স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালন করার ব্যাপারে ফল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়েছে এফএসএসএআই

प्रविष्टि तिथि: 18 MAY 2024 6:28PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮ মে, ২০২৪

 

কৃত্রিম উপায়ে ফল পাকাতে বিশেষ করে আমের মরশুমে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য ফল ব্যবসায়ী এবং এই সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকে সতর্ক করে দিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)। এই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরকেও সতর্ক থাকার এবং এই ধরনের কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২০০৬-এর খাদ্য সুরক্ষা আইনের ধারায় বিধি অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এফএসএসএআই। 

ফল পাকাতে বিশেষ করে আম পাকানোর জন্য সাধারণত যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয়, তার থেকে অ্যাসিটিলিন গ্যাস বের হয় যাতে ক্ষতিকারক আর্সেনিক এবং ফসফরাস থাকে। এই উপাদানগুলি ‘মশালা’ বলে পরিচিত। এর থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা অসুবিধা দেখা যায় যেমন- ঝিমুনি ভাব, বারে বারে তেষ্টা পাওয়া, জ্বালা, দুর্বলতা, গিলতে অসুবিধা, বমি বমি ভাব এবং ত্বকে ক্ষত ইত্যাদি। এছাড়া যারা এই ফল পাকানোর কাজ করেন, অ্যাসিটিলিন গ্যাসে তাঁদেরও ক্ষতি হয়। অনেক সময় ক্যালসিয়াম কার্বাইডের সরাসরি সংস্পর্শে এলে ফলে আর্সেনিক এবং ফসফরাসের রেশ থেকে যেতে পারে।

এই ক্ষতিকারক দিকগুলির জন্যই ২০১১-এর ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা) বিধির ২,৩,৫ ধারা অনুযায়ী ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিধিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘অ্যাসিটিলিন গ্যাস যা সাধারণভাবে পরিচিত কার্বাইড গ্যাস হিসেবে তা ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে পাকানো যে কোনো ফল বিক্রি অথবা বিক্রয়ের জন্য বাড়িতে মজুত করা যাবে না।’

ক্যালসিয়াম কার্বাইডের যথেচ্ছ ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখে এফএসএসএআই ভারতে ফল পাকানোর জন্য নিরাপদ বিকল্প হিসেবে ইথিলিন গ্যাস ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে। ফলের ধরন, বৈশিষ্ট্য এবং পূর্ণতার ওপর ভিত্তি করে ১০০ পিপিএম পর্যন্ত ঘনত্বে ইথিলিন গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে। সব ফলেই প্রাকৃতিকভাবে ইথিলিন পাওয়া যায়। সেই ইথিলিনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য ফল পাকে। অপরিণত ফলে ততক্ষণ পর্যন্ত কৃত্রিমভাবে ইথিলিন ব্যবহার করা হয়, যতক্ষণ না সেই ফলে স্বাভাবিকভাবে যথেষ্ট পরিমাণে নিজে থেকেই ইথিলিন তৈরি হওয়া শুরু হয়। 

এছাড়া সেন্ট্রাল ইনসেকটিসাইডস বোর্ড অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন কমিটি (সিআইবি অ্যান্ড আরসি) আম এবং অন্য ফল সমানভাবে পাকাতে এথিফন ৩৯% এসএএল অনুমোদন করেছে।

এফএসএসএআই ‘আর্টিফিসিয়াল রাইপেনিং অফ ফ্রুটস- ইথিলিন গ্যাস এ সেফ ফ্রুট রাইপেনার’ শিরোনামে একটি বিস্তারিত বিধিবদ্ধ বিবরণী প্রকাশ করেছে। খাদ্য ব্যবসায়ীদের কৃত্রিমভাবে ফল পাকাতে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ইথিলিন গ্যাস দিয়ে কৃত্রিমভাবে ফল পাকাতে কী কী করতে হবে তা বিস্তারিত বলা হয়েছে সেখানে। 

যদি কোনো গ্রাহকের নজরে পড়ে ক্যালসিয়াম কার্বাইড বা অন্য কোনো অসাধু উপায়ে ফল পাকানো হয়েছে তাহলে তৎক্ষণাৎ তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা কমিশনারের নজরে আনতে হবে। নিম্নলিখিত লিঙ্কে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কমিশনার্স অফ ফুড সেফটির বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে https://www.fssai.gov.in/cms/commissioners-of-food-safety.php । 

    


PG/AP/NS


(रिलीज़ आईडी: 2021119) आगंतुक पटल : 702
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , हिन्दी , Hindi_MP , Hindi_MP , Marathi , Hindi_MP , Punjabi , Gujarati , Tamil , Telugu