শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

শিল্প প্রসার এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের বর্ষশেষ পর্যালোচনা

Posted On: 16 DEC 2022 5:22PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

 

১) শিল্পে কর্মদক্ষতা:

আইআইপি ধারায় সূচিত শিল্প প্রসার সম্প্রসারণ:

শিল্প উৎপাদন সূচকে নির্মিত শিল্প উৎপাদন ২০২২এর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিগত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খনিজ, নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ এই তিনটি ক্ষেত্রেই এই সময়কালের মধ্যে বৃদ্ধি সূচিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ অতিমারীর পরবর্তীকালে স্থায়ী পুনরুজ্জীবন:

    ২০২০-২১ এই সময়কালের মধ্যে কোভিড-১৯ অতিমারীর ছড়িয়ে পড়া রুখতে সরকার দেশব্যাপী শিল্প বন্ধ করায় শিল্পোৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির হার ৮.৪ হ্রাস পায়। তার পর থেকে অবশ্য শিল্পে স্থায়ী পুনরুদ্ধার লক্ষ্য করা গেছে। ২০২২এর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইআইটি-তে এর ক্রমিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ।

    ২০২১-২২এ শিল্পোৎপাদন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সূচক ১১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খনিজ, নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ২০২১-২২এ দ্বি-সংখ্যার বৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে। ২০২২-২৩এ শিল্প কার্যকলাপে এই পুনরুদ্ধার আরও শক্তিশালী মাত্রা পায়। খনিজ, নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ২০২২-২৩এ প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে যথাক্রমে স্থায়ী বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে যথাক্রমে ৪.২ শতাংশ, ৬.৮ শতাংশ এবং ১০.৮ শতাংশ।

২) ৮টি মূল শিল্পে বৃদ্ধির হার

    ৮টি মূল শিল্প যথাক্রমে কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম শোধনজাত পণ্য, সার, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা ৮টি মূল শিল্প (আইসিআই) সূচকের নির্মাণ করা হয়েছে। আইসিআই-এ অন্তর্ভুক্ত শিল্পগুলি শিল্প উৎপাদন সূচকের ক্ষেত্রে ৪০.৩৭ শতাংশের অধিকার নিয়েছে।

    ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত গত তিন বছরে গড় বৃদ্ধির হার গড় বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ০.৫ শতাংশ সেই তুলনায় ২০২১-২২এ আইসিআই বৃদ্ধির হার ১০.৪ শতাংশ। চলতি আর্থিক বছরে (২০২২-২৩এর এপ্রিল থেকে অক্টোবর) এই বৃদ্ধির হার সর্বাধিক অর্থাৎ ৮.২ শতাংশ। ৮টি মূল ক্ষেত্রের মধ্যে দুটিতে অর্থাৎ কয়লা এবং সারের ক্ষেত্রে দ্বি-সংখ্যার বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করা গেছে। এই বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১৮.১ শতাংশ এবং ১০.৫ শতাংশ। অশোধিত তেলের ক্ষেত্রে এই সময়কালের মধ্যে বৃদ্ধির হার লক্ষ্য করা যায়নি।

৩) প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান (এনএমপি)

প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি (এনএমপি)-তে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক/দপ্তরের ১২০০ ডেটা স্তর পুরোপুরি চালু রয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে রয়েছে ৭৫৫টি অত্যাবশ্যক স্তর। ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে পরিকাঠামো এবং ব্যবহারিক অর্থনৈতিক মন্ত্রকগুলির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পোর্টাল যাতে আবশ্যকীয় ডেটা স্তর, কাস্টমাইজড টুলস্ এবং কার্য-নির্বাহক ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। ৬টি জোনাল সম্মেলন ছাড়াও ১ হাজারেরও বেশি রাজ্যস্তরে আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধিকে বাস্তবিক ক্ষেত্রে বিআইএসএজি-এন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক/দপ্তরগুলির ক্ষেত্রে ৩ হাজার ১৪৫ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ওয়ার্কশপ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ৫০টিরও বেশি রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রে ১৮০রও বেশি আধিকারিককে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। সরকারের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইজিওটি প্ল্যাটফর্মে পিএম গতিশক্তির অনলাইন কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রকল্প নজরদারি গোষ্ঠী (পিএমজি) প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। পিএম গতিশক্তি চালুর পর থেকে ৩০০টির বেশি প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেড় হাজারেরও বেশি বিষয়ের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ২৮টি রাজ্য তাদের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা জমা করেছে এবং এই সমস্ত রাজ্যগুলি ৫ হাজার ২৩ কোটি টাকারও বেশি পরিকল্পনা ডিওই-তে প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৫টি রাজ্য লজিস্টিক নীতি তৈরি করেছে। কর্ণাটক এবং পাঞ্চাব এই দুটি রাজ্যে নভেম্বর মাসে তাদের লজিস্টিক নীতি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

