দক্ষতাউন্নয়নওশিল্পোদ্যোগমন্ত্রক
১০ অক্টোবর, ২০২২-এ দেশের ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জাতীয় শিক্ষানবিশ মেলা’
Posted On:
09 OCT 2022 7:13PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৯ অক্টোবর ২০২২
দেশের ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৮০টি কেন্দ্রে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষানবিশ মেলা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ, ১০ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত ‘দক্ষ ভারত কর্মসূচি’র আওতায় কর্মজীবন গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজক ও উদ্যোক্তা কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক।
আঞ্চলিক পর্যায়ের কয়েকটি বাণিজ্যিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই মেলায় অংশগ্রহণকারী তরুণ ও যুবকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণদানের জন্য। সেই অর্থে এই মেলা হল এমন একটি মঞ্চ যেখানে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি প্রশিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্ভাবনাময় দিকগুলি আবিষ্কার করে তাঁদের বেছে নেওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবারে এই শিক্ষানবিশ মেলার আয়োজন করা হয় যাতে দেশের যুবশক্তির জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে তোলা যায়। মেলা ও প্রশিক্ষণের শেষে প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি নিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের বেছে নিতে পারবে।
মেলায় যাঁরা যোগদান করতে ইচ্ছুক তাঁরা https://www.apprenticeshipindia.gov.in/ - এই পোর্টালটিতে গিয়ে মেলার নিকটতম স্থানটি বেছে নিতে পারেন। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যায়ের পাস সার্টিফিকেট, দক্ষতা প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, আইটিআই ডিপ্লোমা অথবা স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরা এই মেলায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছেন তাঁদের প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম নথিপত্র নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষানবিশ মেলা’ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের সচিব শ্রী অতুল কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন যে মেলাতে শিক্ষানবিশদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা প্রসারের লক্ষ্য হল ‘উপার্জনের সঙ্গে শিক্ষা’ এবং ‘হাতে-কলমে শিক্ষা’র ব্যবস্থা করা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সঙ্গে প্রশিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলির যোগাযোগ স্থাপনেরও একটি বিশেষ মঞ্চ হল এই মেলা। মেলার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল এর মাধ্যমে শিক্ষানবিশদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাঁদের সফল প্রশিক্ষণ।
শ্রী তিওয়ারি জানান, ১৯৬১ সালের শিক্ষানবিশ আইনটির পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে যাতে বুদ্ধি ও মেধা রয়েছে এই ধরনের প্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের অতিরিক্ত সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়। এছাড়াও, বিদ্যালয় থেকে কর্মজীবনে সরাসরি প্রবেশের একটি সুযোগও এর মাধ্যমে গড়ে তোলা সম্ভব।
সরকারের লক্ষ্য হল, প্রতি বছর অন্তত ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষিত করে তোলা। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পরবর্তী পর্যায়ে কর্মজীবন গড়ে তোলা সম্পর্কে তাঁদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটানোও সরকারের আরও একটি বিশেষ লক্ষ্য বলে শ্রী তিওয়ারি জানান।
PG/SKD/DM
(Release ID: 1866501)