শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক

ব্রাসিলিয়ায় ভারত জি২০ দ্বিতীয় কর্মসংস্থান কর্মীগোষ্ঠীর বৈঠকে

Posted On: 27 MAR 2024 8:36PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৭ মার্চ, ২০২৪

 

ব্রাসিলিয়ায় আজ ব্রাজিলের সভাপতিত্বে দু-দিনের দ্বিতীয় এমপ্লয়মেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডাব্লুজি) শুরু হয়েছে। জি২০ ইডাব্লুজি-র লক্ষ্য সকলের জন্য শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী, সুষম এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক বৃদ্ধির জন্য শ্রম, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক বিষয়গুলির সমাধান করা জি২০ ট্রয়কার সদস্য ভারত। প্রতিনিধিত্ব করছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব শ্রীমতী সুমিতা দাওরা। দ্বিতীয় ইডাব্লুজি-র বৈঠকে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পৌরোহিত্য করছে ভারতও। ভারতের প্রতিনিধি দলে আছেন যুগ্ম সচিব শ্রী রূপম কুমার ঠাকুর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের উপ-অধিকর্তা শ্রী রাকেশ গৌর।

অধিবেশন শুরু হয় ব্রাজিলের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শ্রী লুইজ মারিনহোর বক্তব্যের সঙ্গে। এর পরে শ্রীমতী সুমিতা দাওরা বলেন, ব্রাসিলিয়ায় দ্বিতীয় ইডাব্লুজি-র অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি ভারতের সভাপতিত্ব সহ পূর্বতন সকল জি২০ সভাপতিত্বকালীন অগ্রাধিকার এবং ফলাফলগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কাজের দুনিয়ায় সুদুরপ্রসারী ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বহু বার্ষিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেন তিনি। এতে কাজটি এগিয়ে চলেছে শুধু তাই নয়, ভারতের সভাপতিত্বকালীন ইডাব্লুজি-র দ্বারা শুরু হওয়া কাজ বৃদ্ধিও পেয়েছে।

দ্বিতীয় ইডাব্লুজি বৈঠকের মূল লক্ষ্য (১) গুণমানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি এবং সম্মানজনক শ্রমের প্রসার; ২) ডিজিটাল এবং শক্তি রূপান্তরের মধ্যে পরিবর্তনের মোকাবিলা; ৩) সকলের জীবনের মান উন্নত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার; ৪) অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবনের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব কর্ম জগতে লিঙ্গ-সাম্য এবং বৈচিত্র্য আনতে জোর।

বৈঠকের প্রথম দিনে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-সাম্য এবং বৈচিত্র্যের প্রসার বৃদ্ধি করা নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতীয় প্রতিনিধিরা জোর দেন পুরুষ-নারী সমান প্রতিনিধিত্ব এবং জাত-পাত, লিঙ্গ অথবা আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট নির্বিশেষে সকলের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ১) কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে লিঙ্গ-সাম্য; ২) পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গৃহীত ব্যবস্থা; ৩) বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য পুনঃকর্মসংস্থানের সুযোগ; ৪) বিশেষভাবে সক্ষম এবং প্রান্তিক শ্রেণীর অংশগ্রহণের প্রসারে ভারতের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলি ব্যাখ্যা করেন ভারতের প্রতিনিধিদল। দ্বিতীয় ইডাব্লুজি-র প্রথম দিনে নিম্নলিখিত সাফল্যগুলি তুলে ধরা হয়:

১) কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা বাড়াতে ভারত অকুপেশনাল সেফটি হেল্থ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড ২০২০ তৈরি করেছে। এর ফলে মহিলারা যেকোন জায়গায় যেকোন কাজে বহাল হওয়া ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন। রাত্রিবেলা কাজ করাতে হলে তাঁদের অনুমতি লাগবে। এই সংস্থানটি ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ খনিতে রূপায়িত হয়েছে।

২) ২০১৭য় সরকার ১৯৬১-র মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইনের সংশোধন করে যাতে ১০ অথবা তার বেশি কর্মী আছে এমন কাজের জায়গায় কর্মরত সকল মহিলা সবেতন ১২ সপ্তাহ থেকে ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

৩) পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করতে ভারতের অভিনব নীতি ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’-এর দ্বারা পরিযায়ীরা দেশের যেকোন জায়গায় গণ-বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যশস্য পাওয়ার অধিকারী। সামাজিক সুরক্ষা এবং কল্যাণমূলক সুবিধা দিতে একাধিক কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। তারই সঙ্গে নিশ্চিত করা হয়েছে রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলেও সুবিধাদানের বিষয়েও। এইসব কর্মসূচির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে কম খরচে আবাসন, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং এইসব কর্মীদের জন্য বৃদ্ধ বয়েসে অবসরভাতা।

৪) সুচিত হয়েছে ঐতিহাসিক ই-শ্রম পোর্টাল। তৈরি করা হচ্ছে অসংগঠিত কর্মীদের জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার। বিশেষ করে পরিযায়ী এবং নির্মাণকর্মীদের। এই উদ্যোগে দেওয়া হচ্ছে ই-শ্রম কার্ড। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা নেওয়া যাবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে একজন অসংগঠিত কর্মী পোর্টালে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন নিজেই ৩০টি ক্ষেত্রে ৪০০টি পেশার জন্য। এ পর্যন্ত ২৯ কোটির বেশি অসংগঠিত শ্রমিক পোর্টালে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। 

৫) শ্রমের বাজারে বয়স্ক মানুষদের অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে ভারত একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। দৈহিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে। বহুকাল যাবত যাঁরা প্রান্তিক ও বিপন্ন গোষ্ঠীর মানুষ তাঁদের জন্য দেওয়া হবে পেশাগত প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে এবং কাজের খোঁজ দেওয়া হবে। 


    


PG/AP/NS



(Release ID: 2016570) Visitor Counter : 26