৪) লজিস্টিক্স:

    জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি: ১৭.০৯.২০২২-এ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি চালু করেন। এই নীতিতে লজিস্টিক্স ক্ষেত্রে অত্যাধিক আন্তঃবিভাগীয়, আন্তঃক্ষেত্র্রীয়, বহুস্তরীয়, বিচার বিভাগীয় এবং সর্বাত্মক নীতি পরিকাঠামো বিন্যস্ত হয়েছে। এই নীতি প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি ন্যাশনাল প্ল্যানের পরিপূরক।

    ইউনিফায়েড লজিস্টিক্স ইন্টারফেস প্ল্যাটফর্ম: জাতীয় লজিস্টিক্স নীতির অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইউনিফায়েড লজিস্টিক্স ইন্টারফেস প্ল্যাটফর্ম ২০২২এর ১৭ সেপ্টেম্বর চালু করেন। প্রধানমন্ত্রীর গতিশক্তি দিশা নির্ভর এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিগত স্তরে অচলাবস্থাকে ভেঙে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দপ্তরের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা এবং দক্ষতা ও লজিস্টিক শিল্পের ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির স্বার্থে এক জানলা পদ্ধতি চালু করা যার মূলগত উদ্দেশ্য হল ভারতকে প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রে সাশ্রয় করা এবং ‘আত্মনির্ভর’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে লজিস্টিক ক্ষেত্রের মধ্যে নিয়ে আসা। ৭টি বিভিন্ন মন্ত্রকের ৩২টি ব্যবস্থাকে ১০০ যোগ এপিআই-এর মাধ্যমে ১৬০০রও বেশি এলাকা নির্ভর ইউএলআইপি-র সংযুক্তির কাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।

    ইজ অফ লজিস্টিক্স সার্ভিসেস প্ল্যাটফর্ম : প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় লজিস্টিক্স নীতির অঙ্গ হিসেবে ইজ অফ লজিস্টিক্স সার্ভিসেস প্ল্যাটফর্ম (ইএলওজিএস) চালু করেন। এই প্ল্যাটফর্মে কোম্পানীগুলি তাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারে এবং তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি নিয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ২০২২এর ১৩ অক্টোবর। এই কর্মশালায় কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী লজিস্টিক্স ইজ অ্যাক্রস ডিফারেন্স স্টেটস (এলইএডিএস)২০২২ রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

৫) উৎপাদন ভিত্তিক সহায়তা (পিএলআই) প্রকল্প
    
ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে ১৪টি মূল ক্ষেত্রের জন্য ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ভিত্তিক সহায়তা (পিএলআই) প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য হল ভারতের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি এবং রপ্তানী প্রসার। মূল সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে এই প্রকল্পের মূলগত উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে নির্মাণ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামুখী করে তোলা, মূল দক্ষতার ক্ষেত্রে, বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষতা সুনিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক স্তর সৃষ্টি, রপ্তানী বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মূল্য শৃঙ্খলের ভারতকে অভিন্নভাবে যুক্ত করা। এই পিএলআই স্কিম ঘোষণার পর উৎপাদন, কর্মসংস্থান, আর্থিক বৃদ্ধি ও রপ্তানী ক্ষেত্রে আগামী ৫ বছর এবং তার পরেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সুনিশ্চিত করায় হল এর উদ্দেশ্য। দেশের এমএসএমই বাস্তুতন্ত্রের ওপরে এই পিএলআই স্কিমের উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অ্যাঙ্কার ইউনিট চালু করা হবে যাতে সামগ্রিক মূল্য শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে নতুন সরবরাহকারী স্তরও যুক্ত হবে। বেশিরভাগ অনুসারী ইউনিটগুলি এমএমএমই ক্ষেত্রে নির্মিত হবে।

মূল সাফল্য:

