পরিসংখ্যানএবংকর্মসূচিরূপায়ণমন্ত্রক

“ভারতের নারী ও পুরুষ ২০২৩” প্রকাশিত

Posted On: 12 AUG 2024 5:31PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ আগস্ট ২০২৪

 

ভারত সরকারের রাশি-বিজ্ঞান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক “ভারতের নারী ও পুরুষ ২০২৩”-এর ২৫তম সংখ্যা প্রকাশ করেছে। 

দেশের জনসংখ্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি বিষয়ে নারী ও পুরুষের ভূমিকা ও অবস্থান সম্পর্কে এই প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। লিঙ্গ-ভিত্তিক পরিসংখ্যানের পাশাপাশি গ্রাম ও শহর ভেদে এবং ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি জায়গা পেয়েছে এখানে। সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রক / দপ্তর এবং সংগঠনের দেওয়া নির্ভরযোগ্য তথ্য। 

“ভারতের নারী ও পুরুষ ২০২৩” শুধুমাত্র লিঙ্গসাম্যের ক্ষেত্রে অগ্রগতিকেই তুলে ধরেনি, খামতির দিকগুলিকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রবণতার অভিমুখ থেকে নীতিপ্রণেতা, গবেষক এবং সাধারণ মানুষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি পাবেন। এই প্রতিবেদন ভারতের জনবিন্যাসগত পরিবর্তন বুঝতেও বিশেষভাবে সহায়ক হবে। 

এই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে মন্ত্রকের ওয়েবসাইট https://mospi.gov.in/-এ।

প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 

২০৩৬ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৫২.২ কোটি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। জনসংখ্যায় মহিলাদের অনুপাত হবে ৪৮.৮ শতাংশ – যা ২০১১-য় ছিল ৪৮.৫ শতাংশ। ১৫ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা ২০১১-র তুলনায় অনেকটাই কমে যাবে জন্ম হার হ্রাস পাওয়ার সুবাদে। অন্যদিকে, বাড়বে ষাটোর্ধ্বের সংখ্যা। লিঙ্গানুপাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা। ২০১১-র ৯৪৩-এর তুলনায় ২০৩৬-এ তা দাঁড়াবে ৯৫২। 

দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সময়কালে ২০-২৪ এবং ২৫-২৯ বয়ঃসীমায় প্রসব হার যথাক্রমে ১৩৫.৪ থেকে ১৬৩.০ এবং ১১৩.৬ থেকে ১৩৯.৬ হয়েছে। ৩৫-৩৯ এবং তার চেয়ে বেশি বয়ঃসীমার ক্ষেত্রে এই হার ৩২.৭ থেকে বেড়ে ৩৫.৬-এ দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মহিলারা সন্তান ধারণের কথা ভাবছেন। কিশোরীদের প্রসব হারের ক্ষেত্রেও তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২০-তে নিরক্ষর গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই হার ৩৩.৯, সাক্ষরদের ক্ষেত্রে ১১.০। যেসব মহিলারা সাক্ষর, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে নিরক্ষরদের তুলনায় প্রসব হার কম। ধারাবাহিক উন্নয়নী লক্ষ্য অনুযায়ী প্রসূতি মৃত্যুর হার ২০৩০-এ ৭০-এ নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। ভারত সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার সুবাদে ২০১৮-২০ সময়কালে এই হার দাঁড়িয়েছে প্রতি ১ লক্ষে ৯৭। ফলে, ২০৩০-এর মধ্যে ধারাবাহিক উন্নয়নী লক্ষ্যের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারত সফল হবে বলে আশা করা যায়।

শিশু মৃত্যুর হার পুত্র ও কন্যা - উভয় ক্ষেত্রেই কমের দিকে। কন্যাদের ক্ষেত্রে এই হার আগে সব সময়েই বেশি ছিল, কিন্তু ২০২০-তে তা একই স্তরে নেমে এসেছে – ২৮। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ২০১৫-র ৪৩ থেকে ২০২০-তে ৩২-এ নেমে এসেছে। 

১৫ বছরের ওপরে থাকা ছেলে ও মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই ২০১৭-১৮ পরবর্তী পর্বে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের প্রবণতা বাড়ছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে ২০১৭-১৮-য় এই হার ছিল ৭৫.৮, ২০২২-২৩-এ দাঁড়িয়েছে ৭৮.৫। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ২৩.৩ এবং ৩৭। 

১৯৯৯-এর জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন মহিলা ভোটদাতাদের ৬০ শতাংশ – পুরুষদের তুলনায় ৮ শতাংশ কম। ২০১৪-য় এই ছবিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার দাঁড়ায় ৬৫.৬ শতাংশে। ২০১৯-এ তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭.২ শতাংশে। সেই প্রথম মহিলাদের ভোটদানের হার পুরুষদের ছাপিয়ে যায়। বিষয়টি নারীশিক্ষার প্রসারের সঙ্গে অবশ্যই জড়িত। 

২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য প্রসার দপ্তরের তালিকায় থাকা স্টার্ট-আপ-এর সংখ্যা ১,১৭,২৫৪। এর মধ্যে ৫৫.৮১৬টি মহিলা পরিচালিত।


PG/AC/DM



(Release ID: 2045098) Visitor Counter : 54