কৃষিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ভারতীয় কৃষকদের অনুপ্রেরণার উৎস মন কি বাত

Posted On: 24 APR 2023 6:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪  এপ্রিল, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আকাশবাণীর মাধ্যমে প্রতি মাসে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর ভাবনা-চিন্তা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন। ২০১৪ সালের তেশরা অক্টোবর এই অনুষ্ঠান তার যাত্রা শুরু করেছিল। ২০২৩এর ২৬ মার্চ এর ৯৯তম পর্বটি সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে কৃষি সংক্রান্ত নানা বিষয় স্থান পেয়েছে যা কৃষক এবং কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে নানা বিষয়ে উৎসাহ যুগিয়েছে। তৈলবীজ এবং ডাল শস্যের নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন, গবেষণাগারে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিকে কৃষি কাজে লাগানো, প্রতিকূল জলবায়ুর মধ্যে কৃষি কাজের নানা পন্থা-পদ্ধতি, জৈব পদ্ধতিতে কৃষি কাজ, সুসংহত কৃষি কাজ, প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, জোয়ার, বাজরা, রাগির উৎপাদন ও তার ব্যবহার, কৃষি কাজে ড্রোনের ব্যবহার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন কি বাত-এর বিভিন্ন পর্বে আলোচনা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান কৃষক এবং কৃষি কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে তা নিয়ে নতুন দিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (আইসিএআর) এবং হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন ম্যানেজমেন্ট একটি সমীক্ষা চালায়।

এই সমীক্ষায় দেখা গেছে মন কি বাত শুনে কৃষকরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ, জৈব সম্পদ সংরক্ষণ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ সুসংহত কৃষি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং কৃষি ভিত্তিক শিল্প সংস্থা গড়ে তোলার পিছনে মন কি বাত-এর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী যারা জোয়ার, বাজরা এবং রাগি চাষ করেন তারা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং উন্নত প্রজাতির জোয়ার, বাজরা ও রাগি চাষে উদ্যোগী হয়েছেন। এছাড়াও কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ বা স্টার্টআপ সংস্থা গড়ে ওঠায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। মোবাইল ভিত্তিক কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ দানের পরিষেবার বিষয়ে তথ্য জানার ফলে শস্যের উৎপাদন যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি কৃষকরা নতুন নতুন বাজারেরও সন্ধান পেয়েছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী কৃষি কাজে ড্রোনের ব্যবহারের বিষয়ে কৃষকরা উৎসাহী হলেও এর জটিল প্রযুক্তির সম্পর্কে অনেকের মনেই সংশয় দেখা দিয়েছে।

সহজে ব্যবসা করা, ফসলের ভালো দাম পাওয়া এবং কৃষি কাজে ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস সংক্রান্ত তথ্য মন কি বাত-এর মাধ্যমে জানার পর কৃষি পণ্য উৎপাদক সংস্থা গড়ে তুলতে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে। এই সব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা জানিয়েছেন মন কি বাত-এর মাধ্যমে তাঁরা কৃষি সংক্রান্ত সরকারের বিভিন্ন নীতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মৌ চাষিরা জানিয়েছেন মন কি বাত-এর মাধ্যমে তাঁরা দলগত চাষের সুফল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ব্যক্তিগত স্তরে মৌ পালকরা যেখানে ৫০টি মৌমাছির বাক্স থেকে ৯২,৯৪৭ টাকা আয় করতে পারেন সেখানে দলগতভাবে তাদের আয় হয় ১,২৮,৩২৮ টাকা। তবে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ এবং যথাযথভাবে মধু সংরক্ষণ করতে না পারার সমস্যারও তাঁরা মুখোমুখি হন। কিষাণ রেলের মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের পচনশীল কৃষিপণ্য সহজেই বাজারে পাঠাতে পারেন। এক্ষেত্রে তাঁদের আয় যেমন বেশি হয় পাশাপাশি মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাত থেকেও রেহাই মেলে। মন কি বাত-এর মাধ্যমে জৈব ও প্রাকৃতিক চাষের বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন মরশুমের উপযোগী বিষয়গুলি নিয়ে যদি মন কি বাত-এ আলোচনা হয় তাহলে তা কৃষকদের পক্ষে সুবিধাজনক হবে বলে কৃষক ভাই-বোনেদের অভিমত। এভাবেই মন কি বাত কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন সচেতন করে তুলছে পাশাপাশি তাঁরা নতুন নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে।

(ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস, ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ এক্সটেনশন এডুকেশন, জার্নাল অফ কমিউনিটি মোবিলাইজেশন অ্যান্ড সাসটেনেবেল ডেভেলপমেন্ট এবং জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন ম্যানেজমেন্টে এই সমীক্ষাগুলি প্রকাশিত হয়েছে।)

 

PG/CB/NS


(Release ID: 1919504)