১৩টি প্রকল্পে এ পর্যন্ত সাড়ে ৬শো আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। বাল্ক ড্রাগস, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেলিকম, হোয়াইট গুডস এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে পিএলআই সুবিধাভোগীরা ১০০রও বেশি এমএসএমই-তে অন্তর্ভুক্ত। রূপায়ণ মন্ত্রক এবং দপ্তরগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা (৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল বিনিয়োগ এসেছে এবং ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকার (৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) উৎপাদন এবং বিক্রি হয়েছে এবং প্রায় আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মূল বিনিয়োগ এবং পরবর্তী ১০৬ শতাংশ সাফল্য অর্জন করা গেছে। টেলিকম নির্মাণ ক্ষেত্রে মূল্য শৃঙ্খল প্রসারের লক্ষ্যে নকশা নির্ভর পিএলআই ২০২২এর জুন মাসে চালু করা হয় যার উদ্দেশ্য হল টেলিকম এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পিএলআই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত ফাইভ-জি শক্তিশালী বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে যোগ্য কোম্পানীগুলিকে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২২এর সেপ্টেম্বরে হাই এফিসিয়েন্সি সোলার পিভি মডিউলস-এ জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ক্ষেত্রে পিএলআই প্রকল্পে (দ্বিতীয় পর্যায়) মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। ভারতে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন সোলার পিভি মডিউলস তৈরি করতে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা। যার ফলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতাকে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আরটিসি/আরটিই পণ্য বাজরার ব্যবহারে উৎসাহ এবং অনুদান দিতে ভারত সরকার ৩০টি কোম্পানীকে বিক্রয় নির্ভর অনুদানের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছে। পিএলআই স্কিমে মোবাইল তৈরি এবং সুনির্দিষ্ট কিছু ইলেক্ট্রনিক উৎপাদানের ক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৫৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার অনুমোদনের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট গুডস (এসি এবং এলইডি লাইট) উৎপাদন নির্ভর সহায়তা (পিএলআই) প্রকল্প:

পিএলআই স্কিমে হোয়াইট গুডস-এর জন্য (এসি এবং এলইডি লাইট)-এর ক্ষেত্রে ২০২১এর ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পের নির্দেশিকা প্রকাশিত হয় ২০২১এর চৌঠা জুন। এসি এবং এলইডি শিল্পের ক্ষেত্রে বর্ধিত উৎপাদনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হবে। ভারতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা যাতে তারা বিশ্ব ক্ষেত্রে নজির গড়তে পারে। ৬ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এই প্রকল্পে ৬৪টি আবেদনকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আবেদনকারীর মধ্যে ৩৪টি এসি যন্ত্রাংশ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ৫ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে ৩০টি আবেদনকারী এলইডি লাইট তৈরি জন্য ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

৬) প্রকল্প নজরদারি গোষ্ঠী:

২০২১এর ডিসেম্বরে প্রকল্প নজরদারি গোষ্ঠীর পোর্টালকে উন্নত করা হয় ক্যাবিনেট সচিবের নির্দেশক্রমে। এই ব্যবস্থার ফলে প্রকল্পগুলির যথাযথ নজরদারি এবং তার পাশাপাশি সময় ভিত্তিক সংশোধনমূলক যা কিছু ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্প নজরদারি গোষ্ঠী ৬৪ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ ক্ষেত্রে ১ হাজার ৯১২টি প্রকল্পকে সুনির্দিষ্ট করেছে। এর অন্তর্ভুক্ত হল বৃহদাকার পরিকাঠামো প্রকল্প, গতিশক্তি প্রকল্পের সঙ্গে যা যুক্ত এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামো ক্ষেত্রে ফাঁক রয়েছে এমন সবব প্রকল্প। এর মধ্যে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য ২৯৪টি প্রকল্পকে ২০২২এর জানুয়ারি থেকে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্প ও নজরদারি গোষ্ঠী বেসরকারী ক্ষেত্রে প্রকল্পে রূপায়ণের ক্ষেত্রে প্রস্তাব গ্রহণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে। ২০২২এর পয়লা জানুয়ারি থেকে প্রকল্প নজরদারি গোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে ২১টি বেসরকারী ক্ষেত্রের প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

৭) শিল্প করিডর কর্মসূচি :

