বিদ্যুৎমন্ত্রক
জুলাইয়ে গোয়ায় ১৪তম ক্লিন এনার্জি মন্ত্রীস্তরীয় বৈঠকের আয়োজন করবে ভারত
Posted On:
26 MAY 2023 11:31AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৬ মে, ২০২৩
গোয়ায় আগামী ১৯-২২ জুলাই পর্যন্ত ১৪তম ক্লিন এনার্জি মন্ত্রীস্তরীয় এবং অষ্টম মিশন ইনোভেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেইসঙ্গে, জি-২০ এনার্জি ট্রানজিশন মন্ত্রীস্তরীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। চারদিনের এই বৈঠকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও নীতি নির্ধারকরা যোগ দেবেন।
বৈঠকের ফাঁকে ‘অ্যাডভান্সিং ক্লিন এনার্জি টুগেদার’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন প্রতিনিধিরা। আগামীদিনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে কিভাবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগানো যায়, সে সম্পর্কে তাঁরা মতবিনিময় করবেন। নতুন দিল্লিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী শ্রী আর কে সিং এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী জিতেন্দ্র সিং একটি ওয়েবসাইট – https://www.cem-mi-india.org/ চালু করেন। এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিধিদের নথিভুক্তিকরণ, সামগ্রিক অনুষ্ঠানসূচি, বক্তা, অংশগ্রহণকারী ও সদস্যদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের নকশা করা ১৪তম ক্লিন এনার্জি মন্ত্রীস্তরীয় এবং অষ্টম মিশন ইনোভেশন বৈঠকের লোগোও উদ্বোধন করা হয়।
ওয়েবসাইট ও লোগো-র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, ক্লিন এনার্জি মন্ত্রীস্তরীয় ফোরাম আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের যুক্ত হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
বিদ্যুৎ, নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী শ্রী আর কে সিং আরও বলেন, কোভিড অতিমারীর সত্ত্বেও বিশ্বে এখন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতও দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, “যদি আমরা গোটা বিশ্বে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বিকাশ ঘটাতে চাই তাহলে কোনরকম রক্ষণশীলতা রাখা চলবে না।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “শক্তির রূপান্তরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র জড়িয়ে রয়েছে। শক্তির ক্ষেত্রে এমন এক নতুন বিশ্বের কথা ভাবা উচিত যা হবে পরিবেশ-বান্ধব।” কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, “ভারত কার্বন নিঃসরণ কমাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা একটি দেশ, সংস্থা, কোম্পানি বা ব্যক্তির পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।”
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও নীতি নির্ধারণের জন্য ২০০৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল ‘ক্লিন এনার্জি মিনিস্টেরিয়াল (সিইএম)’। ২০১৩ সালে ভারতে চতুর্থ সিইএম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের ‘উন্নত জ্যোতি’ কর্মসূচি (সবার জন্য ব্যয়সাশ্রয়ী এলইডি) অনেক রাষ্ট্রকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই কাজে ভারত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও শিল্প সংস্থাকে সাহায্যও করেছিল। এই কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিকভাবে ১০ বিলিয়ন এলইডি-র লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল।
২৩টি দেশ ও ইউরোপীয় কমিশনকে নিয়ে তৈরি ‘মিশন ইনোভেশন’ (এমআই)-এর মূল লক্ষ্য হল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার যাতে সবার জন্য উন্মুক্ত করা যায়, সে ব্যাপারে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় লগ্নির পথ প্রশস্ত করা। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর প্যারিসে মিলিত হয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির গবেষণা, উন্নয়ন এবং ব্যবহারের জন্য দ্বিগুণ তহবিল গড়ার ব্যাপারে সদস্য দেশগুলি মতৈক্যে পৌঁছয়। প্রথম পাঁচ বছরের পর্বে সাফল্যের সূত্র ধরে ২০২১-এর ২ জুন দ্বিতীয় দফার ‘মিশন ইনোভেশন’-এর সূচনা করা হয়। এই পর্বে এক দশকের অর্থাৎ, ২০২১-২০৩০ পর্যন্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি এবং এই শক্তিকে সকলের ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ব্যাপারে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সিইএম এবং এমআই-এর মূল লক্ষ্য হল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে ঘিরে যে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, তা ত্বরান্বিত করা।
CG/MP/DM/
(Release ID: 1927481)
Visitor Counter : 148