্বার-এর মধ্য দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য চলাচলের কাজ আরও সুষ্ঠু ও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, মৈত্রী দ্বারকে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যাতে পণ্য চলাচলের কাজও বিশেষ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিকাঠামোগত দিক থেকে মৈত্রী দ্বারকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যার ফলে ভারত ও বাংলাদেশ, দুটি দেশেরই পণ্য চলাচলের কাজে বিশেষ সুবিধা হবে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ (এলপিএআই)-কে প্রধানমন্ত্রী এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে একটি নির্দিষ্ট দিশাও স্থির করে দিয়েছেন তিনি।

 

PG/SKD/DM/




(Release ID: 2068572) Visitor Counter : 17