শিল্প করিডর প্রকল্প
এনআইসিডিআইটি অনুমোদিত ৪টি প্রকল্পকে রূপায়ণের ক্ষেত্রে এইচআইসিএম/সিসিইএ থেকে অতিরিক্ত অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদিত হয়েছে। ২০২১এর ২৯ অক্টোবরের হিসেব অনুযায়ী ১১টি শিল্প করিডর নির্মাণে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের এটি একটি প্রথম ধাপ। দিল্লিতে ২০২২এর এপ্রিলে, কোচিতে ২০২২এর জুনে এবং গান্ধীনগরে ২০২২এর আগস্টে বিনিয়োগকারীতে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

৮) স্টার্টআপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি:

২০১৬র ১৬ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর চালু করা স্টার্টআপ ইন্ডিয়া উদ্যোগ দেশে নতুন ধারনা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বিগত বছরগুলি ধরে এই স্টার্টআপ ইন্ডিয়া উদ্যোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয়েছে, উদ্যোগপতিদের সহায়তা যোগানোর পাশাপাশি এক বৃহদাকার স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা ছাড়াও ভারতকে কাজ খোঁজার পরিবর্তে কর্ম-সৃষ্টিকারী দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। মূলধনী সহায়তার পাশাপাশি মেধাসত্ব, অধিকার সংরক্ষণ, কর সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক সংস্কার আনা হয়েছে। ভারত সরকারের এই যাবতীয় প্রচেষ্টা এবং বাস্তুতন্ত্র ভারতকে বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ট এক স্টার্টআপ বাস্ততন্ত্র হিসেবে গড়ে তোলার পথ দেখিয়েছে। ভারতের স্টার্টআপ বাস্ততন্ত্রের দ্রুত বিকাশ পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার ৮৪ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপকে অনুমোদন দিয়ে এক নজির সৃষ্টি করেছে। ফলে সাড়ে ৮ লক্ষ কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। প্রতি স্টার্টআপ পিছু গড়ে ১১টি কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। দেশের ৬৬২টি জেলা জুড়ে অনুমোদিত স্টার্টআপগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অন্ততপক্ষে একটি স্টার্টআপ রয়েছে। অনুমোদিত স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে ১০ বছরের মধ্যে পর পর ৩ বছর ট্যাক্স হলি-ডে সংস্থান রাখা হয়েছে। সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে স্টার্টআপগুলিকে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা এবং এআইএফগুলি যে ঋণ প্রদান করে থাকে সেক্ষেত্রে স্টার্টআপগুলির জন্য ঋণ নিশ্চয়তা প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া উদ্যোগের ফলে ১৫টি দেশের মধ্যে সহযোগ গড়ে তোলা হয়েছে যাতে তারা ভারতের সঙ্গে সহযোগি দেশ হিসেবে এবং প্রযুক্তি, জ্ঞানের আদান-প্রদান করতে পারে ও ভারত থেকে স্টার্টআপগুলির সফ্ট ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে।

৯) মেক ইন ইন্ডিয়া:

২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মেক ইন ইন্ডিয়া চালু করা হয়। বিনিয়োগ প্রসার, উদ্ভাবন, সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকাঠামো গড়ে তোলা, সর্বোপরি ভারতকে নির্মাণ, নকশা এবং উদ্ভাবনী হাব হিসেবে গড়ে তোলায় হল এর মূল উদ্দেশ্য। বৃহদাকার পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে গড়ে তোলা ভারত সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। ভোকাল ফর লোকালের উদ্যোগ নির্মাণ ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে ভারতের বিরাট শক্তিকে তুলে ধরেছে। কেবলমাত্র আর্থিক বিকাশই নয়, আমাদের যুবশক্তির এক বৃহৎ কর্মসংস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্র হিসেবেও তা কাজ করছে। মেক ইন ইন্ডিয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে এবং মেক ইন ইন্ডিয়া-র দ্বিতীয় দফায় ২৭টি ক্ষেত্রের ওপর তা আলোকপাত করছে। ডিপিআইআইটি ১৫টি নির্মাণ ক্ষেত্রের মধ্যে কর্ম পরিকল্পনার সমন্বয় সাধন করছে। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রক ১২টি পরিষেবা ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখছে। ডিপিআইআইটি ২৪টি সাব সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে। এই সাব সেক্টরগুলির মধ্যে রয়েছে আসবাবপত্র, বাতানুকুল যন্ত্র, চামড়ার তৈরি দ্রব্য এবং জুতো, তৈরি খাবার, কৃষি উৎপাদন, অটো যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। রাজ্য সরকারগুলির মন্ত্রক এবং বিদেশে ভারতীয় মিশন মারফত বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে এবং তা চিহ্নিতকরণের পর ইনভেস্ট ইন্ডিয়া মারফত বিনিয়োগ সম্প্রসারিত হয়।

