ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

২৭.৫০ টাকা কেজি দরে ‘ভারত’ আটা বিক্রি শুরু করল কেন্দ্র

ভারত আটা বিক্রির জন্য ১০০ টি ভ্রাম্যমান যানের যাত্রার সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল
কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশন লিমিটেড এবং জাতীয় সমবায় উপভোক্তা ফেডারেশন লিমিটেড থেকেও মিলছে ‘ভারত’ আটা

Posted On: 06 NOV 2023 4:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ৬ নভেম্বর, ২০২৩

 

নতুন দিল্লির কর্তব্য পথে আজ ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের গমের আটা বিক্রির ১০০টি ভ্রাম্যমান যানের যাত্রার সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় উপভোক্তা, খাদ্য ও গণবন্টন, বয়ন এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এই আটার সর্বোচ্চ ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ২৭.৫০ টাকা।
    কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, নাফেড এবং এনসিসিএফ-এর চিরাচরিত এবং ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে এই আটা কেনা যাবে। ক্রমে তা পাওয়া যাবে অন্য সমবায়/খুচরো বিপণন কেন্দ্রগুলি থেকেও। এই আটা তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, নাফেড এবং এনসিসিএফ-কে খোলা বাজার প্রকল্পের আওতায় ২১.৫০ কেজি প্রতি টাকা দরে ২.৫ লক্ষ মেট্রিক টন গম দেওয়া হয়েছে।
    কর্তব্য পথের অনুষ্ঠানে শ্রী গোয়েল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সময়ানুগ পদক্ষেপের দরুণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এর আগে টমেটো এবং পিঁয়াজের দাম কমাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার নাফেড এবং এনসিসিএফ-এর মাধ্যমে ৬০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করা হচ্ছে ভারত ডাল। 
    এইসব উদ্যোগ কৃষকদেরও বিশেষ ভাবে উপকৃত করেছে বলে শ্রী গোয়েল  মনে করেন। কৃষকদের থেকে সরাসরি পণ্য কিনে ভর্তুকি যুক্ত হারে বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষক এবং উপভোক্তা- উভয় পক্ষেরই স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগী। 
প্রেক্ষাপট :
    খাদ্যশস্য, ডাল, মোটা দানার শস্য এবং মিলেটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেঁধে দিয়েছে ভারত সরকার। এর সুবিধা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে দেশ জুড়ে চালু করা হয়েছে ক্রয় কর্মসূচি। রবি মরশুম ২৩-২৪-এ ২১.২৯ লক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২১২৫ টাকা ন্যূনতম সহায়ক দামে ২৬২ লক্ষ মেট্রিক টন গম কেনা হয়েছে। খরিফ মরশুম ২২-২৩-এ কৃষকের কাছ থেকে মোট ১,৭৪,৩৭৬.৬৬ কোটি টাকায় ৫৬৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে সরকার।
    সংগৃহীত এই ধান ও গম প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে দরিদ্র মানুষের মধ্যে।
    দেশের অভ্যন্তরে খোলা বাজারে এইসব খাদ্যশস্য বিক্রির জন্য ভারতের খাদ্য নিগম সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ই-নিলামের ব্যবস্থা করে। তবে তা কিনতে পারে শুধুমাত্র প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি। গম, বাসমতী নয় এমন চাল রপ্তানি ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে। বাসমতী চালের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। আখ চাষী এবং ক্রেতাদের কল্যাণের বিষয়টিও সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। ভোজ্য তেলের দামের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য হ্রাসের সুবিধা যাতে এদেশের মানুষ পেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ। বস্তুত ২২টি নিত্য ব্যবহার্য খাদ্যপণ্যেরই খুচরো এবং পাইকারী দামের দিকে উপভোক্তা বিষয়ক দফতর সবসময় খেয়াল রাখছে। ফুল, ফল ও শাকসবজির দাম স্থিতিশীল রাখতে গড়ে তোলা হয়েছে প্রাইস স্টেবিলাইজেশন ফান্ড। ২০১৪-১৫-য় এই তহবিল গঠন করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার ২৭,৪৮৯.১৫ কোটি টাকা বাজেট সহায়তা দিয়েছে। 


PG/AC /SG/



(Release ID: 1975516) Visitor Counter : 137