ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

পুষ্টিকর চালের কর্মসূচি ঘোষণার বর্ষপূর্তি

Posted On: 11 AUG 2022 6:07PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ১১ আগস্ট, ২০২২

 

পুষ্টিকর চাল কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে গণবন্টন ব্যবস্থায় ২৪টি রাজ্যের ১৫১টি জেলা ইতিমধ্যে পুষ্টিকর চাল সংগ্রহ করেছে। ২০২২এর পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মাধ্যমে প্রায় ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার মেট্রিকটন পুষ্টিকর চাল বন্টন করা হয়েছে এবং আইসিডিএস ও পিএম পোষণ প্রকল্পের আওতায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মিলে এ পর্যন্ত ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় ৫২ শতাংশ জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০২১এর ১৫ আগস্ট ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে তাঁর ভাষণে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশব্যপী সরকারের সমস্ত প্রকল্পে ধাপে ধাপে পুষ্টিকর চাল সরবরাহের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে গত এক বছরে এই উদ্যোগ যথেষ্ট সাফল্য লাভ করেছে।

২০২১এর ১৫ আগস্ট মিশ্রন পরিকাঠামো সংযুক্ত রাইস মিলের সংখ্যা যেখানে ছিল ২ হাজার ৬৯০ এবং তাদের সামগ্রিক মিশ্রন ক্ষমতা ছিল ১৩ লক্ষ ৬৭ হাজার মেট্রিকটন ইতিমধ্যে পুষ্টিকর চাল উৎপাদনে মিশ্রন পরিকাঠামো সংযুক্ত সেই রাইস মিলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার। বর্তমানে তাদের মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬০ লক্ষ মেট্রিকটন। অর্থাৎ গত এক বছরে প্রায় ৪ গুণ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ২০২৩এর মার্চ মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়কে যুক্ত করার পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্খী জেলা এবং ২৯১টি হাই বার্ডেন জেলাকে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। গণবন্টন এবং জনকল্যাণ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৭৫ লক্ষ মেট্রিকটন পুষ্টিকর চাল বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

পুষ্টিকর চাল পরীক্ষার স্বার্থে এনএবিএল স্বীকৃত পরীক্ষাগারের সংখ্যা ২০২১-এ ২০ থেকে বেড়ে বর্তমানে ৩০-এ দাঁড়িয়েছে।

এফসিআই এবং রাজ্য সংস্থাগুলি মিলে ২০২০-২১ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪৫ লক্ষ ৯৩ হাজার মেট্রিকটন পুষ্টিকর চাল সংগ্রহ করেছে।

আইসিএমআর, এনআইএন, এমওএইচএফডাব্লু সহ অন্য অংশীদারদের সঙ্গে নীতি আয়োগ এই পুষ্টিকর চাল কর্মসূচির প্রভাব মূল্যায়নের কাজে যুক্ত রয়েছে।

এফএসএসএআই, বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়নমূলক অংশীদারদেরকে যুক্ত করে আইইসি-র মাধ্যমে এই পুষ্টিকর চালের গুনাগুন সম্পর্কে জনসাধারণকে ওয়াকিবহাল করার উদ্যোগও হাতে নেওয়া হয়েছে।

চালের এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধিতে যুক্ত হয়েছে এফএসএসএআই নির্ধারিত আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি-১২ যা সাধারন চালের সঙ্গে আনুপাতিক হার ১ : ১০০। গন্ধ, স্বাদ এবং গঠনের দিক থেকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই চাল সাধারণ চালের মতোই দেখতে।

দেশে অপুষ্টি এবং রক্তাল্পতার মোকাবিলায় এবং পুষ্টি সুরক্ষা বৃদ্ধির স্বার্থে পুষ্টিকর এই চাল একদিকে যেমন সাশ্রয়কারী, তার পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে খাবারে ভিটামিন এবং খনিজের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই এই চাল ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

PG/AB /NS



(Release ID: 1851310) Visitor Counter : 229