১০) আইপিআর শক্তিশালীকরণ:

ডিপিআইআইটি নীতি আয়োগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে বিশ্ব উদ্ভাবনী সূচক (জিআইআই-এর ক্ষেত্রে) ভারতের স্থানকে উন্নত করা যায়। এই প্রচেষ্টার ফলে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়েছে। জিআইআই-এর ৮১টি সূচকের মধ্যে আইপিআর-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৯টি সূচক এবং তা ডিপিআইআইটি-র সঙ্গে সংযুক্ত। ২০২২এর ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জিআইআই ২০২২এ পঞ্চদশ সংস্করণে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব উদ্ভাবনী সূচকে ভারতের স্থান ২০১৫য় ৮৫ থেকে ২০২২এ ৪০এ উত্তীর্ণ হয়েছে।

১১) বিনিয়োগ ছাড়পত্র সেল:

ভারত সরকার বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দপ্তর ও রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে ডিপিআইআইটি অ্যান্ড ইনভেস্ট ইন্ডিয়া এনএসডাব্লুএস ২০২০-২১ থেকে কাজ করে চলেছে। শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের পোর্টাল [www.nsws.gov.in] ২০২১এর ২২ সেপ্টেম্বর চালু করা হয়। এই পোর্টাল মারফত বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দপ্তরগুলির মধ্যে সুসমন্বয় বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে এবং এনএসডাব্লুএস পোর্টালের মারফত ৩৪ হাজারেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সহজে ব্যবসা:

সার্বিক ব্যবসায়িক বাতাবরণ গড়ে তুলতে ডিপিআইআইটি বহুবিধ উদ্যোগ নিয়েছে এবং গত ৫ বছরে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ডুইং বিজনেস রিপোর্টে ভারত ৭৯টি স্তর উপরে উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে যেখানে স্থান ছিল ১৪২-এ, ২০১৯-এ তা ৬৩টি দাঁড়িয়েছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা হ্রাস করা হয়েছে। মন্ত্রক এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ৩৯ হাজারেরও বেশি বাধ্যবাধকতাকে কমিয়ে এনেছে। সহজে ব্যবসা করার পন্থা দ্রুত প্রসারলাভ করতেই কার্যকরী উপায় হিসেবে দেখা গেছে।

১৩) জাতীয় এক জানলা পদ্ধতি:

২০২১-২২এর বাজেটে জাতীয় এক জানলা পদ্ধতি চালু ঘোষণা করা হয়। বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় সহায়তা দিতে অনলাইন ডিজিটাল পোর্টাল মারফত এই সেলটি কাজ করে। কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রক জাতীয় এক জানলা ব্যবস্থা  [www.nsws.gov.in]  চালু করে ২০২২এর ২১ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে নো ইউর অ্যাপ্রুভ্যাল মডিউল বিনিয়োগ পূর্ববর্তী পরামর্শ চালু রয়েছে এবং এতে ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪ হাজারেরও বেশি প্রস্তাবে অনুমোদন রয়েছে। এই পোর্টালে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ভিজিটার্স এবং ৫৪ হাজার সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। ৪৪ হাজারেরও বেশি অনুমোদন এই পোর্টালের মারফত দেওয়া হয়েছে এবং ২৮ হাজার অনুমোদন অপেক্ষায় রয়েছে।

১৪) পাবলিক প্রোক্রিয়রমেন্ট (প্রেফারেন্স টু মেক ইন ইন্ডিয়া অর্ডার ২০১৭):

আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডিপিআইআইটি ১৬.৯.২০২০-তে পাবলিক প্রোক্রিয়রমেন্ট সংশোধন করেছে।

১৫) বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ:

