প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
বিহারের বেগুসরাইতে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী
Posted On:
02 MAR 2024 6:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২ মার্চ, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারের বেগুসরাইয়ে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এর মধ্যে তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও, বিহারে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে আজ। এর জন্য ব্যয় হবে ১৩,৪০০ কোটি টাকারও বেশি।
বেগুসরাইয়ে এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তুলতে হলে ‘বিকশিত বিহার’ গড়তে হবে। তিনি বলেন, বেগুসরাইয়ে প্রতিভাবান যুবশক্তি রয়েছে। আজ এই অনুষ্ঠানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। বেগুসরাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। শ্রী মোদী বলেন, “আগে এই ধরনের অনুষ্ঠান দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত হত। কিন্তু এখন মোদী দিল্লিকে বেগুসরাইয়ে নিয়ে এসেছে।” ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে বিহারের যুব সম্প্রদায়ের কাছে নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে, আন্তর্জাতিক স্তরে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ভারতের সুবিধা হবে। বিহারেরও সমৃদ্ধি আসবে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেন পরিষেবার সূচনা করেন।
শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সালে তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। “বিহার এবং পূর্ব ভারত যখন সমৃদ্ধশালী ছিল, তখন ভারত ছিল শক্তিশালী এক রাষ্ট্র। এর প্রমাণ ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়।” বিহারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পর থেকে দেশের অবস্থারও অবনতি হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজ্যের জনগণকে আশ্বস্ত করে শ্রী মোদী বলেন, বিহারের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে উন্নত বা বিকশিত ভারত গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বারাউনির সার কারখানাটির বিষয়ে যে গ্যারান্টি তিনি দিয়েছিলেন, তা আজ বাস্তবায়িত হল। “এটি বিহার সহ সারা দেশের কৃষকদের কাছে একটি বড় সাফল্য।” গোরক্ষপুর, রামাগুন্ডাম এবং সিন্ধ্রির সার কারখানা একসময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন এই কারখানাগুলি ভারতকে ইউরিয়া সারের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তুলছে। বারাউনি তেল শোধনাগারের সম্প্রসারণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এর ফলে বিহারে শিল্পোন্নয়ন গতি পাবে, হাজার হাজার শ্রমিকের আগামীদিনে কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। বিহারে ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এর ফলে, বিহারের মহিলারা স্বল্প মূল্যে গ্যাস পাবেন। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শিল্প স্থাপনে এই গ্যাস সরবরাহ সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেজি বেসিন থেকে ‘ফার্স্ট অয়েল’ দেশে সরবরাহ শুরু হল। ওএনজিসি-র কৃষ্ণা গোদাবরী ডিপ ওয়াটার প্রকল্প থেকে অশোধিত তেলের প্রথম ট্যাঙ্কারটি যাত্রা শুরু করল। এর ফলে, দেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার দিকে আরও একধাপ এগোল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, কোনো পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে নয়। ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণের বিষয়টি এখন সারা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি এবং সামাজিক ন্যায়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেনি। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিভা এবং যুবশক্তির কল্যাণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। “ ‘সন্তুষ্টিকরণ’-এর মাধ্যমে প্রকৃত সামাজিক ন্যায় অর্জিত হয়, তোষণ বা ‘তুষ্টিকরণ’-এর মাধ্যমে নয়।” বর্তমানে বিনামূল্যে রেশন, পাকা বাড়ি, রান্নার গ্যাসের সংযোগ, নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ, শৌচাগার, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং কিষাণ সম্মান নিধির মতো প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রকৃত সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে দলিত এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষরা এই প্রকল্পগুলি থেকে সবচেয় বেশি সুবিধা পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীশক্তির ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়েই সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই ১ কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’তে উন্নীত করা গেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি এই সংখ্যাটিকে ৩ কোটিতে পৌঁছনোর জন্য তাঁর অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। যাঁরা ইতোমধ্যেই ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিহারের। তিনি জানান, ‘পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনা’র মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল কমবে এবং এই যোজনার আওতাভুক্ত পরিবারগুলি বাড়তি আয় করতে পারবে। বিহারের এনডিএ সরকার দরিদ্র, মহিলা, কৃষক, হস্তশিল্পী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষদের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে।
তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং হাজার হাজার কোটি টাকার এইসব উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য তাঁদের অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় মহিলাদের বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিহারের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র ভি আর্লেকর, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার, দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সম্রাট চৌধুরি ও শ্রী বিজয় কুমার সিনহা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী হরদীপ পুরী, সাংসদ শ্রী গিরিরাজ সিং সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
PG/CB/DM
(Release ID: 2015830)
Read this release in:
Hindi
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam