মৎস্য ও পশু পালন এবং দুগ্ধশিল্প মন্ত্রক

উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা পর্যালোচনা বৈঠক

Posted On: 22 JUN 2023 4:15PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ২২ জুন, ২০২৩

ভারতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য ক্ষেত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয় আয় রপ্তানী, খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তা ছাড়াও কর্মসংস্থানে অবদান আছে এই ক্ষেত্রে। প্রাথমিক স্তরে ২.৮ কোটির বেশি মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীর জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। এছাড়াও মূল্য শৃঙ্খলেও আরও অনেকের জীবিকা নির্বাহ হয়। দেশে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের একটি বড় অংশে আয়ের সূত্র এই ক্ষেত্রে।

আঞ্চলিক লাভ এবং মৎস্য ক্ষেত্রের দ্রুত বৃদ্ধি করতে ভারত সরকার ২০১৪ থেকে বহুমুখী রণকৌশলের মাধ্যমে রূপান্তরকারী সংস্কার নিয়ে এসেছে। নজর দেওয়া হয়েছে মৎস্য উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তি, আধুনিক পরিকাঠামো, ঘরোয়া বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি এবং রপ্তানী উদ্যোগ প্রতি বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের ওপর। সেইসঙ্গে মৎস্যচাষী এবং মৎস্যজীবীদের কল্যাণের প্রতিও নজর দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (পিএমএমএসওয়াই) শুরু হয়েছে ২০ হাজার ৫০ কোটি টাকার লগ্নিতে যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাগ ৯ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।

এ পর্যন্ত পিএমএমএসওয়াই-এর অধীনে ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৫৪.৬৭ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। লগ্নির ৭৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে এ পর্যন্ত। কেন্দ্রের ৯ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার মধ্যে ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ৬ হাজার ১৪০.৮২ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে।

পিএমএমএসওয়াই চতুর্থ বছরে পড়ায় দপ্তর এর দ্রুত রূপায়ণের পরিকল্পনা করেছে। এই জন্য দপ্তর ২১ থেকে ২৪ জুন ২০২৩এ ভারত সরকারের মৎস্য দপ্তরের ওএসডি শ্রী অভিলাষ লিখির নেতৃত্বে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পর্যালোচনা বৈঠকের পরিকল্পনা করেছে। আলোচনা হবে ২০২৩-২৪এর রাজ্যের বার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় তহবিলের ব্যবহার, রাজ্য সরকারের ভাগ ইত্যাদি নিয়ে। ২০২৩এর পয়লা জুলাই থেকে ২০২৪এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরিকল্পনা রূপায়ণের বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।

এই পর্যায়ের প্রথম পর্যালোচনা বৈঠকটি হল ২১ জুন উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে যোগ দিলেন এবং আলোচনা করেন কেন্দ্রের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মৎস্য চাষের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে নীতি আয়োগের পাশাপাশি উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রক। পিএমএমএসওয়াই-এর অধীনে ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩এর জন্য ৯৯৮.২৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মধ্যে কেন্দ্রের ভাগ ৫২৫.২৮ কোটি টাকা। উত্তর পূর্বাঞ্চল উদ্দিষ্ট লগ্নি ৩৩১ কোটি টাকার মধ্যে ৭২ শতাংশ এবং কেন্দ্রের মোট ভাগ ৭৬৮ কোটি টাকার মধ্যে ৬৮.৩৯ শতাংশ পেয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪র পূর্বে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য এমন ধরনের নির্দিষ্ট বরাদ্দ হত না। অনুমোদিত কাজের মধ্যে আছে নতুন পুকুর, সুসংহত মৎস্য চাষ, বাহারি মাছের চাষ, বায়োফ্লক, আরএএস, হ্যাচারি, ব্রুডব্যাঙ্ক, মাছের খাবার তৈরির কারখানা ইত্যাদি।

বৈঠকের আলোচ্যসূচী অনুযায়ী আর্থিক এবং রূপায়ণের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হয়। সব রাজ্য যাতে দ্রুত পরিকল্পিত কাজে রূপায়ণ করে এবং পরবর্তী কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করে তা নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া রাজ্যগুলিকে মাসে মাসে অগ্রগতির খতিয়ান, প্রয়াস এবং প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের রিপোর্ট নিয়মিত জমা দিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে রাজ্যের কোষাগার থেকে ঘাটতির পরিমান হস্তান্তর করতে বলা হয় এসএনএ-কে।

রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে যে রাজ্যের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হয়েছে প্রজেক্ট অ্যাপ্রাইজাল কমিটি (পিএসি)-তে। এছাড়া ২০-২১ অর্থবছরে অনুমোদিত সব প্রকল্পের জন্য ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় দায় মুক্ত হওয়ার জন্য রাজ্যগুলির প্রশংসা করা হয়েছে। অসম এবং মণিপুরের মতো রাজ্যগুলিকে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয় তাদের কাজের অগ্রগতি এবং এমআইএস-এ সুবিধা প্রাপকদের তথ্য পুরণ করার জন্য।

মৎস্যজীবী এবং মৎস্যচাষীরা যাতে সহজে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পেতে পারেন তাদের কার্যকরী মূলধনের প্রয়োজনে তার জন্য রাজ্যগুলিকে তাদের সুবিদা প্রাপকদের কেসিসি আবেদন জমা করার বিষয়ে সচেতন করতে বলা হয়েছে।

রাজ্যের আধিকারিকরা বাস্তব পরিস্থিতির সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করেন যাতে তাদের উন্নতি হয়ে এবং নির্দিষ্ট সময়ে উন্নত কাজের নমুনা প্রদর্শন করতে পারেন।

 

CG/AP/NS….        22.06.23...560



(Release ID: 1934556) Visitor Counter : 110