ভারত আজ বিশ্বে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের এক উল্লেখযোগ্য গন্তব্য স্থল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কৌশলগত কিছু ক্ষেত্র বাদ দিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রকেই ১০০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক বিধিকে শিথিল করা হয়েছে। বাণিজ্যিক বাতাবরণ এবং পরিকাঠামো বিকাশের লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা ২০১৪ সাল থেকে সরকার বিভিন্ন রূপান্তরকামী সংস্কার ঘটিয়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষা, পেনশন, অন্য বাণিজ্যিক পরিষেবা, সম্প্রচার, ঔষধ ক্ষেত্র, নির্মাণ ক্ষেত্র, অসামরিক বিমান পরিবহণ, কয়লা উত্তোলন প্রভৃতি এর মধ্য রয়েছে। গত এক বছরে বীমা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতির ক্ষেত্রে সংস্কার ঘটানো হয়েছে। এরফলে দেশে অনেক প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ আসছে এবং নতুন রেকর্ড গড়ে তুলছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এই সংখ্যা ছিল ৪৫.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ক্রমাগত তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে দাঁড়িয়েছে ৮৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী)। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে (২০২২এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ৩৯.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের খবর পাওয়া গেছে। ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের এই গতির ফলে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারত এক পছন্দের বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে।

১৬) এক জেলা এক পণ্য:

কেন্দ্রীয় সরকার দেশ জুড়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এক জেলা এক পণ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরফলে সেই জেলার প্রকৃত সক্ষমতা ফুটে উঠছে এবং সেখানকার আর্থিক বিকাশ, কর্মসংস্থান, গ্রামীণ উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করছে। সর্বোপরি আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক জেলা এক পণ্য জিইএম বাজারের মাধ্যমে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রক ই-মার্কেট প্লেস উন্মুক্ত করেছে এবং আড়াইশোরও বেশি পণ্য এই প্ল্যাটফর্ম মারফত পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর লোকাল ফর ভোকালের দিশা অর্জনে তা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা পালন করছে।

১৭) ডিজিটাল বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্মুক্ত পরিকাঠামো (ওএনডিসি) :

পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে বিনিময়কে সম্প্রসারিত করতে ডিপিআইআইটি উদ্যোগে ডিজিটাল বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্মুক্ত পরিকাঠামো চালু হয়েছে। সরকারি এই ডিজিটাল পরিকাঠামোয় নথিভুক্তিকরণ এবং উপভোক্তা এবং পরিষেবা প্রদানকারীর মধ্যে তথ্য আদান প্রদান সম্ভব হয়।

১৮) স্বচ্ছতা অভিযান দ্বিতীয় পর্যায় :

কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত মন্ত্রকগুলির পক্ষ থেকে বিশেষ স্বচ্ছতা অভিযান চালু করা হয়েছে। মন্ত্রক এবং দপ্তরগুলির অধীন সমস্ত সংস্থাকে দ্বিতীয় দফার এই স্বচ্ছতা অভিযানে বাতিল ফাইলপত্র, অচল অব্যবহৃত জিনিসগুলিকে বাতিল করতে বলা হয়েছে। এই দফার এই অভিযানে ৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৫৮৫টি ফাইল পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৯২টি ফাইলকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ৫২ হাজার ১৯৫টি ই-ফাইলের পর্যালোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে ৩ হাজার ৮৮২টি ফাইলকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। এর ফলে ২৩ হাজার ৮৭ স্কোয়্যারফিট এলাকা জঞ্জালমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

১৯) আন্তর্জাতিক সহযোগিতা :

২০২২এর ১৯ মার্চ ভারত-জাপান শীর্ষ বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত ক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছে বলে উভয় প্রধানমন্ত্রী জানান। ২০১৪ সালে ঘোষিত সাড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী ৫ বছরে ভারতে সরকারি বেসরকারী বিনিয়োগ ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েনে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

২০) আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সূচনা দপ্তরের অবদান

ডিপিআইআইটি আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ভারতের গরিমাময় ইতিহাস, দেশের মানুষ সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সাফল্যকে উদযাপন করতে ভারত সরকার বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। ডিপিআইআইটি ২০২২এর ১৫ আগস্ট থেকে ৭৫টি কর্ম পরিকল্পনা রূপায়ণের উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলি যথাক্রমে সহজে ব্যবসা, স্বচ্ছন্দ জীবন, বাধ্যবাধকতার বোঝা কমিয়ে আনা প্রভৃতি।


PG/AB/NS



(Release ID: 1886837) Visitor Counter : 468