মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক

এনএমএমএসএস-এর আওতায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে (৩০ জুন, ২০২৪-এর পর থেকে) আবেদন জমা দেওয়ার জন্য জাতীয় বৃত্তি পোর্টাল খুলে গেল

Posted On: 02 JUL 2024 3:53PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২ জুলাই ২০২৪

 

ছাত্রছাত্রীরা যাতে এককালীন নথিভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন সেজন্য জাতীয় বৃত্তি পোর্টাল খুলে দেওয়া হল। এর হোম পেজ নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এছাড়া, এ সংক্রান্ত একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ এবং উন্নততর ওয়েব সংস্করণেরও সূচনা হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এই পোর্টাল এখন অনেক সহজে ব্যবহারযোগ্য। এখানে বৃত্তির জন্য নতুন করে আবেদন জানানো যাবে। বৃত্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানানোর সংস্থানও এতে রয়েছে। 

এককালীন নথিভুক্তিকরণের এই প্রক্রিয়া সারা বছর ধরেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য খোলা থাকবে। আধার / আধার এনরোলমেন্ট আইডি-র ওপর ভিত্তি করে নথিভুক্তিকরণের সময়ে ১৪ সংখ্যার নম্বর, ওটিআর দেওয়া হবে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই নম্বর আলাদা। এই নম্বর না থাকলে বৃত্তির জন্য পোর্টালে আবেদন জানানো যাবে না। এককালীন নথিভুক্তিকরণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে একটি আইডি দেওয়া হবে। সেটি সেই শিক্ষাবর্ষের পুরো সময়ের জন্য বৈধ থাকবে। আবেদন জমা দেওয়ার সময় এই আইডি-র সাপেক্ষে আরও একটি আবেদন আইডি পাওয়া যাবে। নথিভুক্তিকরণের আইডি-র সাপেক্ষে একটির বেশি আবেদন আইডি যাতে কোনো সময়েই সক্রিয় না থাকে, প্রযুক্তির সাহায্যে তা নিশ্চিত করা হবে। ২০২৪-২৫ সালের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হল ৩১ আগস্ট। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যেসব পড়ুয়া এই পোর্টালে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে ওটিআর দেওয়া হয়েছে। এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রত্যেককে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী নিচে দেওয়া হল -

(ক) যেসব পড়ুয়া ওটিআর পেয়েছেন তাঁদের জন্য নির্দেশ :
(১) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে আগেই মুখাবয়ব সনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।

(২) যেসব পড়ুয়া ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মুখাবয়ব সনাক্ত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন, তাঁদের জন্য পোর্টাল থেকে একটি ওটিআর নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেটি তাঁদের নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। 

(৩) যাঁরা এই ওটিআর নম্বর পেয়েছেন, তাঁরা সরাসরি বৃত্তির জন্য জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে আবেদন করতে পারেন। 

(৪) কেউ যদি এসএমএস-এর মাধ্যমে ওটিআর নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি পোর্টালের ‘নো ইওর ওটিআর’ বিভাগে গিয়ে ওটিআর নম্বর জানতে পারবেন। 

(খ) যেসব পড়ুয়া রেফারেন্স নম্বর পেয়েছেন তাঁদের জন্য নির্দেশাবলী –

(১) যেসব ছাত্রছাত্রী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ওটিপি-ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি-র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন কিন্তু মুখাবয়ব সনাক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি, তাঁদের পোর্টাল থেকে রেফারেন্স নম্বর দেওয়া হয়েছে। 

(২) এবার মুখাবয়ব সনাক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পোর্টাল থেকে তাঁরা ওটিআর নম্বর নিয়ে নিতে পারেন।

(৩) ওটিআর নম্বর পেতে গেলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হবে :

(ক) অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আধার ফেস আরডি পরিষেবা ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন (link: https://play.google.com/store/apps/details?id=in.gov.uidai.facerd)

(খ) গুগল প্লে-স্টোর থেকে এনএসআর ওটিআর ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন (link: https://play.google.com/store/apps/details?id=in.gov.scholarships.nspotr&pli=1)

(গ) মোবাইল অ্যাপটি খুলে ‘ই-কেওয়াইসি উইথ ফেসঅথ’ অপশন বেছে নিন। এটি লাল রং-এ চিহ্নিত রয়েছে। 

জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে দুটি স্তরে যাচাইকরণ করা হয় – প্রথম স্তরের যাচাইকরণ করেন প্রতিষ্ঠানের নোডাল অফিসার, দ্বিতীয় স্তরের যাচাইকরণ করেন জেলাস্তরের নোডাল অফিসার। প্রথম স্তরের যাচাইকরণের শেষদিন চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় স্তরের ৩০ সেপ্টেম্বর।

অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর অংশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা কমাতে এবং তাঁদের পরবর্তী স্তরের শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে ‘ন্যাশনাল মিনস-কাম-মেরিট স্কলারশিপ স্কিম’ (এনএমএমএসএস) চালু করা হয়। প্রতি বছর এর আওতায় নবম শ্রেণীর ১ লক্ষ বাছাই করা পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া হয়। তাঁরা যাতে রাজ্য সরকার, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভা-চালিত স্কুলগুলিতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারেন, সেজন্য এই বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


PG/SD/DM.



(Release ID: 2030323) Visitor Counter : 10