পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

কপ টোয়েন্টি সেভেন-এ কেন্দ্রীয়পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে ভারতীয়প্রতিনিধিদল জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে আর্থিক সহায়তার বিষয় নিয়ে আলোচনাকেঅগ্রাধিকার দেবে

Posted On: 04 NOV 2022 1:49PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর ২০২২

 

মিশরের শরম-আল-শেখ-এ ৬-১৮ নভেম্বরজলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের ২৭তম সম্মেলন কপ টোয়েন্টি সেভেনঅনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রযাদবের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ সংক্রান্তরাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনএফসিসিসি হল একটি বহুপাক্ষিক উদ্যোগ। জার্মানির বন-এ জুনমাসে মূল সংস্থাটির অধীনস্থ সংস্থাগুলির ৫৬তম সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যেপ্যারিস চুক্তির প্রতিটি সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনপ্রতিরোধে উন্নত দেশগুলির যে অর্থ সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা কতটা পালিতহচ্ছে সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে ভারত। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার ওপর বিশেষগুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য উন্নয়নশীলদেশগুলিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকরথাকবে। কিভাবে এই তহবিলের সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের জন্য নানা প্রকল্পবাস্তবায়িত করা যায় তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে।

মিশরের সভাপতিত্বে কপ টোয়েন্টিসেভেন-এ সমমনা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলি এই সম্মেলনকে বাস্তবায়নের সম্মেলন বলে আখ্যাদিয়েছে। ভারত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত কপ টোয়েন্টি সিক্স-এউন্নত রাষ্ট্রগুলি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আগ্রহেরঅভাব নজরে আসছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলি জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের জন্য  বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসবসমস্যা রয়েছে তা নিয়ে আলোচনার জন্য গৃহীত উদ্যোগকে ভারত সমর্থন করবে। 

অর্থ সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রেবর্তমান ব্যবস্থাপনাগুলি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। জলবায়ু পরিবর্তনেরফলে যে ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিচ্ছে তার ফলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও, এসংক্রান্ত তহবিলগুলিও আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ নয়। তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়ার জন্যবেশ জটিল প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। তাই, এই সমস্যার সমাধানের জন্য জি-৭৭গোষ্ঠীভুক্ত দেশ এবং চিন যে প্রস্তাব দিয়েছে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।

প্যারিস চুক্তি মোতাবেক জলবায়ুপরিবর্তন প্রতিরোধ করার জন্য যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছে সেগুলি বাস্তবায়নেরক্ষেত্রে গ্লোবাল স্টকটেক বা জিএসটি সহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনাগুলিকে কার্যকর করতেহবে। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাটিও যথেষ্ট নয়। এরপাশাপাশি, কপ টোয়েন্টি সেভেন-এ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেউদ্ভূত সমস্যা বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা হবে। প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মার্কিনডলারের সহায়তা নিশ্চিত করতে উন্নত রাষ্ট্রগুলিকে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতেপরামর্শ দেওয়া হবে।

যে কোনো সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রেসবদিক বিবেচনা করা এবং  সেই সম্পদের অপচয় যাতেনা হয় সেটি নিশ্চিত করতে জনমুখী এবং গ্রহমুখী যে আন্দোলনের প্রস্তাব ভারত করেছে,সেই ‘লাইফ স্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ বা এলআইএফই-তে অংশগ্রহণের জন্য সব দেশকেআমন্ত্রণ জানানো হবে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক সহযোগিতায় ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। মানবজাতির আশ্রয়স্থলকে রক্ষাকরার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে দেশ সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক স্তরে সাম্যএবং সহযোগিতা বজায় না রাখলে বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের মতো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবেনা।

 

PG/CB/DM/



(Release ID: 1874032) Visitor Counter : 139