সহযোগ মন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ শনিবার নতুন দিল্লিতে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলির জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

Posted On: 16 JUL 2022 6:30PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬  জুলাই, ২০২২

           

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ শনিবার নতুন দিল্লিতে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলির জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সমবায় ও উত্তরপূর্বাঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী বি এল ভার্মা, সমবায় মন্ত্রকের সচিব, এনসিইউআই-এর সভাপতি এবং ইফকো-র চেয়ারম্যান শ্রী দিলীপ সাংঘানি, কৃভকো-র চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমবায় জোটের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সভাপতি শ্রী ডঃ চন্দ্রপাল সিং যাদব সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।      

অনুষ্ঠানে দেশের প্রথম কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ জানান, নয় দশক আগে যখন কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলি স্থাপিত হয়েছিল তখন প্রকৃতি এবং ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে কৃষিকাজ করা হত। বর্তমানে ভাগ্যের পরিবর্তে কঠোর পরিশ্রমের ওপর ভিত্তি করেই কৃষিকাজ করা হয়। এই সংস্কারের মূল চালিকাশক্তি কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলি। শ্রী শাহ আরও জানান, যেহেতু সমবায় ক্ষেত্রে একটি সুসংহত তথ্যভান্ডার নেই ফলে এই ক্ষেত্রের কোন কোন দিকে সম্প্রসারণের প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুপ্রেরণায় সমবায় মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ওপর একটি তথ্য ভান্ডার তৈরি করছে। সমবায় ক্ষেত্রের ব্যয়-বরাদ্দ বৃদ্ধি করে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ৭০-৮০ বছরের পুরনো আইনগুলির পরিবর্তে যুগপোযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমবায় ক্ষেত্রই দেশের ৭০ কোটি দরিদ্র মানুষকে এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করে তাদের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের শরিক করে তুলতে পারে। দেশের অনেক ব্যাঙ্ক বিভিন্ন ধরনের সংস্কার মূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কিন্তু এই উদ্যোগ শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকায় সংস্কারের সুফলগুলি সকলের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। যদি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রকৃত সংস্কার করতে হয় তাহলে সমবায় ক্ষেত্রও যুক্ত করতে হবে। শ্রী শাহ আরও বলেন কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলিকে শুধুমাত্র ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মধ্যে আবদ্ধ রাখলে চলবে না, তাদের কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজেও সাহায্যের জন্য উদ্যোগী হতে হবে। কারন এই ব্যাঙ্কগুলি গ্রামোন্নয়ন ও কৃষি বিকাশের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে। মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এই সম্মেলনে ব্যাঙ্কগুলির প্রতিনিধিদের মধ্যে  নিজ নিজ ব্যাঙ্কের সব থেকে ভালো পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। এর ফলে যদি কোনো ক্ষেত্রে সংস্কার বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে সেই পরিবর্তন আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রক এ কাজে সব ধরনের সহায়তা করবে বলে শ্রী শাহ আশ্বাস দিয়েছেন।   

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলিকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। কৃষিকাজে প্রসার ঘটানোর বিভিন্ন পন্থা-পদ্ধতি, ফলন বৃদ্ধি এবং কৃষিকাজকে আরও সহজ করে তোলার জন্য নানা পরামর্শ দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে নার্বার্ডের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন গ্রামোন্নয়ন ও কৃষিকাজে এই সংস্থার অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করলেই প্রতিষ্ঠানটির সার্থকতা বজায় থাকবে। এরজন্য দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সহায়তা, পরিকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা এবং ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে উৎসাহদানের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শ্রী শাহ জানিয়েছেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে শস্য সংগ্রহের উপর গুরুত্ব আরোপ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০১৩-১৪ সময়কালে দেশে ৪৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন  ধান এই ব্যবস্থায় সংগৃহীত হয়। আজ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৯৬লক্ষ মেট্রিক টন। আগে এই প্রক্রিয়ায় ৭৬ লক্ষ কৃষক উপকৃত হলেও বর্তমানে এই ব্যবস্থায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। আগে ২৫১ লক্ষ মেট্রিক টন গম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সংগ্রহ হত। এখন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন ।  স্বাধীনতার পরবর্তী ৭০ বছরে দেশে ৬৪ লক্ষ হেক্টর জমিকে চাষ যোগ্য করে তোলা হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার মাধ্যমে গত ৮ বছরে ৬৪ লক্ষ হেক্টর জমিকে চাষ যোগ্য করে তোলা সম্ভব হয়েছে। কৃষকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রথমবারের মতো ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের কৃষিপণ্য রপ্তানী হয়েছে।  

বিশ্বে চাষযোগ্য জমির নিরিখে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। এদেশে ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ একর জমিতে চাষ করা হয়। আমরা যদি সমস্ত চাষযোগ্য জমিকে সেচ ব্যবস্থার আওতায় আনতে পারি তাহলে আমাদের কৃষক বন্ধুরা দেশের পাশাপাশি সারা পৃথিবীর জন্য খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। মন্ত্রী জানান, সমবায় আন্দোলনকে পুনর্জীবিত করতে পারলে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সফল হবো এবং প্রধানমন্ত্রীর ভারতকে ৫লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।  

 

PG/CB/NS



(Release ID: 1842246) Visitor Counter : 137